সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে ও কমবে


প্রকাশিত:
১৪ জুন ২০২০ ২২:১৫

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৫

 

প্রভাত ফেরী: ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জিডিপির ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। সংসদ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যয় মেটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) কর রাজস্ব আহরণ করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি করবহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ হাজার ৩ কোটি টাকা। আয়ের দিক থেকে আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা। জানা গেছে, এবারের বাজেটে নির্দিষ্ট কিছু শর্তে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে।

দাম কমবে যেসব পণ্যের: ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট দেশীয় শর্ষের তেল, ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি ক্ষেত্রে ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উপস্থাপনকালে তিনি এই প্রস্তাব করেন।

বাজেটে স্বর্ণ আমদানিতে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বর্ণের দাম কমতে পারে। অটোমোবাইল, ফ্রিজ, এসির দাম কমতে পারে। দাম কমতে পারে শর্ষের তেলের। ডিটারজেন্টের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে গুঁড়া সাবানের দাম কমতে পারে। একইভাবে দাম কমতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের । কারণ, এগুলোর কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু পেয়াজ রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একইভাবে তিনি রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। এসব নিত্যপণ্যের দামও কমতে পারে। নিত্যপণ্য ছাড়াও স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্রাপ সরবাহের ওপর উৎসে আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করা প্রস্তাব করেন।

এছাড়া হাস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে হাস মুরগির খাদ্যের দামও কমতে পারে। এছাড়া ইস্পাত শিল্পের রিফ্রাক্টরি সিমেন্টের ওপর শুল্ক কমানো হবে। এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমতে পারে। রেফ্রিজারেটর ও এসির কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।

দাম বাড়বে যেসব পণ্যের: ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিলাসবহুল পণ্য যেমন গাড়ি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, সিগারেটসহ বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উপস্থাপনকালে তিনি এই প্রস্তাব করেন।

অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী, মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর কর বাড়ছে। ফলে কথা বলতে বেশি টাকা খরচ হবে। এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের টিকিট খরচ বাড়বে। আগে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ছিল, নতুন অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়ার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ হবে। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে। ফার্নিচার ও আসবাব কেনায় মূসক বেড়েছে ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

কার ও জিপ রেজিস্ট্রেশনসহ বিআরটিএ প্রদত্ত অন্যান্য সার্ভিস ফির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সিরামিকের সিঙ্ক বেসিনের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। মধুর বাল্ক আমদানি শুল্ক বাড়ছে। বিদেশি মধু আমদানিতে শুল্ক বাড়ছে। ফলে বিদেশি মধুর দাম বাড়বে। এছাড়াও অনলাইন কেনাকাটা, বিদেশি টিভি, সিগারেট, সোডিয়াম সালফেট, আয়রন, স্টিল, স্ক্রু, আলোকসজ্জা সামগ্রী, কম্প্রেসার শিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, বার্নিশ বাইসাইকেল, আমদানি করা অ্যালকোহল, গাড়ি, শ্যাম্পু, জুস, ইন্টারনেট খরচ, আমদানি করা দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, চকলেট, বিদেশি মোটরসাইকেল, বডি স্প্রের দাম বাড়বে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top