সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

গত মার্চ মাসে প্রবাসীদের রেমিটেন্স এসেছে ১৯১ কোটি ডলার


প্রকাশিত:
২ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৪৩

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৫

 

প্রভাত ফেরী: করোনার মধ্যেও রেমিটেন্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসীরা। স্বাধীনতার মাস মার্চে ১৯১ কোটি ডলার (১.৯১ বিলিয়ন) রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন তারা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) যার অংক ১৬ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত বছর মার্চে রেমিটেন্স এসেছিল ১২৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-মার্চে) দেশে রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা)। রেমিটেন্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সবশেষ ১৬ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৩.০৯ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০৯ কোটি ডলারের বেশি রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরও দেখা যায়, মার্চে সরকারি পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৪৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার। ১৪৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ডলার। দুইটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে তিন কোটি ২৯ লাখ ডলার।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স বেশি এসেছে। এছাড়া মহামারিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তার কারণে প্রবাসীরা জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছেন। এসব কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।
সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আহরণ।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিটেন্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় প্রবাসীরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। তারও আগে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল। ওই সময় রেমিটেন্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আসে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রেমিটেন্স আসে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top