সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

৪ পাটকল পুনরায় চালুঃ ১২ হাজার লোকের নতুন কর্মসংস্থান


প্রকাশিত:
১৩ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৯

আপডেট:
১৩ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫০

 

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি)’র আওতাধীন ৪টি পাটকল পুনরায় চালু করার মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার লোকের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি)’র আওতাধীন সম্প্রতি বন্ধ হওয়া এই চারটি পাটকল বেসরকারি মালিকানায় পুনরায় চালুৃ করা হচ্ছে বলে বিজেএমসি ও বস্ত্র ও পাটকল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
বিজেএমসি’র সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সাল পর্যন্ত বিজেএমসির ২৫টি পাটকল প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লোকসান দিত। নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এই লোকসানী ২৫টি জুট মিলের শ্রমিকদেরকে ৪ হাজার কোটি টাকা পওনা পরিশোধ করে শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরির অবসায়ন করা হয়। সরকার ২৫টি পাটকলের মধ্যে ১৭টি পাটকল ইজারা দেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রদান করলে, ৪টি ইতোমধ্যে হস্থান্তর করা হয়। এরমধ্যে নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিল, চট্রগ্রামের কেএফডি জুট মিল ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়া চট্রগ্রামের হাফিজ জুট মিল এবং খুলনার খালিসপুরের ক্রিসেন্ট জুট মিল খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে উৎপাদন শুরু করছে। এসব জুট মিলে প্রায় ১২ হাজার লোকের নতুন কর্মসংস্থান হবে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বাসসকে জানান, বিজেএমসির বন্ধ মিলসমূহ পর্যায়ক্রমে দ্রুততম সময়ে ভাড়াভিত্তিক অথবা ইজারা (লীজ) পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করা হবে। বেসকারি ব্যবস্থাপনায় পুন:চালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত শ্রমিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। একই সাথে ওইসব মিলে কর্মক্ষম ও দক্ষ শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সকল শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে অবশ্যই পুনর্বাসন করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বস্ত্র ও পাটকল মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুর রউফ বাসসকে জানান, সরকার প্রতিবছর পাটকলগুলিতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লোকসান দিতো। বর্তমানে বিজেএমসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে সব ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া সব পাটকলই পুনরায় চালৃু করার জন্য প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্ধ হওয়া বাকী ১৩টি পাটকলের জন্য প্রায় ৫৩টি আগ্রহ ব্যক্তকরণ প্রস্তাব (ইওআই) পাওয়া গেছে। দ্রুততম সময়ে এই ১৩টি মিল চালু করা হলে, আরো বিপুল সংখ্যক কর্মীর নতুন কর্মসংস্থান হবে বলে আজ তিনি বাসসকে জানান। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে ৭৮টি রাস্ট্রায়াত্ত্ব জুট মিল পরিচালন কাজ তত্ত্বাবধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সালে আরো ৪টি জুট মিল স্থাপনের মাধ্যমে মিল সংখ্যা দাঁড়ায় ৮২টি। পরে ১৯৮২ সালে ৩৫টি জুট মিল সাবেক বাংলাদেশী মালিকদের নিকট শর্তসাপেক্ষে সরকার কর্তৃক হস্থান্তর করা হয় এবং ৮টি মিলের পুঁজি প্রত্যাহার করা হয় এবং ৭টি মিল সাবেক প্রাইভেটাইজেশন কমিশন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। ফলে মিল সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২টি। এর মধ্যে ২০০২ সালে বন্ধ ঘোষিত ২টি মিল (আদমজী জুট মিলস লিঃ ও এবিসি লিঃ) সরকারি আদেশে বেপজার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজেএমসির আওতাধীন মিল থাকে ৩০টি। তন্মধ্যে ১টি মিল (মনোয়ার) ১৯৯৩ সনে বন্ধ করা হয় এবং পরবর্তীতে তা বিক্রি করা হয়। কিন্তু মামলাজনিত কারণে হস্তান্তর স্থগিত রয়েছে। গত ২০০০ সালে সরকার কর্তৃক ২টি মিল যথাক্রমে দৌলতপুর জুট মিলস লিমিেিটড ও নিশাত জুট মিলস লিমিটেড এবং ২০০৭ সালে ৪টি মিল যথাক্রমে পিপলস জুট মিলস লিমিটেড, কওমী জুট মিলস লিমিটেড, কর্ণফুলী জুট মিলস লিমিটেড ও ফোরাত কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top