সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ কী? : শাকিলা নাছরিন পাপিয়া


প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২১ ১৯:০৫

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৪

 

শব্দ দূষণ এখন শহরের সীমানা অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। আমাদের জানা উচিৎ এর প্রভাবে কী কী ক্ষতি হয়।

আসুন জেনে নেই শব্দ দূষণের প্রভাবঃ

১/ মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২/ গর্ভবতী মা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
৩/ শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
৪/ রক্তচাপ ও হৃদকম্পন বাড়িয়ে দেয়।
৫/ শ্রবণশক্তি কমে আসে।
৬/ বধির হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
৭/ মাথা ব্যথা হয়।
৮/ বদহজম হয়।
৯/ অনিদ্রা হয়।
১০/ মেজাজ খিটখিটে হয়।
১১/ মনোসংযোগ কমে যায়।
১২/ অস্বাভাবিক আচরণ করার মতো মনো দৈহিক সমস্যা দেখা দেয়।
১৩/  মানুষের শিরা ও স্নায়ুতন্ত্রের  উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে।
১৪/  রক্তনালি সংকুচিত হয়।
১৫/ কোলস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

ভাববেন না।
আগামি পরিবেশ দিবসে পরিবেশ অধিদপ্তর  কোটি টাকা ব্যয়ে সেমিনারের আয়োজন করে এগুলো আপনাদের ঘটা করে জানাবে।
শুধু শব্দ দূষণ থেকে পরিত্রাণের জন্য কোন পদক্ষেপ তারা নেবেন না। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় জায়গায় জায়গায় কারখানার শব্দ, ধোয়া। বৃহস্পতিবার এলেই গায়ে হলুদ নামক অনুষ্ঠানের গজব।
গানের গগনবিদারী শব্দ।সঙ্গে বিট। মাথা আর বুকের মাঝে হাতুড়ি পেটা করার অনুভূতি।
গ্রামে কিশোর গ্যাং, রাজনৈতিক কর্মী আর বখাটেদের উল্লাসের জন্য বিট দেয়া বিকট শব্দের হিন্দী গান।
ইট ভাঙ্গা মেশিনের শব্দ।
সারা এলাকা জানান দিয়ে উন্মাদের মতো ছুটে চলা বাইক।
কোন কিছুই নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন নেই। কারণ এই শব্দে যাদের জীবন বিপন্ন তারা অতি তুচ্ছ। সাধারণ মানুষ।
আমাদের দায়িত্ব ট্যাক্স সময়মতো দেয়া।দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এসব সমস্যার কথা না বলে উন্নয়নের জয়গান গাওয়া মানুষের কর্তব্য।

সমস্যাগুলো সমাধানের দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। তাদের এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। আইন করে, প্রচার করে সামাজিক আন্দোলন তৈরি করা উচিৎ।
এ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং সমস্যা ক্রমেই সহ্য ক্ষমতা অতিক্রম করছে। ভবিষ্যতে যা সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।

এখন প্রশ্ন---
পরিবেশ অধিদপ্তরের  আসলে  কাজটা কী?

 

শাকিলা নাছরিন পাপিয়া
শিক্ষক ও কলামিস্ট

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top