সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি তরুণ রাশেদ শ্রাবণ


প্রকাশিত:
১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১১

আপডেট:
১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৩৫

ছবিঃ অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মন্ত্রী স্কট মরিসনের সাথে জনাব রাশেদ শ্রাবন

 

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সম্মাননা পেয়েছেন এনটিভির অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি, গবেষক, কমিউনিটি ওয়ার্কার ও বাংলাদেশি তরুণ রাশেদ শ্রাবন। সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায়, বিশেষত কোভিড-১৯-মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিটি ওয়ার্কার হিসেবে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি নাগরিক অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদক পেলেন। এটিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

করোনাকালে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অস্ট্রেলীয়দের নিজ বাড়িতে থাকতে দেওয়া, ভাতাপ্রাপ্ত বাসা ভাড়ায় অনুদান দেওয়াসহ নিজের রেস্তোরাঁ থেকে খাবার পাঠানোর মতো কাজ করেছেন রাশেদ শ্রাবন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সামাজিক কাজে অবদান রাখায় রাশেদ শ্রাবনসহ ১৬ জনকে এই সম্মাননা দেন। স্কট মরিসন তাঁদের সম্মাননা দেওয়ার পাশাপাশি ‘রিয়েল হিরো’ হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার একসঙ্গে কমিউনিটি ওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব নিবেদিত মানুষের জন্য আমারা পৃথিবীর সেরা জাতি, এই মুহূর্তে আমি বলতে পারি, অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানে আছে।’

রাশেদ শ্রাবনকে সম্মাননা দিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। চিঠিতে স্কট মরিসন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বিভিন্ন সামাজিক কাজের প্রশংসা করেন।

সম্মাননা পাওয়ার পর রাশেদ শ্রাবন জানিয়েছেন, ‘আমি সব প্রবাসীর জন্য এই পুরস্কার উৎসর্গ করলাম। এই পুরস্কার অস্ট্রেলিয়ার বুকে বাংলাদেশকে আরো শক্তিশালী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।’

রাশেদ শ্রাবন একজন সাংবাদিক। তিনি এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক রেজাউল হক বলেছেন, ‘রাশেদ শ্রাবনের এই পুরস্কারে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ আনন্দিত। এই পুরস্কার আমাদের সব প্রবাসীর জয়।’

রাশেদ শ্রাবন নোয়াখালীর সন্তান। তিনি ২০১৮ সালে সামাজিক কাজে অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সিটিজেন অব দ্য ইয়ার অর্জন করেছেন।

সূত্রঃ এন টিভি


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top