সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


প্রভাত ফেরীর পৃষ্ঠপোষকতায়

সিডনির নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপিত


প্রকাশিত:
৩১ মার্চ ২০২১ ১৭:৩৯

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১০

 

বাংলাদেশের বাইরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় এবার সবচেয়ে ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। ব্রিসবেন ও এডিলেইড শহরে লাল-সবুজ রংয়ের আলোকসজ্জা, দেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং কেন্দ্রীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজ কর্তৃক শুভেচ্ছা বানী প্রদান, ক্যানবেরার স্থানীয় পার্লামেন্ট ভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের ক্যানবেরা ও সিডনি অফিস কর্তৃক একাধিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।

ছবিঃ সিডনির কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম

এর সাথে এবার সংযোজিত হলো গত ২৫ মার্চ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানটি। এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টে বাংলাদেশীদের পক্ষ হতে এই রকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য গৌরবের ও সম্মানের। অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করেন শ্রাবন্তী কাজী সম্পাদিত সিডনির জনপ্রিয় পত্রিকা ‘প্রভাত ফেরী’।

ছবিঃ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী বব কার

ব্রান্ডিং বাংলাদেশের সহযোগিতায় সিডনির নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস এর সাবেক মূখ্যমন্ত্রী এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী বব কার।

ছবিঃ ম্যাট টিস্টেহোয়াইট এমপি

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

ছবিঃ অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন

ছবিঃ সিরাজুস সালেকিন

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উস্তাদ সিরাজুস সালেকিন, কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত, সংগঠক নেহাল নেয়ামুল বারী, সংগঠক এবং সিডনির বৈশাখী মেলার আয়োজক শেখ শামীমুল হক, হারিস ভেলজী, সোফি কোটসিস এমপি, জোডি ম্যাককেই এমপি, আনুলোক এমপি, ম্যাট টিস্টেহোয়াইট এমপি, মিশেল রোলান্ড এমপি, সিডনির কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম, এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান।

ছবিঃ কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত

ছবিঃ সংগঠক নেহাল নেয়ামুল বারী

আলোচনা শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম।

ছবিঃ ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম

কবিতা আবৃতি করেন সালমিন সুলতানা তানহা, সরোদ পরিবেশন করেন উস্তাদ তানিম হায়াত খান।

ছবিঃ সরোদ পরিবেশন করেন উস্তাদ তানিম হায়াত খান

এ ছাড়া অনুষ্ঠান শুরুর আগে সিডনির পাশের শহর গসফোর্ড এলাকা থেকে নির্বাচিত লেবার পার্টির এমপি লিসেল টেক অনুষ্ঠানস্থলে এসে বাংলাদেশের এই মহতী লগ্নে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশী কমিউনিটিকে অভিনন্দন জানান। 

ছবিঃ জোডি ম্যাককেই এমপি

বব কার তার বক্তব্যে মজা করে বলেন, তাঁর ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জন্ম একই বছরের একই দিনে। অথচ রাজনীতি শেষে আজ তিনি যখন সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন, আরেকজন তখন দাপটের সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইংরেজিতে অনূদিত ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ থেকে পাঠ করে শোনান। বব কার বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি একাত্তরের স্মৃতিচারণ করেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

ছবিঃ মিশেল রোলান্ড এমপি

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়ন্নের লক্ষ্যে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার বিশদ চিত্র তুলে ধরা হয়। পশ্চিমা দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানের জন্য বাংলাদেশী বক্তাদের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের উপরে প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করার জন্য সিডনির জনপ্রিয় পত্রিকা ‘প্রভাত ফেরী’র প্রধান সম্পাদক শ্রাবন্তী কাজীকে ধন্যবাদ জানান ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম। অনুষ্ঠানে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশের সদস্য মেহেদী হাসান শাহীন, আলী আশরাফ হিমেল, মহীউদ্দীন কাদির, শাহ নেওয়াজ আলো, আকাশ দে, শাকিল মল্লিক এবং আয়শা আমজাদ সব ধরনের সহযোগিতা করেন। এছাড়া নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টও উদযাপনে সামিল হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরকে গৌরাবান্বিত করে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top