সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার্স এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার উম্মুক্ত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৩৫

আপডেট:
৩ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৩৬

 

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার্স এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া এর এক যুগ পূর্তি আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে এসোসিয়েশন আয়োজন করে উম্মুক্ত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। ৩২ টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ২১ মার্চ সিডনির লাকেম্বাস্থ পেরী পার্কে খেলা উদ্বোধন করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি কেসিম শামীম। তিনি সুন্দর একটি বক্তৃতার মাধ্যমে সবাইকে সহযোগীতা করার জন্য অনুরোধ করেন। এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রাশেদ খান এর সক্রিয় উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। ব্যাডমিন্টন পরিবারের একমাত্র মুক্তিযাদ্ধা জনাব হেলাল উদ্দিনকে ক্রেষ্ট দিয়ে সন্মান জানানো হয়। ক্রেষ্ট নিয়ে হেলাল উদ্দিন আবেগ প্রবন হয়ে পড়েন।

 

খেলা পরিচালনার সার্বিক দিয়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন আসাদুজ্জামান শাহীন এবং আদিল শরীফ রবীন। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ছিলেন আরমান শেখ, শহীদুজ্জামান বাবু ও সুমিত মাসুম। আসাদুজ্জামান শাহীনের সুন্দর এবং সাবলীল উপস্থাপনা সবাইকে মুগ্ধ করে। প্রধান পৃষ্ঠপোষক রশীদ ভুইয়া সঙ্গে থেকে সবাইকে অনুপ্রানিত করেন।

এসোসিয়েশনের একযুগ পূর্তি উপলক্ষে একটা স্মরনিকা বের করার উদ্যোগ নেয়া হয় এবং এসোসিয়েশনের একজন উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা এর সম্পাদনার দায়িত্ব নেন এবং সবার সাহায্য নিয়ে যথাসময়ে এটা সম্পন্ন করেন। সভাপতি ম্যাগাজিনের মোড়ক উম্মোচন করেন।

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর টান টান উত্তেজনা নিয়ে খেলা চলে এক সপ্তাহ ধরে। অনেক উত্থান পতন আর অনিশ্চয়তা নিয়ে চারটি দল সেমি ফাইনালে এবং এর মধ্য হতে দুই দল ফাইনালে উঠে। ফাইনালে উত্তীর্ন দুইটি দলের একটা দল আরাফাত ও রাকেশ এর এবং অন্য দল ওয়াসেল ও নবীন।

২৮ মার্চ নির্ধারিত হয় ফাইনাল খেলা। অনেক উৎসাহী দর্শক, খেলোয়াড়, স্বেচ্ছাসেবক এবং স্পন্সর এর উপস্হিতিতে খেলার জায়গাটা মুখরিত হয়ে উঠে। ক্যাম্বলটাউন কাউন্সিলের সন্মানিত কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী ফাইনাল খেলা উদ্ভোধন করে অনুষ্ঠানকে আরও প্রানবন্ত করে তুলেন। সঙ্গে থাকেন কেসিম শামীম এবং রাশেদ খান। বরাবরের মতো রশীদ ভুইয়া সবাইকে উৎসাহ দেন এবং ভবিষ্যতেও সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান শাহীন।

শুরু থেকেই তুমুল উত্তেজনা নিয়ে ফাইনাল খেলা শুরু হয়। চলতে থাকে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই। আন্দাজ করা কষ্ট হচ্ছিল কোন দল জিতবে। প্রথম খেলায় জয়ী হয় আরাফাত ও রাকেশ দল। দ্বিতীয় খেলায় জয়ী হয় ওয়াসেল ও নবীন। উত্তেজনা তুঙ্গে উঠে যখন শুরু হয় তৃতীয় খেলা। এক শ্বাস রুদ্ধকর এবং দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো খেলে আরাফাত ও রাকেশ দল চ্যাম্পিয়ন হয়।

খেলা শেষে শুরু হয় বহুল প্রতিক্ষিত পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ন সব খেলোয়াড়কে ট্রফি দেয়া হয়। তারপর রানার আপ ট্রফি এবং চ্যাম্পিয়নদ ট্রফি। খেলোয়ড়দের ট্রফি দেবার আগে সকল স্পন্সরদের ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। স্পন্সরদের সবাই আগামীতে সঙ্গে থাকার আশ্বাস দেন। স্বেচ্ছাসেবক এবং উপদেস্টাদের সন্মানিত করা হয় উপহার দিয়ে। সবশেষে সুস্বাদু খাবার এর সাথে গল্পে মেতে উঠে সবাই। আগামীতে আরও ভালোভাবে এই আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়ে রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত খাটুনী খেটে আয়োজকরা বাড়ী যান।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top