সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


আপিলেও জামিন পেলেন না খালেদা জিয়া, উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ


প্রকাশিত:
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২৭

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০১

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ।

খালেদার জামিন প্রশ্নে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শুনানি শেষ হয়। পরে এজলাস ছেড়ে উঠে যান বিচারপতিরা। ছয় বিচারপতি মিলে ভেতরে ১৫ মিনিট পরামর্শ করার পর এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এ সময় পিনপতন নীরবতা ছিল এজলাস কক্ষে।

এর ফলে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার আর কার্যত কোনো সুযোগ থাকল না। খালেদা জিয়া কেবল আপিলের রায় রিভিউ করতে পারবেন। আইনজীবীরা বলছেন, রিভিউয়ে আপিলের রায়ে কোনো পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

এর আগে দুর্নীতির আরেক মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করে। ওইদিন রায়ের পরপরই তাকে পুরাতন ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫ বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা দুদকের রিভিশন আবেদন গ্রহণ করে ৩০ অক্টোবর তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হলে আদালতের কাছে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর। পরে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

আইনজীবীরা জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা বা ‘অ্যাডভান্স বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট’ এর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top