সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


একুশ বছরে চ্যানেল আই


প্রকাশিত:
২ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩৯

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫১

একুশ বছরে চ্যানেল আই

প্রভাত ফেরী, বিনোদন ডেস্ক: বাঙালির অহংকার, সম্মান ও মর্যাদার স্মারক গর্বের ‘একুশ’। এমন একটি অর্থবহ সংখ্যায় পদার্পণ করলো চ্যানেল আই। ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ, প্রবাসেও বাংলাদেশ’ স্লোগান ধারণ করে ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর পথচলা শুরু বেসরকারি এই চ্যানেলটির।



চ্যানেল আইয়ের হাত ধরে এদেশের টেলিভিশন জগতে উন্মোচিত হয় এক নতুন দিগন্তের। গত দুই দশকে বিশ্বব্যাপী বাংলাভাষী মানুষ এবং টেলিভিশন শিল্পকে অনেক ‘প্রথম’ উপহার দিয়েছে চ্যানেল আই।



প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক সপ্তাহ আগে থেকেই প্রিয় চ্যানেলকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছেন শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সব অঙ্গনের মানুষ।



দিনটি উপলক্ষে আজকের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ০১ মিনিট) চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে তৈরি মঞ্চে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মজুমদার, চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মুকিত মজুমদার ও জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বরেণ্য ও গুণীজন।



সকাল ১১টায় আবারও কেক কাটা হয়। প্রধান অতিথি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বিশিষ্টজন ও চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কেক কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে ২১ বছরে পদার্পণের দিনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আবুল মকসুদ, আজাদ রহমান, সাংবাদিক সাইফুল আলম ও ইনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ। এরপর ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামসহ অনেকে। উদ্বোধনের পর পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য। সংগীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার, কিরণ চন্দ্র রায়, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফেরদৌস আরা প্রমুখ।



দেশের শীর্ষ দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে চ্যানেল আই। সেখানে চ্যানেল আইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণী দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন দেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন থেকে শুরু করে বাংলা চলচ্চিত্রের শীর্ষ অভিনেতা শাকিব খান।



রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতার সাথে দায়িত্বও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমি আশা করি, এ দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের প্রতি অবিচল থেকে ‘চ্যানেল আই’সহ সকল গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, নির্মল বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে জাতি গঠনে অব্যাহত অবদান রেখে যাবে।



‘‘প্রতিষ্ঠার পর হতে চ্যানেল আই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করে আসছে। বিশেষ করে কৃষি উন্নয়ন তথা গ্রামনির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অগ্রযাত্রায় ‘চ্যানেল আই’-এর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। তা ছাড়াও পরিবেশ ও প্রকৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নে এ চ্যানেলটি কাজ করে যাচ্ছে। দেশে-বিদেশে আমাদের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে ‘চ্যানেল আই’ অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’’



চ্যানেল আইয়ের উদ্যোক্তা, সাংবাদিক, কলাকুশলী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চ্যানেল আই সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং রুচিশীল শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখবে।



চ্যানেল আইয়ের ২১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্যও কামনা করেন তিনি।



১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে চ্যানেল আই। যাত্রার ঠিক দুই বছর পর একই দিন চালু হয় চ্যানেল আই সংবাদ। অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে চ্যানেল আই অনলাইন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top