সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


তামিমের স্ত্রী যখন ‘১৮ বছরের’!


প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:১৩

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২৩:২২

তামিমের স্ত্রী যখন ‘১৮ বছরের’!

আয়েশা সিদ্দিকা তখন চট্টগ্রাম সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী, এক অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখেছিলেন একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র তামিম ইকবাল। দেখেই কুপোকাত, যাকে বলে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’।



এক বান্ধবীকে দিয়ে আয়েশার কাছে মনের কথা, ভালোবাসার কথা বলে পাঠালেন তামিম। শুনেই যাকে বলে পত্রপাঠ বিদায়।



আয়েশা বলেছিলেন, ‘লাভ? আই হেইট দ্য ওয়ার্ড—লাভ!’ এ রকম প্রত্যাখ্যানের পর ভালোবাসা যে আরও বাড়ে, এটা গুণীজনেরা বলেন।



তামিমেরও তা-ই হলো, লেগে রইলেন। ফোন করে, স্কুলের আঙিনায় নানাভাবে বুঝিয়ে তুলে ধরতে চেষ্টা করলেন হূদয়ের আকুতি। ফলাফল শূন্য।



তাদের ভাষ্যমতে, ‘সব চেষ্টা বিফলে যাওয়ার পর একদিন বললাম, আমরা অন্তত বন্ধু তো হতে পারি? এই প্রস্তাবে কাজ হলো। এ রকম নির্দোষ একটি প্রস্তাবে রাজি হয়েই বেচারি ফেঁসে গেল।



বন্ধুত্বের পর্বে আমাকে জানার সুযোগ হলো তার, দেখল যত খারাপ ভেবেছিল তত খারাপ মানুষ নই আমি…এবার টোপটা গিলে ফেলল…হা হা হা।’



এগুলো ছিল বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ও তার স্ত্রী আয়শার প্রেমের সূত্রপাত। অতঃপর দীর্ঘদিনের পরিচয়, পরিণয় পেরিয়ে ২০১৩ সালের ২২ জুন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তামিম এবং আয়শা।





ইন্সটাগ্রামের আয়শার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে ছবিটি সংগৃহীত



চলতি বছরের ২২ জুন বিয়ের চার বছর পার করলেন এই দম্পত্তি। তাদের ঘর আলো করে এসেছেন আরহাম।



তামিম ইকবাল পরিবারের অনেক কিছুই জানা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে। বিশেষ করে ইন্সটাগ্রামে তামিম পুত্র আরহাম ইকবাল খানের নানা রকম কাণ্ড, দুষ্টুমি, মায়ের সাথে খুনসুটির ছবি দেখা যায়।



আর তার এসব ছবির প্রকাশক আর কেউ নন তামিম পত্নী আয়শা ইকবাল। এবার সেই ইন্সটাগ্রামেই পাওয়া গেল সদ্য কৈশোর পেরোনো আয়শার ছবি।



রোববার ইন্সটাগ্রামের আয়শার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তামিম পত্নী। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যখন আমি মাত্র ১৮ বছরের ছিলাম। সে সব পুরোনো দিন। সে সব সাধারণ জীবন।’



তবে তামিম বিয়ে করেছেন ক্রিকেট থেকে যোজন যোজন দূরে থাকা এক নারীকে। যে কিনা ক্রিকেটের অনেক কিছুই বোঝেন না। কেন এমন মেয়েই পছন্দ করলেন?



এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেছিলেন, ‘বউ ক্রিকেট খেলা না বুঝলেই ভালো। কোনো দিন মাঠে খারাপ করলে দর্শকদের দুয়োধ্বনি শুনে ঘরে ফিরে বউয়ের কাছেও নিন্দা-মন্দ শুনতে কার ভালো লাগবে, বলুন? তার চেয়ে মাঠ আর ঘর আলাদা হয়েই থাকুক।’



তামিমের ভাবনাই ঠিক ছিল। আয়শা ক্রিকেট থেকে দূরেই থাকেন। তা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দেখলেই বোঝা যায়। সব সময় ছেলে আরহাম আর নিজের মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে থাকতেই পছন্দ করেন তামিম পত্নী।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top