সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় ইতালি ও স্পেনকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাজ্য


প্রকাশিত:
৬ মে ২০২০ ২০:২১

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২৩:৩৭

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করার পর করোনাভাইরাসে ইউরোপের সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাজ্য। প্রকাশিত নতুন পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩২ হাজারের বেশি। যা ইউরোপের একক কোনো দেশে সর্বোচ্চ।

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, ২ মে পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস থেকে ২৯ হাজার ৬৪৮ জনকে করোনায় মৃত্যুর সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে আরও ২ হাজার ৬৬৫ জন করোনায় মারা গেছেন। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে করোনায় মোট মৃত্যু ৩২ হাজার ৩১৩।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ইতালিতে। সেখানে করোনায় প্রাণ গেছে ২৯ হাজার ২৯ জনের। ইতালি করোনার উপসর্গ নিয়ে সন্দেহভাজন মৃত ব্যক্তিদের করোনা রোগী হিসাবে নথিভূক্ত করেনি।

প্রাণহানির আন্তর্জাতিক তুলনার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির অনেক মন্ত্রী এবং বিশেষজ্ঞ। তারা বলেছেন, মৃত্যুহার বেশি হওয়ার কারণ প্রত্যেক বছরের এই সময়ের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে। বিভিন্ন কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে। যা এই হিসাবের ক্ষেত্রে খুবই অর্থবহ।

গত সপ্তাহে দেশটিতে প্রথমবারের মতো হাসপাতালের বাইরে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের করোনার মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া করোনায় কেয়ার হোমের মৃতদেরও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাড়িতে কিংবা কেয়ার হোমে মারা যাওয়ার পর পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়লেই কেবল তাদের করোনায় মৃত্যুর সার্টিফিকেট দেয় দেশটির সরকার।

এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনার প্রকোপ সর্বোচ্চ চূড়া পেরিয়ে ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে সোমবার দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লেবার দলীয় ডেপুটি নেতা অ্যাঞ্জেলা রায়নার ব্রিটেন করোনার চূড়ান্ত ধাপ পেরিয়ে গেছে বলে বরিস যে দাবি করেছেন, সেটিকে নিরর্থক বলে মন্তব্য করেন।

ইউরোপে ইতালিই প্রথম করোনাভাইরাসের কেন্দ্র হয়ে ওঠে ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে করোনায় প্রথম মৃত্যু ঘটে ইতালিতে। এর পরপরই ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে পুরোপুরি লকডাউনে যায় ইতালি। তবে বর্তমানে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণ কমে আসায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।

ইতালির পর ইউরোপে মৃত্যুর তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৫ হাজার ৪২৮ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৮ হাজার ৩০১ জন। এছাড়া ফ্রান্সে ২৫ হাজার ২০১ এবং জার্মানিতে ৬ হাজার ৯৯৩ জন মারা গেছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিশ্বের ২২০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭১ জন।

চীনে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস দেশটিতে ৪ হাজার ৬৩৩ জনের প্রাণ কাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা ৬৯ হাজার ৯২৫। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনায় দেশটিতে এক লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সূত্র: ডেইলি মেইল


বিষয়: করোনা


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top