সিডনী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৩রা বৈশাখ ১৪৩১


ফের লকডাউন, যুক্তরাজ্যে আবারও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস


প্রকাশিত:
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:০৪

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:২৭

 

প্রভাত ফেরী: করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে নতুন করে কোনও ব্যবস্থা নেয়া না হলে যুক্তরাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালান্স। তিনি বলেছেন, আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাজ্য করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মুখোমুখি হতে পারে।

প্যাট্রিক ভ্যালান্স বলেছেন, আগামী নভেম্বরে যুক্তরাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যু প্রায় ২০০ জনে পৌছাতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ইংল্যান্ডে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে কিনা সেবিষয়ে বিবেচনা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর মাঝেই দেশটির সরকারি প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা করোনার সম্ভাব্য নতুন প্রাদুর্ভাবের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

রোববারও যুক্তরাজ্যে করোনায় আরও ৩ হাজার ৮৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৮ জন।

১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে সংবাদ সম্মেলনে স্যার প্যাট্রিক জোর দিয়ে বলেছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের দিকে করোনার সম্ভাব্য প্রকোপের ব্যাপারে যে চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে; সেটি শুধু ভবিষ্যদ্বাণী নয়। বর্তমানে প্রতি সাতদিনে করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে। যদি এটা মোকাবিলা করা না যায় এবং প্রত্যেক সাতদিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত অক্টোবরের মাঝের দিকে দৈনিক আক্রান্ত ৫০ হাজারের মতো হতে পারে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের দিকে দৈনিক মৃত্যু ২০০ জনে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্যাট্রিক ভ্যালান্স। রোগী দ্বিগুণ হওয়ার এই সময় সাতদিনের মধ্যে আটকে রাখাই সেসময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

ব্রিটেনের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে বর্তমানে ৭০ হাজার মানুষ করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন। দৈনিক নতুন করে আরও প্রায় ৬ হাজার মানুষ ভাইরাসটির সংস্পর্শে আসছেন। তবে দেশটিতে এপ্রিলে মহামারির তীব্র প্রকোপ থাকলেও বর্তমানে তা কমে আসছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ৪৬ হাজার ৭০৬ জন।

ফের লকডাউনে ব্রিটেন:  ব্রিটেন সময় আজ সকাল ১০টায় কোবরা মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আবার লকডাউনের ব্যাপারে।  করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সহায়তা করতে ইংল্যান্ডের সব পাব, বার, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য আতিথেয়তার জায়গাগুলো বৃহস্পতিবার থেকে রাত ১০টায় বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ আইন শুধু টেবিল পরিষেবায় সীমাবদ্ধ থাকবে।

আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী সংসদে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।

অনেক জায়গায় স্থানীয় কাউন্সিলগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ছয়জনের নীতি মানার সঙ্গে ক্রেতাদের  ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। নতুন নির্দেশনায় সেবা খাতে জড়িত কর্মচারীদের তথ্য ও সরক্ষণের  জন্য বলা হয়েছে।  যুক্তরাজ্যের কভিড-১৯-এর  সতর্কতা স্তর ৪-এ চলে গেছে, যার অর্থ সংক্রমণ 'উচ্চতর বা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে'।

 

বরিস জনসনও আশা করেন যে লোকেরা সামাজিক দূরত্বের নির্দেশিকা অনুসরণ করে, মুখের মাস্ক বা  আচ্ছাদন পরে এবং নিয়মিত তাদের হাত ধোয়ার অভ্যাস চালু রাখবেন। এবং  সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে তিনি লোকদের বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করবেন, যেখানে এটি ব্যবসায়ে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।

মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা বৈঠক করবে এবং বরিস জনসন কোবরার  জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করবেন - এতে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের নেতারা অংশ নেবেন।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top