সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


নিয়ন্ত্রণহীন সংক্রমণে ভারতে একদিনে আক্রান্ত ৩ লাখ ৮৬ হাজার, মৃত্যু ৩৪৯৮


প্রকাশিত:
৩০ এপ্রিল ২০২১ ২১:৪৫

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২৪

ফাইল ছবি



প্রভাত ফেরী: ভারতে আবার রেকর্ড দৈনিক সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণহীন করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৪৯৮ জনের। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছে দুই লাখ ৯৭ হাজার ৫৪০ জন। এই মুহূর্তে ভারতে ৩১ লাখ ৭০ হাজার ২২৮ জন করোনায় আক্রান্ত। এখন পর্যন্ত সে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৬ জন। আর, করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে এক কোটি ৫৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৮ জন। আর, এখন পর্যন্ত করোনা প্রাণ কেড়েছে দুই লাখ আট হাজার ৩৩০ জনের। ভারতে দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি। এ পর্যন্ত সে দেশের ১৫ কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার ১৭৯ জন মানুষ টিকা পেয়েছে।
করোনা ঝড়ে কাঁপছে গোটা ভারত। লাগামহীন সংক্রমণ রুখতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় তুললেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. নভজ্যোত দাহিয়া। মোদিকে ‘সুপার স্প্রেডার’ বলে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রীই।
সংবাদমাধ্যমে নভজ্যোত দাহিয়া বলেছেন, ‘করোনায় সুরক্ষাবিধি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য মহল, তখন সব রকম কোভিড বিধি ভেঙে রাজনৈতিক সমাবেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
উল্লেখ্য, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মোদি সরকারের ভূমিকার সমালোচনায় মুখর হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশও। এই পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএ’র ভাইস প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
কিছুদিন আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সবাই করোনা বিধি মেনে চলুন। অকারণে বাড়ির বাইরে বের হবেন না। করোনা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। কঠিন সময়ে ধৈর্য হারালে চলবে না।’
মোদি এও বলেছিলেন, ‘আপনারা সচেতন হলে, লকডাউনের কোনো প্রশ্নই নেই।’ আরও একধাপ এগিয়ে মোদি বলেন, ‘দেশকে লকডাউনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’
একইসঙ্গে রাজ্যগুলোর উদ্দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘লকডাউন হোক সর্বশেষ বিকল্প। বরং মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের ওপর জোর দেওয়া হোক।’

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top