সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


গণেশ পুজোতেও কলকাতায় সক্রিয় তৃণমূলের নেতারা


প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০৫

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩৯

 

প্রভাত ফেরী: গণেশপুজোর ময়দানেও সেই দখল, পুনর্দখলের খেলা। রাজ্যে পালাবদলের পরে বাম-শিবির ঘনিষ্ঠ পুজোকর্তাদের সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তৃণমূলের মেজো-সেজো নেতারা। গত বছরও যেখানে বিজেপি নেতাদের দাপট ছিল, সেখানে এ বার রাজ্যের শাসকেরাই সক্রিয়।
সিদ্ধিদাতা আছেন নিজের মেজাজেই। শুধু ভক্তদলে পরিবর্তন। শুক্রবার বিকেলে কুমোরটুলির শিল্পী বাবু পাল হাসছেন, “গণেশের বায়না ভালই! তবে গেল বার গেরুয়া উত্তরীয়ধারী পুজোকর্তাদের বেশি দেখেছি। তাঁরা উধাও।” কয়েক বছর হল কলকাতার ওজনদার গণেশ হিসাবে নামডাক ছড়িয়েছিল সল্টলেকের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে মৈত্রী সঙ্ঘের পুজোর। সেই পুজোকর্তা, তৃণমূল থেকে বিজেপিভুক্ত সব্যসাচী দত্ত এ বার গণেশপুজোয় নেই। সব্যসাচীর পুজোর ঠাকুর গড়তেন কুমোরটুলির মহিলা শিল্পী কাঞ্চী পাল। তিনি বলছেন, ‘‘কই! দাদা তো গণেশের বায়না দেননি।’’ সব্যসাচীবাবু বলছেন, “তৃণমূল পুজোটা দখল করেছে। আমার স্ত্রীকে সরিয়ে পুজোকর্তা হিসাবে সুজিত বসুর নাম! গোবিন্দার মতো মুম্বইয়ের তারকাদের নিয়ে জলসা, কিছুই হচ্ছে না!” সল্টলেকের স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর সুপ্রিয় চক্রবর্তী বা পুজোকর্তা সৈকত ঘোষ দু’জনেই কিন্তু বলছেন, “পুজো ভাল হচ্ছে। কোভিড-বিধির মধ্যে জলসা তো হওয়া উচিতও নয়।” সব্যসাচীবাবু পুজোয় নেই, সেটা ওঁর সমস্যা বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
বিজেপি নেতাদের কয়েকটি পুজো, শাসক দলের ছিনিয়ে নেওয়ার কথা বলছেন সায়ন্তনবাবুরা। তৃণমূল নেতাদের পারস্পরিক রেষারেষিতেও শুরু নতুন পুজো। সল্টলেকে ইই ব্লকের নতুন পুজোয় মণ্ডপের বাইরে মা দুর্গার মুখ। পুজোকর্তা তথা স্থানীয় নেতা পার্থ চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘এখন কিন্তু গণেশপুজোই দুর্গাপুজোর ঘোষণা করে দেয়। রেষারেষি নয়, সবার উৎসাহেই নতুন পুজো হচ্ছে।’’ বিরাট গণেশপুজো হয় মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের বাড়িতে। এ বার তিনি চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে। কন্যা শ্রেয়া ছোট করে পুজো সারছেন।
রাজ্যে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু মানছেন, “বিজেপি কার্যকর্তাদের (কর্মকর্তা) উৎসাহ কমেছে। রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে গত বার কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা লেগে থাকত।” তবে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহের মতো নেতারা এ বারেও অল্পস্বল্প পুজোয় গিয়েছেন। এ দিন সন্ধ্যায় দিলীপবাবু ঢাকুরিয়ায় যুব মোর্চার নেতার পুজোমণ্ডপে ছিলেন। দমদমে সেন্ট্রাল জেলের কাছে আর এক যুব নেতার পুজোতেও রাজ্যের নেতারা যাচ্ছেন।
কুমোরটুলির কাঞ্চী পাল বলছেন, ‘‘পুজো বেড়েছে। তবে গণেশ ছোট!’’ বাগবাজারের পঞ্জাবি হোটেলের পাশে বা শ্যামপুকুরের গণেশ ১৪ ফুটের অর্ধেক। হরিদেবপুরের অজেয় সংহতি ক্লাবঘরে পুজো করছে। পাড়ার মিষ্টির দোকানেও গণেশের প্রিয় উক্রিচা মোদকের পসরা। বিজেপি নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে ঘুরছে রসিকতা, ভোটে গণেশ উল্টোল বলে পুজোই বন্ধ করলেন ওঁরা!

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top