সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


যুক্তরাজ্যে ঐতিহাসিক নির্বাচন আজ, হাড্ডাহাডি লড়াইয়ের আভাস


প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:১৪

আপডেট:
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:২১

বরিস জনসন ও জেরেমি করবিন

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন আজ। চার বা পাঁচ বছর পর পর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ব্রেক্সিট ধাক্কায় পাঁচ বছরের মধ্যে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের যজ্ঞে নামতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যবাসীকে।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় দেশজুড়ে ৬৫০টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ফল জানা যাবে শুক্রবার সকালে।

এর আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ডেভিড ক্যামেরন। ব্রেক্সিট গণভোটে হেরে সরে দাঁড়ান তিনি। তার জায়গায় টেরিজা মে দায়িত্ব নিয়েও টিকতে পারেননি। সর্বশেষ বরিস জনসনকেও একই পথ বেছে নিতে হয়েছে।

১২ ডিসেম্বরের এ নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। আর তাই প্রচার-প্রচারণায় শেষ মুহূর্তেও ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন। শেষ সময়ে দুইজন মূলত জোর দিয়েছেন সেসব আসনে যেসব স্থানে দুই বড় দলের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান খুব বেশি থাকে না।

বরিস জনসন বলেন, ভাবুন তো এটা কতটা চমৎকার হতে পারে যে, কনজারভেটিভদের বিজয় তথা ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন; আর তার উদযাপন হিসেবে এবারের ক্রিসমাসে তুর্কি ডিনার। বিপরীতে এটা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে যে, করবিনরা জিতলে ডাউনিং স্ট্রিট (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) আরও দুইটি গণভোটের জন্য অগ্রসর হবে।

করবিন বলেছেন, এই নির্বাচন হচ্ছে দেশকে বদলে দেওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ; যাতে করে কোনও সম্প্রদায়কে পিছিয়ে থাকতে না হয় এবং সত্যিকার পরিবর্তন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
দেশবাসীর প্রতি করবিনের আহ্বান, তারা যেন বিদ্যমান ইস্টাবলিশমেন্টকে একটি ঝাঁকুনি দিয়ে আশাবাদের পক্ষে রায় দেন। আর ক্রিসমাসের আগেই ব্রেক্সিটের নিষ্পত্তি করতে গণরায় চেয়েছেন জনসন।

ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করেই হচ্ছে দলগুলোর মূল লড়াই। নির্বাচনের ক্যাম্পেইনজুড়ে ছিল ব্রেক্সিট ইস্যুর প্রাধান্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অচলাবস্থা কাটাতে দলগুলো তাদের ধ্যান-ধারণা পেশ করেছে। বরিস জানিয়েছেন, নির্বাচনে জিতলে পরবর্তী সময়সীমার মধ্যে তিনি যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে মুক্ত করতে প্রস্তুত রয়েছেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজতে যদি আবারও ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট হয়, তবে তিনি সে ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকবেন। তবে ব্রেক্সিটের বাইরেও ব্রিটিশদের মাথা ব্যথার কারণ হিসেবে আছে, স্বাস্থ্যসেবা, বিনিয়োগ সুবিধা, শিক্ষা ব্যয়, রেল পরিবহন, জ্বালানি অভিবাসনের মতো বিষয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top