সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


৪৯ সাংবাদিক হত্যা, ৫৭ জিম্মি, ৩৮৯ কারাগারে: রিপোর্টাস উইথআউট বোর্ডার্স


প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:০৮

আপডেট:
২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০১

ছবি: এএফপি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ২০১৯ সালে সারাবিশ্বে অন্তত ৪৯জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ৫৭ জনকে জিম্মি ও ৩৮৯ জন সংবাদকর্মী বন্দি রয়েছেন কারাগারে। গত ১৬ বছরের মধ্যে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা এবারই সবচেয়ে কম। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্যারিসভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টাস উইথআউট বোর্ডার্স এসব তথ্য জানায়। খবর-সিএনএন

২০১৯ সালে মেক্সিকো, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি এ দেশগুলোতে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সব মিলিয়ে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ছিল ৮৭ জন। ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। তবে এর জন্য কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্থাটির বক্তব্য, গত এক বছরে তথাকথিত যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সাংবাদিকরা কাজ কম করেছেন। সিরিয়া বা মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে যারা গিয়েছেন তারাও অনেক বেশি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন।

সংস্থাটির মতে গত দুদশক ধরে গড়ে প্রতিবছর ৮০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৩ সালের পর এবারই সাংবাদিক হত্যার পরিমাণ সর্বনিম্ন। এর কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিক মৃত্যুর ঘটনা কমে আসায়।

গত ১০ বছরে ৯৪১ জন সাংবাদিককে রণাঙ্গনে দায়িত্বপালনকালে প্রাণ দিতে হয়েছে। সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে সাংবাদিকদের মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় শতকরা ৬৩ ভাগ ক্ষেত্রেই ইচ্ছাকৃতভাবে ও টার্গেট করে তাদের হত্যা করা হয় বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরে রিপোর্টটার্স উইদআউট বর্ডার্স।

এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার কমেনি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি সাংবাদিককে বিভিন্ন কারণে আটক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৩৮৯ জন। যার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে চীন। চলতি বছর চীনে এখনও পর্যন্ত আটক সাংবাদিকের সংখ্যা ১২০ জন।

সাংবাদিকরা কম নিহত হয়েছেন, এটা আশার কথা। তবু প্রশ্ন উঠছে, দেশে দেশে কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন সাংবাদিকরা। শুধু চীন নয়, তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও ইদানীং সাংবাদিকদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভারতেও গত কয়েক বছরে এ অভিযোগ বার বার উঠেছে। গোটা উপমহাদেশেই এ অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে। পিছিয়ে নেই যুক্তরাষ্ট্রও। সেখানেও বার বার সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ উঠছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top