সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

না’ মানুষের মা : ঋভু চট্টোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৩১

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২২:৪৬

 

স্টেশনের বাইরের দিকটা হুড়মুড় করে ভেঙে যাওয়ার পরেও মাত্র তিনমাসের মধ্যে এইরকম ভাবে আবার যে তৈরী হয়ে যাবে, এক্কেবারে সামনের থেকে দেখেও মলয় বিশ্বাস করতে পারছিল না।আর পারবেই বা কিভাবে, টিভিতে বহুবার দেখলেও নিজের চোখে এমন দুর্ঘটনার দৃশ্য সেই প্রথম দেখেছিল।নভেম্বর মাসের শেষের দিক, সেদিন আবার একটা বিয়ের দিন ছিল। বিকালের দিকে এক প্রস্থ বৃষ্টি হয়ে হওয়ায় সন্ধের দিকে বেশ ভালোই ঠাণ্ডা লাগছিল।মলয়ের শরীরটাও সেরকম ভালো লাগছিল না।কিছু ক্ষণ আগেই সন্দীপকে ফোন করে বলেছিল, ‘ভাই, আজ মনে হয় বেরোতে পারবো না, শরীরটা ভালো নেই, মনে হয় গত কাল রাতের ঠাণ্ডাটা লেগে গেছে, আশা করি ফোন এলে তোরাই সামলে নিতে পারবি।’

-সে ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের কন্টেনার গুলো গুপীর কাছে তো ?

–হ্যাঁ।তুই কিন্তু যে বাড়ি থেকে খাবার তুলবি তাদের কাউকে দিয়ে আমাদের এন্ট্রি বুকে টাইম লিখে সই করিয়ে নিতে ভুলবি না।গত মাসে সুমিত একটা পৈতে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে টাইম না লিখে চলে এসেছিল।

মলয়ের বেশি কথা বলতে ভালো লাগছিল না।এমনিতে এই ফুডিস ক্লাবের ছেলে মেয়েগুলো খুব ভালো।তাও মাঝে মাঝে দু একটা ভুল করে ফেলে।কিন্তু সরকার আবার এগুলোই বেশি করে ধরে।কত অভুক্ত মানুষ প্রায় প্রতিদিন খাবার পাচ্ছে সেটা কেউ দেখবে না।কিন্ত একটু এদিক ওদিক কিছু হোক মিডিয়া, সরকার, লোকাল পার্টি সবাই হৈ হৈ করতে আরম্ভ করবে।এ কথাগুলো অবশ্য সি.এম.ও এইচ স্যার বার বার করে বলে দিয়েছিলেন।‘শুনুন মলয় বাবু আপনি বা আপনার ফুডিস ক্লাব প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে খাবার খাওয়ান এতে সাধারণত কারোর কিছু অসুবিধা বা সুবিধা হবে না।কিন্তু  এক জনের কিছু অসুবিধা হোক অমনি দেখবেন সবাই ছুটে বেড়াবে।এমনকি অফ দ্য রেকর্ড বলছি তখন আমাকেও আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলবে।ভুলে যাবেন না আপনিও একজন সরকারি কর্মচারি।’

মলয় বিষয়টা জানে, বোঝেও।লোকজন পিছনে লাগতে পারলে আর কিছু চাই না।ফুডিস ক্লাবের ফেসবুকে একটা গ্রুপ তেরী করে এই শহরের কোথায় কি ভালো খাবারের দোকান আছে সেই সব জেনে পোস্ট করতে আরম্ভ করেছিল।সবাই ভালো ভালো খাবারের দোকান, বা রেস্তোরার খবর পেত।সেখানে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেল।মলয়ই একদিন কথাটা তুলল।সঙ্গে সঙ্গে সবাই রাজি।প্রথমে নিজেরাই ফাণ্ড তৈরী করে তা থেকেই কয়েকটা বড় বড় কন্টেনার কিনল।চারদিক পোস্টারিংও হল। বিশেষ কিছু না।শুধু বলল,‘আপনাদের যে কোন অনুষ্ঠান বাড়ির কোন খাবার বেঁচে গেলে আমাদের ফোন করুন, আমরা নিজেরাই আপনার বাড়ি থেকে খাবার সংগ্রহ করে এই শহরের গরিব দুঃখিদের খাওয়াবো।’ খুব অল্প দিনের মধ্যেই ফুডিস ক্লাবের কথা খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়েও পড়ল।মলয় আর ফুডিস ক্লাব এক্কেবারে এক হয়ে গেল।কষ্ট হয়, বেশির ভাগ অনুষ্ঠান বাড়িই রাত সাড়ে বারোটা একটার সময় ফোন করে।তারপর তাদের বাড়ি গিয়ে খাবার নিয়ে এসে সব ব্যবস্থা করতে করতে রাত শেষে ভোর হয়ে যায়।তাও সেই সব অভুক্ত মানুষগুলো যখন পেটের জ্বালায় গোগ্রাসে খেতে আরম্ভ করে মলয়ের সব কষ্ট কেমন যেন সরে যায়।গ্রুগের সবার সাথে মলয়ও একটা তৃপ্তির শ্বাস ছাড়ে।

সেদিন আবার ছটা অনুষ্ঠান বাড়ির থেকে বাড়তি খাবার সংগ্রহ করতে পেরেছিল।আগের দিন ফিরতে ফিরতেও ভোর সাড়ে চারটে হয়ে গেছিল, তার উপর জ্যাকেট, মাফলার কিছুই নিয়ে যায় নি।রাতে খোলা আকাশের নিচে অত অত মানুষকে খাবার পরিবেশন করতে করতে ঠাণ্ডাটা যে এমন ভাবে নিজের শরীরে জাঁকিয়ে বসতে পারে এটা বুঝতে পারল একটু বেলাতে ঘুম থেকে উঠে।সারাটা শরীরে ব্যথা, মাথায় ব্যথা।সেই দিন আর স্কুলও যাওয়া হল না।সন্ধে থেকে শরীর একটু ভালোর দিকে গেলেও মা সেদিন আর কিছুতেই বাইরে যেতে দিল না।মলয় মাকে অনেক ক্ষণ ধরে বোঝানোর চেষ্টা করল,‘আজও তিনটে অনুষ্ঠান বাড়ির কথা আছে।আমি না গেলে ওরা ঠিক মত করতে পারে না।’

-না পারুক, কিন্তু তোকে কিছুতেই আজ সন্ধে বেলা বাইরে যেতে দেবো না।

এর পর মলয় সন্দীপকে ফোন করে সব কিছু বলে।তাও ওদিকেই মন পড়ে থাকে।চারদিকের পোস্টারে তো তার ফোন নম্বরটাই প্রথমে দেওয়া আছে।

কিছু সময় একটু তন্দ্রা মত এসে গেছিল।হঠাৎ ফোনটা পেয়েই একটু চমকে ওঠে মলয়।স্ক্রিনে তখন,‘সন্দীপ কলিং।’ ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সন্দীপ বলে উঠল,‘ঘরে আছো?’

–হ্যাঁ কেন?

-টিভি দ্যাখো নি, বিরাট ঘটনা ঘটেছে।

–কই জানি না তো, কি হয়েছে ?

–আরে স্টেশনের বাইরেটা ভেঙে পড়ে গেছে।

–মানে! কিভাবে?

-কিভাবে জানি না।বাইরেটা কাজ হচ্ছিল, এক্কেবারে পুরোটা ভেঙে পড়ে গেছে।টিভিতে দেখাচ্ছে।

–তোরা কোথায় আছিস?

–আমাদের ঠেকে।

-ঠিক আছে।তোরা ওদিকটা সামলা, আমি স্টেশনে আসছি। কয়েক জনকে ফোন করছি।

এবার আর মায়ের কোন আপত্তি না শুনে বাইকটা নিয়ে মলয় বেরিয়ে গেল।শুধু বেরোনোর আগে একটা জ্যাকেট গায়ে চাপিয়ে নিল।স্টেশন চত্বরে ততক্ষণে লোকে লোকারণ্য।অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের বড় কর্তাদের গাড়ি, রেলের গাড়ি সব হাজির হয়ে গেছে।পুলিশ এসে জায়গাটা ঘিরে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছে।মলয়ের সাথে তার ফুডিস ক্লাবের কয়েকজন সেখানে ততক্ষণে চলে এসেছে।থানার বড়বাবুর সাথে মলয়ের খুব আলাপ।থানার সাথে তাদের ফুডিস ক্লাব মিলে অনেক কাজ করেছে।এই তো আর কয়েকদিন পরেই পিকনিক আরম্ভ হবে।থানার সাথে মিলে ফুডিস ক্লাব শহরের বিভিন্ন পিকনিক স্পটে প্লাস্টিকের ব্যবহারের বিরুদ্ধে সচেতনতার ব্যবস্থা করবে।কয়েকদিন আগে একটা মিটিং হয়ে গেছে।এছাড়া ব্লাড ডোনেশন বা বিভিন্ন রোগির প্রয়োজনে রক্তের জোগাড় করা তো আছেই।

মলয় একটু ঘুরতে ঘুরতে একপাশে বড়বাবুকে দেখতে পেয়ে সৌজন্য বিনিময় করেই জিজ্ঞেস করে,‘ক্যাসুয়েলটির কোন খবর আছে নাকি?’

বড়বাবু একটা লম্বা শ্বাস ছেড়ে বলে উঠলেন,‘অফিসিয়ালি দুজন ইনজিয়োর্ড।একটু আগেই অ্যাম্বুলেন্সে তাদের হসপিটালাইসড করা হয়ে গেছে।’

–আর আনঅফিসিয়ালি ?

বড় বাবু একটু থমকে গেলেন।চারদিকটা একবার দেখে মলয়কে চোখের ইশারায় একটু পাশে ডেকে নিয়ে আঙুল তুলে এক মহিলার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,‘একটু আগেই ঐ মহিলা আমার পা দুটো জাপটে ধরে কাঁদতে আরম্ভ করেছিল।ওর নাকি হাসবেন্ড আর চারটে বাচ্চা চাপা পড়ে গেছে।ভিতরে আরো কতজন যে আছে কিছু বলা যাচ্ছে না।কিন্তু কাউকে কিছু বলা যাবে না।সবই তো বোঝো।’

–তার মানে আরো ছয় সাত জনের মারা যাবার খবর আছে।

–মোটামুটি।

বড়বাবু আর আর কথা না বাড়িয়ে তাঁর নিজের কাজে চলে গেলেন।মলয় সেই ভদ্রমহিলার কাছে দাঁড়াতে তাকে দেখে মহিলা এক্কেবারে পা ধরে কাঁদতে আরম্ভ করে।মলয় ভালো করে মহিলাকে দেখে।পরনে পুরানো শাড়ি,গায়ে হাতে পায়ে ময়লা লেগে আছে।মলয় চারদিকটা আর একবার দেখে মহিলার কাছে এক্কেবারে বাবু হয়ে বসে জিজ্ঞেস করে,‘কি হয়েছে, কাঁদছ কেন?’ মহিলাটি ভালো করে কথা বলতে পারছে না।শ্বাস আর কান্নার সাথে কথাগুলো জড়িয়ে যাচ্ছে।মলয় সব কথা ভালো করে বুঝতেও পারল না।শুধু শুনতে পেল,‘তুমি একটু দেখো গো আমার ছিলাগুলো সব চাপা পড়ি আছে গো, আমার বরটাও ওখানে শুয়ে ছিল গো।’

–আরে না গো, ওরা বেরিয়ে যাবে।তোমার বর হয়ত ওদের নিয়ে বেরিয়ে এসেছে।আমরাও খুঁজছি, তোমার সাথে দেখা করিয়ে দেবো।

কথাগুলো শুনে মেয়েটি আরো কেঁদে ওঠে।তার মাঝেই বলে,‘আজ যে উয়ার জ্বর এসিছে গো।’

মলয়কে ওরকম ভাবে বসে থাকতে দেখে এক ভদ্রলোক এসে বললেন, ‘এ নাকি তখন খাবার আনতে গেছিল, আর ওর বর আর চারটে বাচ্চা ওখানে শুয়েছিল।’

-আপনি দেখেছেন? মলয় জিজ্ঞেস করে।ভদ্রলোক বলে উঠলেন, ‘না না, এরা এখানে চাষের কাজ করতে আসে।আমি একটু আগে জিজ্ঞেস করছিলাম।’

মলয় চারদিকটা আরেকবার দেখে বড়বাবুর কাছে এসে বলে,‘স্যার আপনি একটু দেখুন না,ঐ ভদ্রমহিলা বলছেন…..’

–দেখছি…।আমি কথা বলেছি।আমারও মনে হচ্ছে এই ডেব্রিসের মধ্যে আরো অনেকেই চাপা পড়ে থাকতে পারেন।

কিছু ক্ষণের মধ্যেই সন্দীপের ফোন পেল,‘দুটো  অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফোন করেছিল।দু’শ জনের মত খাবার হতে পারে।’

-ঠিক আছে।তুই স্টেশনে নিয়ে চলে আয়।এখানে এখনো অনেকে না খেয়ে রয়েছে।দু’শটা তিনশ জনের হয়ে যাবে।

তিনশ নয় মলয়দের ফুডিস ক্লাব সেই রাতে প্রায় সাড়ে তিন’শ জন অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পেরেছিল।গরিব ভিখারির থেকে অনেক সাধারণ মানুষও খেয়েছিল।সব কাজ করতে সারতে সারতে রাতও হল।নিজেদের আনা খাবারের কন্টেনারগুলো গুছিয়ে বেরোতে যাবে এমন সময় একটা চিৎকার কানে আসতে মলয় সেই আওয়াজ ধরে সেদিকে যেতেই দেখে কয়েকজন স্টেশনের ভেঙে যাওয়া ইট, পিলার নিয়ে ছেড়ে যাওয়া একটা ডাম্পারের পিছন পিছন ছুটছে।তাদের মুখেই চিৎকার শোনে,‘ওরা লাশগুলোকে এই গাড়িতে তুলল, ধর ধর।’

কিন্তু ঠিক কে ধরবে? ততক্ষণে পুলিশ দড়ি বেঁধে লাঠি উঠিয়ে তাদের আটকে দেয়।ডাম্পার আর বুলডজারের আওয়াজের নিচে চাপা পড়ে যায় মাত্র কয়েকজন না মানুষের আর্তনাদ।বড়বাবুকে দেখতে পায় না।

মলয় ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই পুরো ব্যাপারটা লক্ষ করে ভেঙে যাওয়া স্টেশনের একটা ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে। তার নিচে লেখে,‘বন্ধুরা তৈরী থেকো, রাতে রক্ত লাগতে পারে।’

পরের দিন ঘুম ভাঙে বড় বাবুর ফোনে।ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে বড়বাবু একটু কড়া গলায় বলে ওঠেন, ‘তোমার ফেসবুকের পোস্টটা এক্ষুণি ডিলিট কর।’

মলয়ের তখনও ভালো করে ঘুম ছাড়েনি।জড়ানো গলাতেই উত্তর দেয়,‘কোন পোস্টটা।’

-আরে ঐ যে রক্ত লাগবার কথা লিখেছ।

–কেন, কিছু হয়েছে?

-এই উঠছ নাকি?

-হ্যাঁ।

-স্কুল আছে?

–হ্যাঁ।

-তাহলে বিকালের দিকে একটা ফোন করে থানায় এসো।আর এখনই পোস্টটা ডিলিট করে দাও।

পোস্টটা সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিলেও সারাটা দিন মনের ভিতরটা খিঁচ খিঁচ করে যেতে লাগল।কিছুই তো জানা গেল না।সবটা পরিষ্কার হল সন্ধেবেলা।থানায় যেতেই বড়বাবু বলে উঠলেন,‘আজ খুব জোর বেঁচে গেছ, তোমাকে  অ্যারেস্ট করতে বলে ছিল।’ 

অবাক হয়ে গেল মলয়।‘ অ্যারেস্ট!কে বলেছিল?’

–তোমার পোস্টটা বহুবার শেয়ার হয়েছে। কারো চোখে পড়েতেই ব্যাস।কোন মানুষ স্টেশনের ভিতর রাতের বেলা থাকতে গিয়ে চাপা পড়ে মারা গেছে।এটা সরকারের কাছে কতটা ড্রব্যাক বলতো।তার ওপর তুমি আবার রক্তের কথা লিখলে।তার মানে অনেক ইনজিয়োর্ড।এর দায় তো সরকারের।তুমি এখানে থেকে সরকারের বদনাম করছ, তাও আবার ভোটের বাজারে।তোমার নামে তো….’

–বাব্বা, ঘামিয়ে দিলেন তো।রক্তের প্রয়োজন হতে পারে এই ভেবে পোস্টটা করেছিলাম।

–নেহাৎ আমি তোমাকে পারসোনালি চিনি, না হলে কোথা থেকে কি যে হত বুঝতেই পারতে না।

থানা থেকে বেরোনোর সময়  মলয় শুনতে পেল গত রাতের অফিসিয়ালি আহত দুজন মারা গেছে।  

নতুন ভাবে সেজে ওঠা স্টেশনের সামনে দাঁড়াতেই সব কথাগুলো মলয়ের মাথার ভিতর ভিড় করে এল।লোকজন এখন স্বাভাবিক ভাবেই স্টেশনে ঢুকছে বেরোচ্ছে।মলয় একটু সামনের দিকে এগোতেই একটা ঘেরা জায়গা দেখল।ভিতরটাতে ফুলগাছ ও কয়েকটা বাহারি আলোও লাগানো হয়েছে।সেইরাতে মেয়েটা এই জায়গাতেই বসে বসে কাঁদছিল।মলয়ের দুটো কানে আবার কান্নার আওয়াজ এল।চারদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে বুঝল মনের ভুল।লম্বা একটা শ্বাস নিল মলয়।তারপর প্লাটফর্ম টিকিট কেটে সোজা ভিতরে ঢুকে চারদিকটা ভালো করে দেখতে লাগল।না কোথাও কোন ভাঙার চিহ্ন নেই।নতুন করে রঙ করা, ছবি আঁকা।চোখ দুটো ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যেতেই বন্ধ করতে হল।হয়ত খুলতে পারলেই বুঝতে পারত ঠিক কোনখানে এতগুলো না মানুষ চাপা পড়ে মারা গেছিল।

 

ঋভু চট্টোপাধ্যায়
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top