সিডনী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১

লাইফ অব এ রিক্শা পেইন্টার (পর্ব ছয়) : কাজী মাহমুদুর রহমান


প্রকাশিত:
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:২০

আপডেট:
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৪৯

 

মাদাম জুলিয়াঁর ঢাকা ত্যাগের আগে সৌজন্যবশত তার সাথে অবশ্যই দেখা করা উচিত এই মনোভাবে এক পড়ন্ত বিকেলে রিকশা নিয়ে বের হলাম ধানমন্ডি রেস্টহাউজের উদ্দেশে। নাজু আমাকে মনে করিয়ে দিল বিদায়ের আগে মহিলাকে কিছু একটা উপহার দেওয়া উচিত। কিন্তু কী উপহার দেব তা চিন্তা-ভাবনা করে কুল পাই না। শেষ পর্যন্ত নাজুই পরামর্শ দিল বড়দা, তুই বরং একটা জামদানি শাড়ি দিতে পারিস। কিন্তু তাতে ছোটনের ভিন্নমত। বলল, সব সময় সালোয়ার, কামিজ পরা নাজুর মাথায় ঘিলু থাকলেও বুদ্ধি নেই। শাড়ি গিফট দিলে মহিলা শাড়ি পরবেন কীভাবে? শাড়ি পরা মেলা ঝামেলা। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ, পেটিকোট লাগে, কুচি দিয়ে গুছিয়ে শাড়ি পরবার কায়দা কানুন জানা লাগে। ঐ বিদেশিনী মহিলা তা কি জানেন? কিচ্ছুই জানেন না। তার চেয়ে তুমি আমাদের বাংলাদেশের চিত্রময় একটা নকশিকাঁথা উপহার দাও।

মা’ও ছোটনের কথাতেই সায় দিলেন। নাজুর মুখ ভার। ছোটদা ছোটন বলেছে তার মাথায় ঘিলু থাকলেও বুদ্ধি নেই। আমি নাজুর মাথায় টোকা দিয়ে বললাম, না না। নাজুর মাথায় অনেক বুদ্ধি। জামদানি যেমন আমাদের নকশা, বুননে সেরা ঐতিহ্য, তেমনি নাজুও আমাদের বোন হিসাবে সেরা বুদ্ধিমতি, সেরা ঐতিহ্য। ওর বিয়েতে আমি একশো একটা জামদানি কিনে দেব।

বিয়ের কথায় নাজু আমার বুকে দুটো দুম দুম করে কিল বসিয়ে দিল। আমি হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলাম।

আমি যখন রিকশা নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের সামনে তখন কলাপাতা রং এর শাড়ি পরা এক তরুণী আমার খালি রিকশা দেখে হাত বাড়িয়ে থামাল। সাধারণত আমি রাস্তায় কোনো অপেক্ষমান যাত্রীর ডাকে থামি না। কেননা এ বাহন আমার ব্যক্তিগত। মেয়েটিকে দেখে তার ডাকে এই প্রথম থামালাম। কচি কলাপাতা রং এ শাড়িপরা এই মেয়েটি যেন শান্ত দিঘিপাড়ে মৃদু আলো, মুগ্ধ বাতাসে দুলছে সতেজ কলাপাতার মতোই, যাকে দেখে কবি ওমর আলী হয়তো তার কবিতায় গানের মতোই গেয়ে উঠেছিলেন,
‘এ দেশে শ্যামল রঙ, রমণীর সুনাম শুনেছি ...।’

কবিতার মতেই শ্যামল মেয়েটি হরিণীর মতো উজ্জ্বল দু’টি চোখ তুলে অনুনয়ের স্বরে বলল, এই যে ভাই, অনেকক্ষণ ধরে রিকশা পাচ্ছি না। তুমি কি আমাকে নিয়ে যাবে?

মেয়েটির কণ্ঠের মাধুর্যে কবির কবিতার পাখি যেন ডানা ঝাপটে গান গেয়ে উঠল। এই প্রথম বুকের মধ্যে ছলাৎ করে উঠল শিহরিত রক্তের স্রোত। সেই স্রোতধারায়, আমিও যেন তাকে নিঃশব্দে প্রশ্ন করলাম, নিয়ে যেতে পারি মেয়ে, বল, নিয়ে যেতে হবে কতদূর?

কিন্তু আমি তো কবি নই। এই জনারণ্যের পথে আমি একজন রিকশাওয়ালার ভূমিকায়। আমার পোশাক ধোপ-দূরস্ত নয়। পরনে অবশ্য লুঙ্গি নেই, ঘামে ভেজা জামা বা গেঞ্জি নেই। পরেছি নীল কেডস, নীল জিন্স, নীল টিশার্ট আর একটা নীল ক্যাপ যা আজকালকার ছেলে-ছোকরা রিকশাওয়ালারা হর-হামেশায় পরে থাকে। আমার মনে হঠাৎ করে একটা দুষ্টুমি বুদ্ধি জাগল। শুদ্ধ বাংলায় কথা না বলে রিকশাওয়ালাদের মতোই কথা বলার ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলাম, কই যাইবেন আফা?

মেয়েটি উত্তর দিল, নিউমার্কেটে।
আমি বললাম, ও আইচছা। আমি ওই দিকেই যাইতাছি। উডেন রিকশায়।
- কত নেবে ভাই?
আমি বললাম, আপনেরা যেমুন দিয়া থাহেন তাই দিবেন। উডেন।
মেয়েটি আর কথা না বাড়িয়ে রিকশায় উঠল।
আমার রিকশা চলতে শুরু করল বিপুল আনন্দে।

আমার বুকের ভেতরের পাখিটা অবিরাম ডানা ঝাপটাচ্ছে মেয়েটির সাথে কথার বলার ইচ্ছেতে। তাই বললাম, আফা, আপনেরে দেইক্কা খুব চিনা চিনা লাগে। মনে হয় কই য্যান দেখছি! আপনে কি টেলিভিশনে গানটান গান?

মেয়েটি বলল, মাঝে মধ্যে গাই। তবে চেনার মতো গায়িকা আমি না।

আমি ব্যাধের মতো অন্ধকারে আমার কৌতূহলের তীর ছুঁড়ে যেতে লাগলাম।
- আপা আমি আপনেরে ঠিকই চিনছি। আপনের ভারি মিঠা গলা। এক লহমায় চিনবার মতো গলা।
মেয়েটি আমার প্রশংসায় বোধহয় মৃদু হাসল।
বলল, কী যে বল! আমি কি রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন যে এক লহমায় আমাকে চিনে ফেলা যায়?
আমি বললাম, না আফা, আপনি তাগো মতন না অইলেও অন্যরম। আপনের গান শুনে মনে অয় আমি য্যান রেডিওতে ছাবিনার গান শুনতেছি, গানে মোর ইন্দ্রধনু...

মেয়েটি এবার তার প্রাণখোলা হসিতে হেসে উঠল। আমি তার হাসির মধ্যেই বললাম, আপনে ছাবিনা না অইতে পারেন, লতা না অইতে পারেন তয় হুশ কইরা কইতে পারি আপনের নাম বনলতা সেন।
মেয়েটি তার হাসির মধ্যেই যেন আমাকে ধমকে উঠল, কী সব যা তা বলছ? আমি বনলতা সেন হতে যাব কেন?
- তা অইলে আপনে সুরঞ্জনা?

মেয়েটির এবার আরো ধমক, কী সব আবোল তাবোল নাম বলে যাচ্ছ? আমি হিন্দু না মুসলমান তা কি তুমি জানো?

আমি বললাম, না আফা, আমি তা জানি না। তয় মন যা কইল তাই কইলাম। মানুষের জাত কি নাম দিয়া চিনা যায়? ঐ যে লালন সাঁইয়ের একখান গান আছে না, ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে। লালন বলে, জাতির কীরূপ দ্যাখলাম না এ নজরে।’

মেয়েটির কণ্ঠে আবার সেই হাসির স্রোত আর বিস্ময়, আজ এই ভর বিকেলে এক আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পড়েছি দেখছি! তুমি তো দেখছি এক অদ্ভুত রিকশাওয়ালা! গান পাগলা এক পথ গাহক।

আমি যেন ভয়ানক লজ্জিত। লজ্জা লজ্জা কণ্ঠে বললাম, যে আফা। আমি পাগলা পথ গাহক। আমি সেইডাই। আফা, আপনেরে এট্টা কথা জিগামু?
- বল।
আপনে যেই কলেজের সামনে খারাইয়া ছিলেন আপনে কি সেই কলেজে পড়েন?
- হ্যাঁ।
- কুন কেলাসে পড়েন?
- বি কম পড়ি।

আমি যেন আফসোসের কণ্ঠে বললাম, আহা এট্টু কম কম অইয়া গেল। এট্টু বেশি বেশি অইলে ...
পেছনে মেয়েটির হাসির শব্দ, বেশি হলে কী হত?

আমি বললাম, জে মানে বি এ অইলে বিয়ে অইতো... স্বামী, ঘর, সংসার অইতো... যাউক গা এসব কতা। আফা, আপনে কই থাহেন?

মেয়েটির এবার শক্ত কণ্ঠস্বর, সেটা কি জানা তোমার খুব প্রয়োজন
-জে, মানে ধরেন এই পথ চলতে চলতে আপনের এট্টা এক্সিডেন হইল, বা আপনে হঠাৎ মাথায় চক্কর দিয়া পইড়া গেলেন তহন তো আমি দিশেহারা। আপনারে লইয়া আমি কই যাই, কারে খবর দি? চিন্তা করেন কী কঠিন সমেস্যা।

মেয়েটি কঠিন স্বরে বলল, কোনো সমেস্যা নেই। আমার মাথা চক্কর দেবে না। তুমিই বরং তোমার মাথা ঠিক রেখে রিকশা চালাতে থাকো।

আমি লজ্জিত কণ্ঠে বললাম, জ্বে আফা, আজ আমারই মাথা আউলা বাউলা, রিকশার চাক্কার মতোন শূন্যেতে চক্কর মারতাছে... স্যরি কইরা দেন।

মেয়েটি এবার বোধহয় ফিক করে হেসে ফেলল আমার স্যরি কইরা দেন কথাটায়। বলল, হ্যাঁ স্যরি কইরা দিলাম। কারণ ঢাকা শহরের এক লক্ষ রিকশাওয়ালার মধ্যে তুমিই প্রথম একমাত্র রিকশাওয়ালা যে আমাকে বনলতা সেন নামে ভুল নামে ডাকল, লালনের গানের কথা বলল, আর আমার বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইল।

আমি মৃদু হাসি, মৃদু লজ্জার ভঙ্গিতে বললাম, কিছু মনে লইবেন না আফা। আমি মানুষডা পাগলা কিসিমের এইরম এইডাই।

নিউমার্কেটের দ্বিতীয় গেট ছাড়িয়ে ওভারব্রিজের আগে মেয়েটি রিকশা থেকে নামল। হাতের ব্যাগ খুলে আমার দিকে একটা দশ টাকার নোট বাড়িয়ে দিল।

আমি বললাম, থ্যাংক ইউ আফা। কিন্তু আমি তো ভাড়া লইতে পারুম না।
মেয়েটির কণ্ঠে বিস্মিত প্রশ্ন, কেন?
বললাম, আমার রিকশার পেছনে কী ল্যাহা আছে দ্যাহেন।

মেয়েটি আমার রিকশার পেছনে গিয়ে লেখাটা হয়তো দেখল। কিন্তু ঘুরে এসে আমাকে কিছু বলার আগেই আমি রিকশার প্যাডেলে দ্রুত চাপ দিলাম। মেয়েটির হাতের টাকা হাতেই রইল। কারণ, আমি ততক্ষণে তার নাগালের বাইরে। পথের ভিড়ের সকল শব্দের মধ্যে শুধু তার ক্ষীণ চিৎকার ধ্বনি, এই যে অনলি ফর তাইমুর রিকশাওয়ালা শুনুন...।

আমি আর পেছনে ফিরে তাকালাম না। অনেক রিকশা, গাড়ি আর মানুষের ভিড় ঠেলে আমার রিকশা নিয়ে আমি নিউ মার্কেটের পেছনে কাঁচা বাজারের এ পাশে। পার্কিং করা অন্য গাড়িগুলোর পাশে রিকশাটা শেকল আর তালাবদ্ধ করে গেলাম কাছাকাছি সেইসব দোকানগুলোতে যেখানে নকশিকাঁথা, কম্বল আর যতসব নকশাদার চাদরের সমাহার। কয়েক দোকান ঘুরে একটা দোকানে অনেক নকশিকাঁথার মধ্যে একটা কাঁথা বেশ পছন্দ হল।

কাঁথাটাতে দক্ষ হাতের সূচিকর্মে রঙিন সুতোয় বাংলার গ্রামীণ জীবনের নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দাম দুই হাজার যা আমার আয়ত্ত্বের মধ্যেই। কাঁথাটা সুন্দর করে প্যাক করে দিতে বললাম সেলসম্যানকে। মূল্য পরিশোধের পর প্যাকেটটা হাতে করে পেছন ফেরার আগেই কোনো পরিচিত কণ্ঠস্বর সেলসম্যানের উদ্দেশে প্রশ্ন করল , মশারি আছে, মশারি?

সেলসম্যান সাগ্রহে বলল, আছে আপা, ফরেন মশারি।
কণ্ঠস্বরটা যেন ধমকে উঠল, আমাকে ফরেন চেনাবেন না। আমি দেশি মশারি চাই। চিকুনগুনিয়া মশাটা ধরতে চাই।

আমি পেছনের কণ্ঠস্বরা মেয়েটির দিকে ঘুরে তাকালাম। আমার রিকশার সেই আরোহিনী। আমি বোকার মতো হাসলাম। কিন্তু মেয়েটি হাসল না। রাগী কণ্ঠে বলল,
- অনেক কষ্ট করে আপনাকে খুঁজে বের করতে হয়েছে। আমি বিনে ভাড়ায় কারো রিকশায় চড়ি না।
আমি বললাম, ভাড়ার বিনিময়ে সওয়ারি উঠানোর লাইসেন্স নেই। এই রিকশা প্রাইভেট ওনলি ফর তাইমুর হাসান।
- সেটা আমাকে আগেই বলা উচিত ছিল।
- বলিনি, কারণ আপনি নিজেই চলতি পথে হাত উঁচিয়ে আমাকে থামিয়ে দিলেন। আপনি নিউমার্কেট আসার কথা বললেন। যেহেতু আমিও নিউ মার্কেটে আসব তাই আপনাকে নিয়ে এলাম।
- এনেছেন ধন্যবাদ। কিন্তু এত অভিনয় না করলেও পারতেন।
- পথের গল্প, পথের অভিনয় পথেই শেষ হয়ে গেছে।
- না, সবকিছুই এতো সহজে শেষ হয়ে যায় না। আপনার উচিত ছিল, সত্য পরিচয়ে সত্যি কথাটা বলা, সেটা আপনি বলেননি।
- একজন রিকশাওয়ালার কী প্রয়োজন ছিল আগ বাড়িয়ে নিজের কথা বলা? আপনি তো জেনেই গেছেন আমি একজন পাগলা কিসিমের রিকশাওয়ালা যে অনবরত হাসে, গান গায়, আর অদ্ভুত অদ্ভুত প্রশ্ন করে। যদিও সব প্রশ্নের উত্তর দিতে আরোহিনী মেয়েটা খুউব বিরক্ত হয়েছে। তার বাড়ির ঠিকানা বলেনি।
- আপনি যদি তাইমুর হাসান না হয়ে ছানাউল্লাহ রিকশাওয়ালা হতেন, তাকে কি নিজের পরিচয়, বাড়ির ঠিকানা বলা ঠিক হত?
- ছানাউল্লা রিকশাওয়ালারা আমার চাইতে বেশি ভালো। অনেক হৃদয়বান। কোনো ছানাউল্লাহর রিকশায় যখন বাড়ি ফিরে যাবেন তখন কি তাকে আপনার বাড়ির রাস্তা, নাম ঠিকানা বলবেন না?

মেয়েটি তার ঠোঁট কামড়াল। কি যেন ভাবল।
বলল, এখন আমার মাথা চক্কর দিচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে আমি এই দোকানের মধ্যে কিংবা বাইরে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারি। যদি অজ্ঞান হয়েই যাই তাহলে এই সংকট মুহূর্তে এই ছানাউল্লা আমাকে লালবাগের পুষ্পরাজ রোডের লাল ইটের একটা লাল বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারবে কি?

আমি হেসে বললাম, দুঃখিত, কলাপাতা রঙের শ্যামল রমণী, আমার যে সময় নেই। আমাকে অন্যখানে যেতে হবে এক্ষুণি।
- কোথায় যেতে হবে?
- এই যে উপহারের প্যাকেটটা দেখছেন- এটা নিয়ে যেতে হবে এক বিদেশিনীকে দিতে।
- কে সেই বিদেশিনী?
প্যারিসের খাঁটি ফরাসি। একজন নামী দামি চিত্রশিল্পী।
- খুব সুন্দরী নিশ্চয়?
- হ্যাঁ অসম্ভব সুন্দরী।
- আমি যদি কালো না হয়ে সেই বিদেশিনীর মতো সুন্দরী হতাম তা হলে বোধ হয় কেউ আমাকে উপেক্ষা করে যেত না।
- এখানে উপেক্ষা করার বিষয় নয়। ভদ্রমহিলা আমার জন্যে অপেক্ষা করছেন।
- তাহলে আর কী করা। দেখা-দেখি হোক আনন্দময়।
- দেখা-দেখি আনন্দময় হয়তো হবে না। হবে দুঃখময়। সম্ভবত দু’এক দিনের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
- দুঃখিত। তবে আমাদেরও কি এটা শেষ দেখা?
- জানি না। লক্ষ, হাজার রিকশাওয়ালাদের ভিড়ের মধ্যে কেউ যদি এই ছানাউল্লাহকে খোঁজে তা হলে দেখা হলেও হতে পারে।
- ইচ্ছে তো একজনের না থাকলে হবে না। ছানাউল্লারও ইচ্ছে থাকতে হবে লালবাগের লালবাড়ির একটা কালো মেয়েকে খুঁজে বের করতে- যার নাম শ্যামশ্রী।
- নামটা আমার মনে থাকবে শ্যামশ্রী। আজ আমার আর সময় নেই। আসি।
বলে দ্রুত পায়ে শ্যামশ্রী নামের মেয়েটির চোখের সামনে দিয়ে চলে গেলাম।

 

চলবে

 

লাইফ অব এ রিকশা পেইন্টার (পর্ব এক)
লাইফ অব এ রিকশা পেইন্টার (পর্ব দুই)
লাইফ অব এ রিকশা পেইন্টার (পর্ব তিন)
লাইফ অব এ রিক্শ পেইন্টার (পর্ব চার)
লাইফ অব এ রিক্শ পেইন্টার (পর্ব পাঁচ)

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top