সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

ডরোথি পার্কার: ক্ষুরধার লেখায় অবিস্মরণীয় : আফরোজা পারভীন


প্রকাশিত:
১ মার্চ ২০২১ ২১:৪৯

আপডেট:
১ মার্চ ২০২১ ২২:০৩

 

ডরোথি পার্কার (২২ আগস্ট ১৮৯৩-৭ জুন ১৯৬৭) একজন মার্কিন কবি ও ব্যঙ্গলেখক। কৌতুকবিদ ছিলেন তিনি। ছিলেন কবি। প্রখর রসবোধ, শাণিত বক্রোক্তি এবং ক্ষুরধার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তিনি সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ডট বা ডটি হিসেবেও পরিচিত।

২২, আগস্ট ১৮৯৩ সালে নিউ জার্সির ৭৩২ ওশন এভিনিউতে ডরোথির জন্ম। পিতা- জ্যাকব হেনরি রোথচাইল্ড, মাতা-এলিজা অ্যানি রোথচাইল্ড। নিউ জার্সির লং বিচের সমুদ্র সৈকতে ডরোথির বাবা-মা-এর একটি গ্রীষ্মকালীন কটেজ ছিল। তাঁর বাবা জার্মান ইহুদি ব্যবসায়ীদের বংশোদ্ভূত। আধা শতাব্দী আগে যার পরিবার আলাবামায় বসতি স্থাপন করেছিল। আর তাঁর মায়ের স্কটিশ ঐতিহ্য ছিল। পার্কার যখন ১৯ বছর বয়সী তখন তাঁর কনিষ্ঠ ভাই মার্টিন পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিল।

একটা অসুখী যন্ত্রণাময় শৈশব ছিল ডরোথির। পার্কারের পঞ্চম জন্মদিনের কয়েক সপ্তাহ আগে ১৮৯৮ সালে তাঁর মা মারা যান। ঠিক দু'বছর পর তাঁর বাবা এলিয়েনর ফ্রান্সেস লুইসকে বিয়ে করেন। বিষয়টি পার্কার মেনে নিতে পারেননি। তিনি বাবা এবং সৎ মা উভয়ের ব্যাপারেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে নিন্দাবাক্য উচ্চারণ করেছিলেন। পিতার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছিলেন। পার্কার তাঁর বাবাকে ঘৃণা করতেন, কারণ তিনি শারীরিক নির্যাতন করতেন। নতুন মাকেও তিনি পছন্দ করতেন না। তিনি তাকে "মা", "সৎ মা" কিংবা "ইলিয়ানর" বলে কোনোদিনও ডাকেননি; তিনি সৎমাকে "গৃহকর্মী"-এর অধিক মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি তাকে "গৃহকর্মী" বলেই ডাকতেন।

‘মাই হোমটাউন’ নামের লেখনীতে পার্কার লিখেছিলেন, তাঁর পিতামাতা শ্রমিক দিবসের পরপরই ম্যানহাটনে চলে গিয়েছিল, অতএব তাঁকে একজন প্রকৃত নিউ ইয়র্কার বলা চলে। 

তাদের সৎ মা ইলানোর মারা গিয়েছিলেন মাত্র কয়েক বছর পরে। তখন পার্কার-এর বয়স ৯ বছর। তিনি এবং তাঁর বোন হেলেন ধন্য স্যাক্রেমেন্টের ক্যাথলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে পার্কার নিউ জার্সির মরিস্টাউনের মিস ডানার স্কুলে পড়াশোনা করেন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত। তবে তিনি স্নাতক হয়েছিলেন কি না সে বিষয়ে মতভেদ আছে। পার্কারের ২০ বছর বয়সের সময় তাঁর পিতা মারা যান। এরপর ডরোথি একটি নাচের স্কুলে পিয়ানোবাদকের কাজ করে জীবনযাত্রা নির্বাহ করেন। একই সাথে, তিনি কবিতা লিখতে থাকেন।

পার্কারের লেখক জীবন কয়েকটি পর্বে বিভক্ত: ম্যাগাজিন লেখক (১৯১৪-১৯২৫), কবি ও নাট্যকার (১৯২৫ - ১৯৩২), হলিউড এবং এর বাইরে লেখক (১৯৩২-১৯৬৩)।

পার্কারের লেখা ভ্যানিটি ফেয়ার,আইনসির ম্যাগাজিন, মহিলা জার্নাল, লাইফ, শনিবার সন্ধ্যা পোস্ট,দ্য নিউ ইয়র্ক-এ প্রকাশিত হতো। 

পার্কারের প্রথম লেখা কবিতা প্রকাশ হয় ১৯১৪ সালে ভ্যানিটি ফেয়ার পত্রিকায়। এই পত্রিকা তাঁকে সম্পাদকীয় সহকারী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিল ওই কবিতার কারণে। সেখানে তিনি প্রায় দুই বছর পূর্ণকালীন লেখার কাজ করেছিলেন। তিনি কন্দে নাস্ট মাগাজিন, ভোগ ম্যাগাজিন প্রভৃতিতে সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। ভোগ ম্যাগাজিনে দুই বছর কাজ করার পর তিনি ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে একজন স্টাফ রাইটার হিসেবে যোগদান করেন।

সহকর্মী পি.জি. ওয়েডহাউস ছুটিতে থাকায় পার্কার থিয়েটার সমালোচক লিখতেন ভ্যানিটি ফেয়ার পত্রিকায়। তাঁর তীক্ষè ও শাণিত লেখা পাঠকদের বিশেষ পছন্দের ছিল। তারা লুফে নেয় সে লেখা। কিন্তু শক্তিশালী নির্মাতারা ক্ষুব্ধ হন। 

১৯২০ সালে বিতর্কিত সমালোচনার জন্য পার্কারকে বরখাস্ত করা হয়েছিল ভ্যানিটি ফেয়ার পত্রিকা থেকে। তাঁর সাথে সংহতি প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বন্ধু বেঞ্চলে এবং শেরউডও ম্যাগাজিন থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এই সময় তিনি আইনশাসির ম্যাগাজিন, মহিলা ' হোম জার্নাল, জীবন, এবং শনিবার সন্ধ্যা পোস্ট এ লিখছিলেন।

১৯২৫ সালে, হ্যারল্ড রস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দ্য নিউ ইয়র্ক। পার্কার এবং বেঞ্চলেকে সম্পাদকীয় বোর্ডে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি। পার্কার ম্যাগাজিনের দ্বিতীয় সংখ্যা থেকে লিখতে শুরু করেন। এবং খুব শীঘ্রই তিনি কবিতায় খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তাঁর লেখায় প্রায়শই তাঁর ব্যর্থ প্রেম , রোম্যান্স এমনকি আত্মহত্যার চিন্তাভাবনার বিবরণ থাকতো। এগুলি তিনি উপস্থাপন করতেন খুবই কৌতুকপূর্ণ ভাষায়। ১৯২০ এর দশকে তিনি বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ৩০০টিরও বেশি কবিতা প্রকাশ করেছিলেন।

১৯১৭ সাল। পার্কারের বয়স ২৪ বছর। তাঁর সাথে দেখা হয় ওয়াল স্ট্রিটের স্টকব্রোকার দ্বিতীয় এডউইন পন্ড পার্কারের। এডউইন-এর বিশ্বযুদ্ধে সেনাবাহিনীর চাকরিতে যাবার তাড়া ছিল। তাই তারা দ্রুত বিয়ে করেন। তিনি যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এ বিয়ে টেকেনি। ১১ বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকার পর তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ১৯৩২ সালে অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং সেনাবাহিনীর প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা অ্যালান ক্যাম্পবেলের সাথে দেখা হয়েছিল পার্কারের। ১৯৩৪ সালে তারা বিয়ে করেন। দুজনে একসঙ্গে চলে যান হলিউডে। সেখানে তারা প্যারামাউন্ট পিকচারের সাথে চুক্তি হন। এছাড়া একাধিক স্টুডিওতে ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করেন। হলিউড ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে, তিনি তাঁর প্রথম অস্কার মনোনয়ন পান। ১৯৩৭ সালে ‘একটি তারকার জন্ম হলো’-এর জন্য সেরা মূল চিত্রনাট্যের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি ‘স্ম্যাশ-আপ, এক মহিলার গল্প’-এর সহলেখক হিসেবে আরেকটি মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

 ১৯৪৭ সালে ক্যাম্পবেলের সাথে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু অবাক! ১৯৫০ সালে তিনি ক্যাম্পবেলকে পুনরায় বিয়ে করেছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তারা একসাথে ছিলেন।

নিউ ইয়র্কার এর মতো বনেদি সাময়িক পত্রিকায় লেখালেখি করেন তিনি। লেখক-সমালোচক-অভিনেতাদের নিয়ে গঠিত Algonquin Round Table গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন তিনি। এভাবেই তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু এ গোষ্ঠী একসময় ভেঙে যায়। হলিউডে পাড়ি জমান তিন। সেখানে চিত্রনাট্য লেখার কাজ শুরু করেন। অস্কার মনোনয়নও পান যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি একসময় বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে কুখ্যাত হলিউড ব্যাকলিস্ট-এর অন্তর্ভ্ক্তু হন। যা তাঁর দু দুর্বার অস্কার মনোনয়ন প্রাপ্তির সাফল্যকে ম্লান করে দেয়। ১৯২০ সালের শেষের দিকে স্যাকো এবং ভানজেট্টির বিতর্কিত মৃত্যুদন্ডের প্রতিবাদ করতে বোস্টন গিয়েছিলেন তিনি। বোস্টনে শুল্কের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে : কাব্যগ্রন্থ-Enough Rope (1926), Sunset Gun (1928), Death and Taxes (1931), Not So Deep as a Well: Collected Poems (1936); কথাসাহিত্য- ¨- Laments for the Living (1930), After Such Pleasures (1933), Here Lies: The Collected Stories of Dorothy Parker (1939); গ্রন্থ সমালোচনা- - Constant Reader (1970) প্রভৃতি।A Telephone Call নামের এই অনূদিত গল্পটি Here Lies গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত, যা রচিত হয় ১৯৩০ সালে। 

পার্কার ১৯২৪ সালে থিয়েটারে যুক্ত হয়েছিলেন। ব্রডওয়েতে ২৪ টি পারফরম্যান্স চালানোর পরে বন্ধ হয়ে যায় সে থিয়েটার।

পার্কারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ Enough Rope ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রায় ৪ ৪৭,০০০ কপি বিক্রি হয়েছিল। অধিকাংশ সমালোচক বইটির প্রশংসা করেছিলেন। তবে কেউ কেউ বইটির কবিতাকে অগভীর "ফ্ল্যাপার" কবিতা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এরপর কয়েক বছর তিনি কবিতা এবং ছোটগল্পসহ বিভিন্ন ধরণের সংক্ষিপ্ত রচনা সংগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এ সময় তিনিদ্য নিউ ইয়র্ক “কনস্ট্যান্ট রিডার” বাইটলাইন এর অধীনে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় লিখতেন। তাঁর সবচেয়ে পরিচিত ছোটগল্প "বিগ স্বর্ণকেশী" প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৯ সালে বুকম্যান ম্যাগাজিনে। সেরা ছোটগল্পের জন্য ম্যাগাজিনটি ‘ও হেনরি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল।

১৯৪০ এর দশকের গোড়ার দিকে, পার্কারের কাজ বিদেশে নিযুক্ত সার্ভিসদের জন্য সংকলিত একটি নৃবিজ্ঞানের সিরিজের অংশ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। বইটিতে পার্কারের ২০ টিরও বেশি সংক্ষিপ্ত গল্পের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং শেষ পর্যন্ত এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল পোর্টেবল ডরোথি পার্কার। ভাইকিং প্রেসের সমস্ত " পোর্টেবল" সেটের মধ্যে কেবল পার্কারের, শেক্সপিয়রের এবং বাইবেলে উৎসর্গীকৃত ভলিউম কখনও মুদ্রণযোগ্য ছিল না।

মহামন্দার সময় পার্কার সামাজিক ও নাগরিক অধিকার বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। তিনি সরকারী কর্তৃত্বের সমালোচনা করে লিখতেন। তিনি কমিউনিস্টদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। বিশেষ করে স্পেনীয় গৃহযুদ্ধের সময়, তিনি কমিউনিস্ট ম্যাগাজিনের জন্য রিপাবলিকান হিসাবে রিপোর্ট করেছিলেন। তিনি হলিউড অ্যান্টি-নাজি লিগকে খুঁজে পেতে সহায়তা করেছিলেন। 

তিনি ১৯৫০ সালে একটি কমিউনিস্ট বিরোধী প্রকাশনায় নামকরণ করেছিলেন। ফলস্বরূপ, পার্কারকে হলিউডের ব্ল্যাকলিস্টে রাখা হয়েছিল। তাঁর চিত্রনাট্য লেখার কেরিয়ারটি হঠাৎ শেষ হয়ে গিয়েছিল।

হলিউডে পার্কার কোনও ছবিতে একক চিত্রনাট্যকার ছিলেন না। তাই এককভাবে তাঁকে তুলে ধরা কঠিন। তবে তাঁর অন্য লেখার মতো চিত্রনাট্য লেখাতেও উচ্চাভিলাষ এবং অশুভ রোম্যান্সের ঘটনা ছিল।

পার্কারকে কোনও একক সংজ্ঞায় বিশ্লেষণ করা কঠিন। কারণ তিনি ছিলেন বহুমুখী। কি করেননি তিনি! কবিতা লেখা, চিত্রনাট্য লেখা, থিয়েটাওে অভিনয় থেকে শুরু কওে সামাজিক কাজ সবই করেছেন। তিনি যেমন কৌতুককর লেখা লিখেছেন, বিদ্রুপাত্মক লিখেছেন আবার নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন, মানবতার পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি একজন স্বীকৃত হিউম্যানিস্ট এবং মানবতার পর্যবেক্ষক। নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর স্পষ্টবাদিতা যেমন প্রশংসিত ছিল তেমনই জন্ম নিয়েছিল তাঁর অনেক শত্রু। যারা তাঁর কেরিয়ারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য কাজ করেছে, পেরেছেও। এই যে মানুষের জন্য কাজ করা, তাদের পক্ষে কথা বলা এর চেয়ে বড় ইতিবাচকতা আর কি হতে পারে!

নিজের প্রতিভার প্রতি উদাসীন ছিলেন তিনি। নিজেকে নিয়ে কৌতুক করতেন, মজা করতেন। নিজের ব্যক্তিগত জীবনও টেনে আনতেন কখনও কখনও। প্রচন্ড মেধা থাকা সত্তে¡ও তাঁর খ্যাতিকে তিনি "ওয়াইজক্র্যাকার" হিসেবে নষ্ট করেন। এ বিষয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য উক্তি: “বুদ্ধিমান-ক্র্যাকিং এবং বুদ্ধিমানের মধ্যে অনেক দূরত্ব রয়েছে। বুদ্ধি এর সত্য আছে; বুদ্ধিমান-ক্র্যাকিং কেবল কথার সাহায্যে ক্যালিস্টেনিকস ""

এক পর্যায়ে তাঁর পরিচয় হয়ে দাঁড়ায় নিছক ব্যঙ্গলেখক। হলিউডে ব্ল্যাককলিস্টেট হওয়া, গ্রেফতার হওয়া আর নিছক ব্যঙ্গ লেখকের পরিচয়ের গ্লানিতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে যান। ক্রমশ প্রচন্ড পানাসক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৬৩ সালে ওষুধের ওভারডোজ থেকে তাঁর ম্যাসিভ হার্ট এ্যাটাক হয়। ৭ জুন, ১৯৬৭ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে তিনি মারা যান।

তাঁর সাহিত্যিক সৃজনশীলতা ও বুদ্ধির দীপ্তি আজও অম্লান হয়ে আছে। বিদ্রুপাত্মক লেখারজন্য তাঁর সাহিত্যিক অবদান এবং খ্যাতি এখনও স্মরণীয়। তাই বলা চলে তাকে ম্লান সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। লেখার মাধ্যমে তিনি অমর হয়ে আছেন।

 

আফরোজা পারভীন
কথাশিল্পী, গবেষক, কলামলেখক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top