সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

গোয়েন্দা অপ্সরা ও রিসোর্ট কাণ্ড (শেষ পর্ব) : আসিফ মেহ্‌দী


প্রকাশিত:
৩০ আগস্ট ২০২১ ২০:০৭

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ২০:২৮

 

পানপর্ব শেষ। মিঠা পান খেয়ে সবাই সন্তুষ্ট কিন্তু সবার আগ্রহ জ্যাকলিনের আইডিয়া নিয়ে। জ্যাকলিন বলতে শুরু করল, ‘আমরা ওই দম্পতিকে এখানে ডাকব। তারপর ভিডিও ক্লিপটি দেখিয়ে তাদেরকেই অ্যাকিউজ করব।’
নকুল সাহেব বললেন, ‘কী বলেন!’
‘জি, দাদা। দোষারোপ করলে তারা এলোমেলো আচরণ করা শুরু করবে। আর মানুষ যখন এভাবে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তখন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা শুরু করে। দুজন মানুষ হলে তো আরও সুবিধা। দুজনের দু ধরনের অগোছালো কথার দ্বন্দ্বেই একসময় সত্যটা বেরিয়ে পড়বে।’
নকুল সাহেব সম্মতিসূচকভাবে মাথা নেড়ে বললেন, ‘আইডিয়াটা ভালো কিন্তু সরাসরি অ্যাকিউজ করলে ভদ্রলোক যদি অ্যাগ্রেসিভ হয়ে ওঠেন?’
অপ্সরা বলল, ‘এটুকু রিস্ক নিতেই হবে, দাদা। সেজন্য আপনি ওসি সাহেবকে ফোন দিয়ে রাখুন। তিনি রওনা দিলে সুবিধা হবে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশ সামাল দিতে পারবে। তাছাড়া ল্যাপটপ, মোবাইল জব্দ করা ছাড়া প্রমাণ করা সম্ভব না। সেখানেই সমস্ত আলামত। এ ব্যাপারে চপল পুলিশকে সহযোগিতা করতে পারবে। পারবে না চপল?’
চপল উত্তর দিল, ‘জি অবশ্যই, আপু।’
নকুল সাহেব চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘তাদেরকে পুলিশে দিলে ওই খবর যদি তার ভাইয়েরা জেনে যায় আর ভিডিওক্লিপটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়?’
চপল বলল, ‘ওনাদের ল্যাপটপে নিশ্চয়ই সম্পূর্ণ ভিডিও পাওয়া যাবে। আপনাকে যেটা পাঠানো হয়েছে, সেটা কাট করা অংশ। সম্পূর্ণ ভিডিওতে নিশ্চিতভাবে আরও অনেক দৃশ্যই ধারণ করা আছে; যেগুলো দেখে সহজেই বোঝা যাবে যে তারাই ভিডিওটা করেছে। সুতরাং, পুরো ভিডিও হাতে পেলে আমি আপনাকে পাল্টা একটা ভিডিও বানিয়ে দেব। তারা পেনড্রাইভের ভিডিও দিয়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আপনি পাল্টা ভিডিওর মাধ্যমে সত্য ঘটনাটি তুলে ধরতে পারবেন। তখন দেখবেন, মানুষ রিসোর্টের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এর সুনাম আরও বেড়ে যাবে।’
নকুল সাহেব আশ্বস্ত হয়ে ওসি সাহেবকে ফোন করে সংক্ষেপে পুরো ঘটনা জানালেন এবং সহযোগিতা চাইলেন। তারপর রিসোর্টের এক কর্মচারীকে পাঠালেন তমা খন্দকার ও তার স্বামীকে ওয়েটিং রুমে নিয়ে আসার জন্য। কর্মচারী সমুদ্রঘোড়া-তে গিয়ে ওই দম্পতিকে পেল না। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারল, তারা ডাইনিং হলে গেছেন। তাই কুটিরের সামনেই সে অপেক্ষা করতে থাকল। কিছুক্ষণ পর তমা খন্দকার ও তার স্বামীকে ফিরতে দেখে তাদেরকে ওয়েটিং রুমে যাওয়ার কথা বলল।

সমুদ্রঘোড়া কুটিরের দম্পতি ওয়েটিং রুমে এল। এভাবে ওয়েটিং রুমে ডাকায় তমা খন্দকার ও তার স্বামী খুব বিস্মিত। তবে তারা বিস্ময় প্রকাশের আগেই নকুল সাহেব বেশ চোটপাট শুরু করলেন। মহিলাকে বললেন, ‘আপনি রিসোর্টে মিথ্যা নাম এন্ট্রি করেছেন কেন?’
তমা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। বললেন, ‘কই না তো!’
‘দেখি আপনার ন্যাশনাল আইডি।’
তমার স্বামী ক্ষেপে গেলেন। বললেন, ‘মানুষ কি ন্যাশনাল আইডি গলায় ঝুলিয়ে ঘোরে? আমরা ডাইনিং হল থেকে রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। পথের মধ্যে থেকে আপনার এক চামচা এখানে ডেকে নিয়ে এল। এভাবে ডেকে এনে অপমান করার মানে কী?’
নকুল সাহেবও কঠিন কণ্ঠে বললেন, ‘এভাবে অপমানের কারণ, আপনারা তো সাধারণ মানুষ না। আপনারা হলেন দাগী ক্রিমিনাল। আপনাদের কারণে আমার আরাম হারাম হয়ে গেছে।’
ভদ্রলোক আরও ক্ষেপে বললেন, ‘মুখ সামলে কথা বলবেন।’
পরিস্থিতি শীতল করার জন্য অপ্সরা ঠাণ্ডা কণ্ঠে বলল, ‘গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আমরা খবর পেয়েছি, আপনারা রুমে বসে নিজেদের ভিডিও করছেন!’
তমা খেপে বললেন, ‘আমাদের মাঝে আপনি কথা বলছেন কেন?’
নকুল সাহেব বললেন, ‘ওনারা গোয়েন্দা। আপনাদের কুকর্ম ধরতেই ঢাকা থেকে এসেছেন।’
তমার স্বামী উত্তেজিত হয়ে বললেন, ‘একদম বাজে কথা বলবেন না, ম্যানেজার।’ ভদ্রলোক কেমন যেন হাঁপাচ্ছেন। অ্যাজমা আছে তার। পকেট থেকে ইনহেলার বের করে মুখের ভেতর স্প্রে করলেন।
এমন সময় আকস্মিকভাবে চপল কথা বলে উঠল, ‘আপনারা রুমে ভিডিও করে ফেসবুকে কেন দিয়েছেন?’
তমা ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, ‘ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে দিয়েছে?! এটা আমরা দেইনি।’
চপল বলল, ‘ফেসবুকে হয়তো আপনারা দেননি কিন্তু ভিডিও করে কাকে দিয়েছেন?’
ভদ্রমহিলা ইতস্তত করে বললেন, ‘আমরা কাউকেই ভিডিও দেইনি…’
‘তাহলে ভিডিও করেছেন কেন?’
‘ইচ্ছা হয়েছে, তাই করেছি। আমরা নিজেদের ছবি তুলব নাকি ভিডিও করব, তার কৈফিয়ত আপনাদের কেন দিতে হবে?’
তমার স্বামী তমাকে আর কথা বলতে না দিয়ে নকুল সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ম্যানেজার, আপনি খুব খারাপ লোক। রিসোর্টে গোপন ভিডিও করছেন আর ফেসবুকে চলে যাওয়ার পর এখন আমাদেরকে দোষ দিচ্ছেন। আপনার রিসোর্টে কারও আসা উচিত না।’
চপল বলল, ‘গোপন ভিডিও করা হয়েছে, এটা তো আপনার জানার কথা না যদি না আপনারা নিজেরাই ভিডিও করে থাকেন! কারণ, কোনো ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট হয়নি। মিথ্যা বলে সত্য ঘটনা বের করার চেষ্টা করলাম মাত্র।’
বাকবিতণ্ডার এমন পর্যায়ে ওসি সাহেব ঢুকলেন ওয়েটিং রুমে। নকুল সাহেব বললেন, ‘খসরু ভাই, এই দম্পতির কথাই আপনাকে বলেছি। নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও করে ইকো রিসোর্টকে ফাঁসাতে চাচ্ছে!’
তমার স্বামী খেপে উঠলেন, ‘কীসব উল্টাপাল্টা বলছেন তখন থেকে! আমরা ভিডিও করতে যাব কেন?’
‘আপনারা যে ভিডিও করেছেন, তা নিজের মুখেই তো বললেন!’
‘ডাহা মিথ্যা কথা!’
জ্যাকলিন বলল, ‘আপনারা থামতে পারেন। আমি এতক্ষণ সব কথা রেকর্ড করেছি। সেটা শুনলেই সব ক্লিয়ার হবে।’
ওসি সাহেব বললেন, ‘সেসবের প্রয়োজন নেই। আমার উনাদের রুম তল্লাশি করলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।’
তমার স্বামী রাগান্বিতভাবে তমাকে নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করতেই ওসি সাহেব সঙ্গে আসা কনস্টেবলদের বললেন দম্পতিকে আটকাতে। তমা খন্দকার আর তার স্বামী ওয়েটিং রুম থেকে বের হতে পারলেন না। ওসি সাহেব বললেন, ‘আপনাদের মোবাইল সেট টেবিলের ওপর রাখুন। আর নকুল দা, ওনাদের রুম খোলার ব্যবস্থা করুন। আমি তল্লাশি করতে চাই।’

ওসি সাহেবের সঙ্গে চপল ও জ্যাকলিন সমুদ্রঘোড়া কুটিরে এসেছে। চপল ভিডিও ক্লিপটি দেখেছিল বলে খুব সহজেই হিডেন ক্যামেরার লোকেশন খুঁজে বের করে ফেলল। হিডেন ক্যামেরাটি পুলিশ জব্দ করল। রুমের টেবিলের ওপর একটি ল্যাপটপও পাওয়া গেল। কিন্তু সমস্যা বাধল, ল্যাপটপে পাসওয়ার্ড দেওয়া নিয়ে। চপল একবার ট্রাই করল কিন্তু তাতে কাজ হলো না। ওসি সাহেব বললেন, ‘আমরা রুম ভালোভাবে তল্লাশি করছি। আপনারা ল্যাপটপ খোলার ব্যবস্থা করুন।’
চপলের নিজেকে বেশ অসহায় মনে হলো। অপরাধ প্রমাণের সবকিছু হাতের কাছে থেকেও নেই! জ্যাকলিন বলল, ‘আমি একটু ল্যাপটপটা দেখি।’
চপল চেয়ার ছেড়ে উঠে গেল। জ্যাকলিন বসল চেয়ারে। টেবিলের ওপর রাখা ল্যাপটপে দেখতে পেল, পাসওয়ার্ড হিন্ট দেওয়া-মেডিসিন! জ্যাকলিন বলল, ‘মনে হয়, পাসওয়ার্ড জানা খুব একটা কঠিন হবে না!’
বিস্মিত চোখে জ্যাকলিনের দিকে তাকাল চপল। বলল, ‘পাসওয়ার্ড হিন্ট আমিও দেখেছি। পাসওয়ার্ড হিসেবে medicine শব্দটি দিয়েও দেখলাম; কাজ তো হলো না।’
‘আরেকটু মাথা খাটাতে হবে!’
‘আমার মনে হয়, এত ঝামেলা না করে ওই লোককে বললেই ল্যাপটপে লগ ইন করে দেবে। আমরা বললে হবে না কিন্তু ওসি সাহেব বললে লোকটা অবশ্যই কথা শুনবে।’
‘তার আর দরকার হবে না। জট খুলে গেছে।’ বলে জ্যাকলিন একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে এন্টার চাপতেই ল্যাপটপে লগ ইন হলো।
চপল অবাক হয়ে বলল, ‘কী পাসওয়ার্ড দিলে?’
‘তা তো বলা যাবে না!’ বলে মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিল জ্যাকলিন।
চপল আর কথা বাড়াল না। জ্যাকলিন চেয়ার থেকে উঠে বলল, ‘নিন, এবার বাকি কাজ করুন।’
চপল ল্যাপটপে রিসেন্ট ফাইলস থেকে খুব সহজে খুঁজে পেল সম্পূর্ণ ভিডিও! তমার স্বামী হিডেন ক্যামেরা স্থাপন করছে, এটুকু অংশও পূর্ণাঙ্গ ভিডিওর শুরুতে আছে। অপরাধের এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে! ওসি খসরু সাহেব ভিডিওটি দেখলেন। তিনি চপল ও জ্যাকলিনকে ধন্যবাদ জানালেন। হিডেন ক্যামেরা, ল্যাপটপসহ কয়েকটি আলামত জব্দ করে তিনি ওয়েটিং রুমের দিকে হাঁটা ধরলেন। তার পিছু নিল দুই গোয়েন্দা, এক কনস্টেবল ও সঙ্গে আসা হোটেল কর্মচারী।

ওসি সাহেব ওয়েটিং রুমে অপেক্ষারত অপরাধী দম্পতিকে থানায় নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। নকুল সাহেব ভীষণভাবে আনন্দিত। তিনি গোয়েন্দা দলের ঘোরাঘুরির জন্য একটি প্রাইভেট কারের ব্যবস্থা করে দিলেন। কক্সবাজার শহর থেকে ঘুরে আসতে বললেন। অপ্সরা তার দুই সহযোগীকে নিয়ে কক্সবাজারের একটি বার্মিজ মার্কেটে গেল। চপল ও জ্যাকলিনকে বলল ইচ্ছামতো বাজার করতে। আলিম সাহেবের কাছ থেকে বিমান টিকিটের সঙ্গে যে দশ হাজার টাকা অপ্সরা পেয়েছিল, তা থেকে কিছু আনন্দের শপিংয়ে যাক না! দুই গোয়েন্দা মিলে দুই হাজার টাকারও কেনাকাটা করতে পারল না! চপল কিনল একটি ফতুয়া আর দুই প্যাকেট বার্মিজ পিনাট চকলেট; অন্যদিকে জ্যাকলিন নিল কয়েক প্যাকেট বার্মিজ আচার আর শুকিয়ে প্রসেস করা টক-মিষ্টি স্বাদের সাকুরা প্লাম। অপ্সরাও নিজের জন্য এক বয়াম সাকুরা প্লাম নিল।
শপিং সেরে সমুদ্র দেখার জন্য তারা রওনা দিল লাবণী পয়েন্টের দিকে। সেই সময় অপ্সরার মোবাইলে এল দুটো সুসংবাদ। প্রথমত, পুলিশ কক্সবাজার শহর থেকে সাঙ্গপাঙ্গসহ তমা খন্দকারের দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। দ্বিতীয়ত, গোয়েন্দাদের সৌজন্যে রাতে ডাইনিং হলে স্পেশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। সেখানে রিসোর্টের গেস্টদের সামনে গোয়েন্দা টিমের অবদানের কথা বলা হবে। তাছাড়া আগামীকাল নকুল সাহেব নিজে অপ্সরাদের নিয়ে যাবেন ইনানী সৈকতে; সেইসঙ্গে রহস্য উন্মোচনের সম্মানীর কথা উল্লেখ করতেও তিনি ভোলেননি।
অপ্সরা ও তার টিম সমুদ্রের বালুতে যখন পা রাখল, তখন শেষ বিকেল। সূর্য ডুবু ডুবু। বালুতে পা দেবে যাচ্ছে। তারপরও স্রোতের কাছাকাছি এগিয়ে চলল গোয়েন্দা টিম। চপল ও জ্যাকলিন গল্প করতে করতে এগোলো। অপ্সরা নিশ্চুপভাবে হেঁটে চলল। ধীরেধীরে কীভাবে যেন চপল আর জ্যাকলিন কিছুটা দূরে চলে গেল। দুজনের পা ভিজিয়ে দিল সাগরের ফেনিল ঢেউ। চপল বলল, ‘আচ্ছা, তুমি পাসওয়ার্ড কী দিয়েছিলে?’
‘আপনি এমন কেন? আমার নাম ধরে ডাকলে সমস্যা কোথায়?’
‘ঠিক আছে। নাম ধরেই বলছি। আচ্ছা জ্যাকলিন, পাসওয়ার্ড কী ছিল?’
‘আপনি কি রোবট? আমি “আপনি” করে বলেই যাচ্ছি; অথচ একবারও বলছেন না “তুমি” করে বলতে! আমার আর আপনার বয়সে কি খুব বেশি তফাৎ? মাত্র এক বছর; বারো মাসও হয়তো হবে না!’
‘আচ্ছা, “তুমি” করে বলো। এখন পাসওয়ার্ডটা বলো।’
‘তাহলে বলো, তোমাকে ভাইয়া না বলে নাম ধরে ডাকতে।’
‘আচ্ছা, নাম ধরে ডাকো। এবার প্লিজ পাসওয়ার্ড কীভাবে পেলে বলো।’
‘উহু চপল, আজকে বলব না। এই মুহূর্তে আমার মুড বিশেষভাবে ভালো। ভালো মুডে আমি কাজের কথা একদম পছন্দ করি না।’
চপল বেচারা মন খারাপ করে মুখ গোমড়া অবস্থায় বালির দিকে তাকিয়ে থাকল। জ্যাকলিন সাগরের দিগন্তরেখার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘চপল দেখো, সূর্য ডুবছে ধীরেধীরে! কী সুন্দর দৃশ্য!’
খানিক দূরেই অপ্সরার পা ভিজিয়ে দিচ্ছে ফেনিল স্রোতের ঠাণ্ডা পানি। অপ্সরার দুই চোখও ভিজিয়ে দিয়েছে তার চোখের পানি। এটি অপ্সরার জীবনে প্রথম সমুদ্র দর্শন। একসময় প্রাণপ্রিয় মানুষটিকে নিয়ে প্রথমবারের মতো সমুদ্র দেখার স্বপ্ন দেখেছিল সে। সেই সাধ তার পূরণ হলো না একজীবনে! সামনে সমুদ্র কিন্তু প্রিয় মানুষটি মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে হয়েছে অন্য কারও। সমুদ্রে সূর্যাস্তের এই নৈসর্গিক মুহূর্তে অব্যক্ত হাহাকারে অপ্সরার হৃদয় প্লাবিত। অপ্সরার হৃদয়ের গহীনের ভাষা পড়া কখনোই সম্ভব হয়নি।

সমাপ্ত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top