সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

অবসেসিভ প্রিয়তমা ডিজঅর্ডার : আসিফ মেহ্‌দী


প্রকাশিত:
১০ নভেম্বর ২০২১ ০১:৪২

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৪

ছবিঃ  : আসিফ মেহ্‌দী

 

এক.
‘এই ট্যাব দিয়ে আমি কী করব?’
‘লেখাগুলোর নিচে স্বাক্ষর করবেন।’
‘আপনিই তো বললেন, এতে মৃত্যুর ঝুঁকি নেই।’
‘জি, নেই।’
‘তাহলে স্বাক্ষরের কী দরকার?’
‘স্বাক্ষরের দরকার আছে। কারণ, মৃত্যুর চেয়ে বড় ঝুঁকি এতে রয়েছে। মানুষ মারা যাওয়া মানে সমাজের সঙ্গে তার হিসাবনিকাশ শেষ। এখানে মারা যাওয়ার কোনো ভয় নেই। তাই গ্যাঞ্জামেরও শেষ নেই।’
‘ঠিক বুঝলাম না। যতদূর জানতে পারলাম, এটা মস্তিষ্কের স্ক্যানিং ছাড়া তেমন কিছু না।’
‘মস্তিষ্ক ভূগর্ভের চেয়েও রহস্যময়। কোথায় কোন গুপ্তধন লুকিয়ে আছে, তা আমরা জানি না!’
‘যা-ই থাকুক আমার স্মৃতিতে, সেটি গোপন থাকবে আশাকরি।’
‘জি, তা অবশ্যই। কিন্তু সেই স্মৃতিতে যদি কাউকে হত্যার ঘটনা লুকিয়ে থাকে, তাহলে মহাবিপদ, তাই না? আর আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্যও সেটি বিব্রতকর।’
তানভীর এই প্রথমবারের মতো হেসে বলল, ‘না, না, আপনারা নিশ্চিন্তে আমার মস্তিষ্কে মেমোরি অ্যানালাইজার বসাতে পারেন। সেখানে এমন কিছু নেই, যা আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে।’
খালি কথায় চিড়া ভিজে না আর মন ভেজানোর শাস্ত্র তো আরও কঠিন। তানভীরের হাসির প্রত্যুত্তরে ডা. হক হাসতে পারলেন না। বললেন, ‘দুঃখিত, আপনি সাইন না করলে আমরা এগোতে পারব না। এটা লিগ্যাল ইস্যুও বটে। কারও স্মৃতি এভাবে এক্সট্রাক্ট করে আনার আগে তার লিখিত অনুমতি লাগে।’
তানভীর আর কথা না বাড়িয়ে ডা. হকের কাছ থেকে ‘স্টাইলাস-পেন’ নিয়ে ট্যাবের লেখাগুলোর নিচে স্বাক্ষর করে দিল। লেখাগুলো পড়ারও প্রয়োজন বোধ করল না। এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেই সে এখানে এসেছে। আসলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তার। এমন অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না। সেজন্য একটা কেন, এক পাহাড় স্বাক্ষর করে ভরিয়ে ফেলতে বললেও সে রাজি আছে।

দুই.
হেলমেট আকৃতির একটি কাঠামো তানভীরের মাথায় পরানো হয়েছে। ভয়ের অনুভূতি তো দূরের কথা, এক রকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করছে তার মধ্যে। তানভীরের মনে হচ্ছে, অপলা তার মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, বুকের লোম হাতড়ে দিচ্ছে।
স্মৃতিনিষ্কাশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কতক্ষণ লাগল, তা হিসাব রাখতে পারেনি তানভীর। তবে তার কাছে মনে হয়েছে, ধারণার চেয়ে অনেক কম সময় লেগেছে। ‘মেমোরি অ্যানালাইজার’-এর সাহায্যে তার স্মৃতিরাশি থেকে ‘গ্রেপ কমান্ড’-এর মাধ্যমে আলাদা করে সেঁচে তোলা হয়েছে শুধুমাত্র অপলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্মৃতিমালা। সেই স্মৃতিরাশি নিয়ে অ্যানালাইসিস করবেন এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ঘাগু গবেষক। তারা তানভীরকে মুক্তি দেবেন এই অতি-পরিচিত রোগ থেকে; যে রোগের একটি অদ্ভুত নাম তারা দিয়েছেন, ‘অবসেসিভ প্রিয়তমা ডিজঅর্ডার’।
‘মেমোরি অ্যানালাইজার’-এর কক্ষ থেকে নিয়ে তানভীরকে অন্য একটি কক্ষে একাকী রাখা হলো। পোস্ট অপারেটিভ জাতীয় এই কক্ষ শুনশান নীরব। নীরবতার কারণেই বোধহয় অপলার সঙ্গের নানা স্মৃতি তার মনে পড়ছে। ভালোবাসার মানুষটি তার জীবনে খুব বেশি সময় থাকেনি কিন্তু সেটির ছাপ পড়েছে চিরস্থায়ীভাবে। মেয়েটি তাকে বুঝিয়ে গেছে- ‘অবিশ্বস্ত পৃথিবী’ কথাটার মানে, প্রতারণার জাল কতটা কুৎসিত, মানুষ কতটা নিচুতে নামতে পারে, কোন পর্যায়ে গেলে বিপর্যস্ত মানুষ মৃত্যুকেও ভয় পায় না। অথচ অপলাকে প্রাণ-মন উজাড় করে ভালোবাসে সে। তানভীরের মস্তিষ্ক ও মন প্রতিটা ক্ষণ ঘৃণা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে চলেছে এই একটি মানুষকে! কী আচানক অনুভ‚তি। যুগপৎ তীব্র ঘৃণা ও প্রচণ্ড ভালোবাসা- একই মানুষের জন্য।
তানভীরের এসব চিন্তাও রেকর্ড হয়ে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেসে। স্বাক্ষর করার সময় খুব মনোযোগের সাথে লেখাগুলো না পড়লে খেয়াল করা অসম্ভব যে এটিও লেখা আছে সেখানে। তবে কার্যকরী চিকিৎসার জন্যই এটি দরকার। প্রতিষ্ঠানের ভাষ্যমতে, বর্তমান অত্যাধুনিক যুগে মানুষ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ায় কিছু চিরচেনা হাহাকার জেঁকে বসেছে। সেগুলোর ভয়াল থাবার ঘা-এর গভীরতা বেড়ে গেছে। এসবের মধ্যে অন্যতম, সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে হারানোর যন্ত্রণা। এই প্রতিষ্ঠান কমিয়ে দিতে পারে মানুষের এমন হাহাকার, অতৃপ্ততা। যদিও এদের যন্ত্রণা লাঘবের উপায়টি বেশ অদ্ভুত; তবু তানভীরের মনে হয়েছে, তা-ই বা মন্দ কীসে, চিরঅতৃপ্ত থাকার চেয়ে দুধের স্বাদ অন্তত ঘোলে মিটবে।

তিন.
ডা. হক হাসিমুখে তাকালেন তানভীরের দিকে। তানভীর কিছুটা ব্রিবত। ডা. হক স্বাভাবিকভাবেই হাসছেন; কিন্তু হয়তো নিজের দুর্বল অনুভূতিগুলো জানিয়ে দেওয়ায় তানভীরের এমনটা অনুভূত হচ্ছে। ডা. হক বললেন, ‘আপনি সৌভাগ্যবান।’
‘এত কষ্টে থাকার পরও আমাকে সৌভাগ্যবান বলছেন?’
‘জি, বলছি। কারণ, আপনার স্মৃতি থেকে অপলাকে উদ্ধার করা গেছে নিখুঁতভাবে। তার সৌন্দর্যে আমিও মুগ্ধ। হরিণীর মতো টানা-টানা চোখ, চোখা নাক, উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের কোমল মসৃণ ত্বক, উদ্দীপক ঠোঁট, দৃশ্যমান কলারবোন, হাঁসের অবয়বের মতো পরিমিত বুক, অসম্ভব...’
ডা. হককে আর বলতে না দিয়ে তানভীর বিরক্তসুরে বলল, ‘আপনাদের কাজ আফসোস বাড়িয়ে তোলা নাকি কমানো?
‘নিশ্চয়ই কমানো এবং আমি আশাবাদী, আমরা আপনার কষ্ট কমাতে পারব।’
‘কিন্তু আপনি তো আমার দুঃখ-কষ্টকে উসকে দিচ্ছেন।’
‘না, তা নয়। অপলার যতটা ডিটেইল আপনার মস্তিষ্ক থেকে নেওয়া গেছে, ততটা ডিটেইল আমরা সাধারণত পাই না। এ কারণেই আপনার আফসোসের সমাপ্তি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
‘আমার এই রিপোর্ট আপনি ছাড়া আর কেউ কি দেখবেন?’
‘যারা রিসার্চ করে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, তারা ইতিমধ্যে দেখেছেন। যারা প্রোটোটাইপ তৈরি করবেন, তারা দেখবেন। কিন্তু আপনি এসব নিয়ে কাইন্ডলি চিন্তা করবেন না। আমরা প্রাইভেসি মেনটেইন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাছাড়া অপলার কথা চিন্তা করে আপনি যত খারাপ কাজ করেছেন, তা আমরা প্রতিবেদন থেকে মুছে দিয়েছি।’
‘খারাপ কাজ করেছি মানে?!’
‘দেখুন, এত বেশি রাখ-ঢাক করলে চিকিৎসা করা মুশকিল হয়। আপনি কি অপলার কথা মনে করে খারাপ কিছু অভ্যাসে জড়িয়ে পড়েননি?’
তানভীর একদম চুপ হয়ে গেল। তানভীর হঠাৎ নিশ্চুপ হয়ে যাওয়ায় ডা. হক বললেন, ‘মাইন্ড করবেন না। আপনি এখন আসতে পারেন। এক সপ্তাহর মধ্যেই প্রোটোটাইপ আপনার বাসায় পৌঁছে যাবে। তাকে ট্রিট করবেন জীবন্ত অপলার মতো। মনে করবেন, অপলাকে আপনি জীবনে ফিরে পেয়েছেন। যখন বসে কাজ করবেন, অপলাকে পাশে বসাবেন। যখন খাবেন, তাকে পাশে রাখবেন। যখন শোবেন, তাকে পাশে শোয়াবেন।’
‘মডেল কি জীবন্ত মানুষের চাহিদা একটুও পূরণ করতে পারে?’
‘পারে বলেই তো আমরা এতবছর ধরে টিকে আছি। নিশ্চয়ই আপনি এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম শুনে এসেছেন।’
‘জি।’
‘ধৈর্য ধরুন আর আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন। ক্লায়েন্টদের জন্য আমরা সারপ্রাইজ রেখে দিই। আপনার জন্যও আছে। প্রয়োজন শুধু বিশ্বাস আর ধৈর্যের।’
‘সারপ্রাইজটা আবার কী?’
‘সেটা বলে দিলে তো আর সারপ্রাইজ হলো না। তবে আপনি একটা সময় সন্তুষ্ট হবেন। আপনার ওপিডি বা অপসেসিভ প্রিয়তমা ডিসঅর্ডার রোগটি ভালো হবে। বিষয়গুলো অত্যন্ত আপন বলে গোপনে ঘটবে। খেয়াল করে দেখুন, এই প্রতিষ্ঠানের নাম আপনাকে অনেকে বললেও কীভাবে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন, কতটুকু হয়েছেন, সেসব কেউই আপনাকে ব্যাখ্যা করেননি। একসময় আপনিও কাউকে জানাবেন না; কিন্তু ঠিকই আপনি ভালো হবেন। ভালো থাকবেন। তিন মাস পর আসার আমন্ত্রণ রইল। আমাকে আপনার গল্প শুনিয়ে যেতে পারেন। আমরা সিক্রেসি মেনটেইন করি এক শ শতাংশ।’
ডা. হকের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিল তানভীর। কথা শেষে কিছুক্ষণের জন্য নীরবতা তৈরি হলো। তারপর নীরবতা ভেঙে তানভীর বলল, ‘আসি।’

চার.
তৃতীয় দিনই অপলার প্রোটোটাইপ তানভীরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিল প্রতিষ্ঠান। বাক্স থেকে অপলার প্রোটোটাইপ বা মডেল বের করার পর তানভীর হাঁ হয়ে গেছে। এ যেন জীবন্ত অপলা- সেই চোখ, সেই ভ্রূ, সেই মুখ! ডেলিভারি করতে আসা দুই রোবট চলে যাওয়ার পর তানভীর কিছুক্ষণ সময় নিল নিজেকে সামলে নিতে। তারপর হালকাভাবে স্পর্শ করল অপলাকে। তানভীরের শরীরে যেন শিহরণ খেলে গেল।
অপলাকে রোবট দুটো সোফায় বসিয়ে দিয়ে গেছে। তানভীরের মনে হচ্ছে, সত্যিই তার অপলা এই বাসায় হাজির হয়েছে। মডেল তো জীবন্ত মানুষের মতো না-এমনটি ভেবে নিজের মধ্যে যথেষ্ট সাহস সঞ্চয় করে তানভীর অপলাকে ভালোভাবে ধরল। তারপর তার পড়ার টেবিলের পাশে একটি চেয়ারে বসাল। তাকে পাশে বসিয়ে তানভীর কাজ করতে থাকল। খানিকক্ষণ কাজ করার পর অপলার গাল ধরে একটু টান দিল। তানভীরের হঠাৎ মনে হচ্ছে, জীবন্ত অপলা যেন তার পাশে বসে আছে।
রাতে খাওয়ার সময় অপলাকে পাশে বসাল তানভীর। একা খেতে তার একটু ইতস্তত লাগল; তবে কিছু করার নেই। শোবার সময় কোলবালিশ সরিয়ে পাশে অপলাকে শুইয়ে দিল সে। এতকিছুর পরও অপলাকে জড়িয়ে ধরার সাহস হলো না তানভীরের। একসময় গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল সে।
এভাবে বেশ ভালোভাবেই কেটে যেতে লাগল তানভীরের দিনগুলো। এক দিন, দুই দিন করে এক সপ্তাহ পার হলো। অপলার প্রোটোটাইপের সঙ্গে তার যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে। এতকিছুর পরও তানভীরের মনে হালকা খচখচানি রয়ে গেছে। জীবন্ত অপলার চাহিদা এই জড় অপলা কতটুকুই বা পূরণ করতে পারে? প্রিয়তমা অপলার জন্য তানভীরের হাহাকার কমেছে সত্যি; কিন্তু নিঃশেষ তো হচ্ছে না। তানভীরের মনে হচ্ছে, তাকে সারাজীবনই এই কষ্ট সামান্য হলেও বহন করতে হবে।
আজ রাতে তানভীরের ঘুম আসছে না। নানা কিছু চিন্তা করে তার মন আবারও বিষণ্নতার পথ ধরছে বলে মনে হচ্ছে। পাশে শুয়ে আছে অপলা; অথচ অতৃপ্তি আর হাহাকার তানভীরের মন-মগজকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। মানবজীবন কি শুধু অতৃপ্তিবোধের জন্যই? এসব ভাবছে আর তানভীরের বিষণ্নতা বাড়ছে। হঠাৎ-ই ঘটল ঘটনাটি। পাশ থেকে অপলা ধীরেধীরে স্পর্শ করল তানভীরকে। একটি প্রোটোটাইপ এভাবে জীবন্ত হতে দেখে তানভীরের ভয় পাওয়ার কথা কিন্তু কোনো এক বিচিত্র কারণে জড় অপলাকে তার একটুও ভয় লাগছে না; বরং তার মনের বিষণ্নতা ধীরেধীরে কেটে যাচ্ছে। ডা. হক হয়তো সারপ্রাইজ বলতে এটিই বোঝাতে চেয়েছিলেন- একসময় প্রোটোটাইপ জীবন্ত অপলা হয়ে উঠবে! তানভীর এখনো বুঝে উঠতে পারছে না; এটি তার কল্পনা নাকি সত্যি ঘটছে! বিজ্ঞান তো অনেক দূর এগিয়ে গেছে; এটি ঘটানো অসম্ভব নয়। অপলা পাশ থেকে তানভীরের পায়ের ওপর তার পা তুলে দিল, হাত রাখল বুকের ওপর। তানভীরের মুখে ঠেসে চুমু খেল। আতংক আর কাজ করছে না তানভীরের মধ্যে; বরং উত্তেজনায় তার পুরো শরীর অবশ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। ধীরেধীরে তানভীরকে আদর করতে লাগল অপলা। তানভীর চোখ বন্ধ করে ফেলল- কী অবারিত সুখ; কী ভীষণ আনন্দ; কী সুতীব্র গভীরতা এই অনুভূতির!


পাঁচ.
তানভীরের দিনগুলো এখন স্বাভাবিক। এককালে মানুষ অপলা যে হাহাকার তার হৃদয়, মন, শরীরজুড়ে দিয়েছে; সেসব ভুলিয়ে সব পুষিয়ে দিয়েছে গবেষণাগারে তৈরি অপলা! তানভীর এখন ‘অবসেসিভ প্রিয়তমা ডিজঅর্ডার’ রোগটি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসায় সে খুবই সন্তুষ্ট। প্রতিষ্ঠানটির পোর্টালে নিজের অভিমত জানিয়েছে এক বাক্যে, ‘এই জাদুকরী প্রতিষ্ঠানের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ’! এর বেশি কিছু লেখা সম্ভব না। কারণ, পৃথিবীতে কথা যত গোপন হয়, তা তত আপন হয়। একান্ত এসব কথা মস্তিষ্ক ছাড়া কোথাও লেখা থাকে না।

***

 

আসিফ মেহ্‌দী
কথাসাহিত্যিক ও প্রকৌশলী

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top