সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ইরান-রাশিয়ার কাছে মার্কিন ভোটারদের তথ্য আছে : এফবিআই


প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর ২০২০ ২২:৫৪

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ২২:০১

 

প্রভাত ফেরী: আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটারদের কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে ইরান ও রাশিয়া। নির্বাচনের মাত্র ১৩ দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ।

 কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের সমর্থক ভোটারদের কাছে হুমকি দিয়ে ই-মেইল পাঠাচ্ছে তেহরান। জন র‍্যাটক্লিফ বলেছেন, ই-মেইলগুলো কট্টরপন্থী ট্রাম্প সমর্থক একটি গ্রুপের কাছ থেকে পাঠানো হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। ‘অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার‌’ উদ্দেশ্যেই এগুলো পাঠানো হয়েছে। মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিদেশি সংস্থা ভোট গ্রহণে হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া তথ্য ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের। তাই ভোট গ্রহণের আগে গোয়েন্দা সংস্থার এমন বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

র‍্যাটক্লিফ বলেন, ইরান যে 'স্পুফ ইমেইলগুলো' পাঠিয়েছে, সেগুলো ট্রাম্পের কট্টরপন্থী সমর্থক গ্রুপ 'প্রাউড বয়েজ'এর নাম ব্যবহার করে ভোটারদের 'ভয় দেখাতে, বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সুনাম ক্ষুণ্ণ' করতে পাঠানো হয়েছে। ভোটারদের তথ্য ব্যবহার করে 'নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে ভুয়া তথ্য' ছড়ানো হতে পারে, যা 'বিভ্রান্তি, বিশৃঙ্খলা ছড়ানো এবং আমেরিকান গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস হ্রাস' করানোর প্রচেষ্টা করা হতে পারে বলে মনে করছেন র‍্যাটক্লিফ।

ইরানের পাশাপাশি রাশিয়ার কাছেও কিছু ভোটারের তথ্য আছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই পরিচালক। তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার কাছ থেকে ইরানের মতো আচরণ দেখতে পাননি বলে জানান র‍্যাটক্লিফ। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর পরিচালক ক্রিস্টোফার রে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাটক্লিফের সাথে ছিলেন। তবে ক্রিস্টোফার রে দাবি করেন, মার্কিন নির্বাচন পদ্ধতি এখনও নিরাপদ।

ভোটারদের তথ্য কীভাবে ফাঁস হচ্ছে অথবা রাশিয়ার কর্মকর্তারা ওই তথ্য নিয়ে কী করছে; সে বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিস্তারিত জানাননি। এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছিল যে, ক্রেমলিন সমর্থিত হ্যাকাররা সাইবার হামলা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনি প্রচারণা ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল।

ইরান অবশ্য এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সিস্টেম সফলভাবে হ্যাক করতে পারেনি। সম্প্রতি পাঠানো সন্দেহজনক ই-মেইলগুলো একাধিক রাজ্যের ডেমোক্র্যাট ভোটারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেসব মেইলে তাদের ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মেইলে হুমকি দেওয়া হয়েছে, ‘আপনি ভোটের দিন ট্রাম্পকে ভোট দেবেন, অন্যথায় আমরা আপনাকে খুঁজে বের করবো। আপার সমর্থন পরিবর্তন করে রিপাবলিকানদের সমর্থন করুন যেন আমরা জানতে পারি যে, আপনি আমাদের মেসেজ পেয়েছেন।

বুধবার পর্যন্ত চার কোটি মার্কিন নাগরিক এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়েছেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top