সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


স্বাধীনতার ৫০ বছর; লন্ডনে নানা কর্মসূচি ঘোষণা


প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২১ ২০:১৮

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:০২

 

প্রভাত ফেরী:  বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তার নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

আসছে ২৬ মার্চ লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারের বেদীতে হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমকে নিয়ে মেয়র জন বিগস প্রতীকীভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

আগামী ৯ মাসব্যাপি এসব কর্মসূচির জন্য ৫০ হাজার পাউন্ডের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান নির্বাহী মেয়র জন বিগস।

তিনি জানান, আসছে ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস উদযাপনের মাধ্যমে শেষ হবে এ কর্মসূচি। বাংলাদেশ স্বাধীন হতে ৯ মাস সময় লাগে সেজন্য কাউন্সিল এ উৎসবের কর্মসূচি ৯ মাস রেখেছে।

সাঈদা মুনা তাসনিম জানান, কাউন্সিলের ৯ মাস ব্যাপী এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-

১. ২৯ মার্চ স্থানীয় সময় রাত সাতটায় টাওয়ার হ্যামলেটসে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের ফাইন্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট ক্যানেরি ওয়ার্ফের সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পতাকার রঙে আলোকসজ্জা।

২. পর্যায়ক্রমে টাওয়ার হ্যামলেটসের বিভিন্ন সরকারি ভবন একইভাবে বাংলা অক্ষর ও পতাকার রঙে আলোকিত করা।

৩. বাংলাটাউনের গেট সংস্কার এবং আলোকসজ্জা, অসবর্ন স্ট্রিটের নাম পরিবর্তন করে ‘ব্রিকলেন’ রাখা।

৪. হোয়াইচ্যাপেল আইডিয়া স্টোরে বাংলা লেখা পাবলিক আর্টের প্রদর্শনী।

৫. স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে চিত্রপ্রদর্শনী।

৬. স্বাধীনতাযুদ্ধে যুক্তরাজ্য-প্রবাসীদের অবদান নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

৭. কাউন্সিলের বিভিন্ন চিঠিপত্রে লাল সবুজ রঙের ‘বাংলাদেশ ৫০’ নামে বিশেষ লগোর ব্যবহার।

৮. ২৬ মার্চ কাউন্সিলের উদ্যোগে বিশেষ ওয়েবসাইট চালু। এতে ৯ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির নিয়মিত ঘোষণা ও আপডেট দেওয়া হবে।

৯. মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘সাপ্তাহিক জনমত’ এর আর্কাইভ থেকে কিছু প্রচ্ছদের ছবি প্রদর্শনী।

হাই কমিশনার মুনা আরও জানান, কাউন্সিলের এসব কর্মসূচি পালনে আমরা সহযোগিতা এবং পরামর্শ দেবো। উদ্বোধন করা হবে পূর্ব লন্ডনে বর্ণবাদী হামলায় নিহত আলতাব আলীর নামে একটি কাউন্সিল ভবন। আলতাব আলীর আবাসস্থল ওয়াপিংয়ে এ ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেবিনেট মেম্বার ফর কালচার, আর্টস এবং ব্রেক্সিট কাউন্সিলার সাবিনা আক্তার, কাউন্সিলের আর্টস অ্যান্ড লেইজার এর হেড স্টিভ মারি, স্পিকার আহবাব হোসেন, কাউন্সিলার আব্দাল উল্লাহ ও কাউন্সিলার আব্দুল মুকিত চুনু।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top