সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


সার্বিয়ার শ্রমবাজারে প্রথম দিনে গেলো ৯ কর্মী


প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২১ ২০:৫৭

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫৪

 

প্রভাত ফেরী: শনিবার (১২ জুন) সকালে নয় জন কর্মী সার্বিয়ায় গিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। ফলে চালু হলো সার্বিয়ার শ্রমবাজার। শুক্রবার মধ্যরাতে বিমানবন্দরে এই কর্মীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম এডিসি।

তিনি জানান, বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে এই কর্মীরা যাচ্ছেন। ভালো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেই এই কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। প্রথমিকভাবে ৩২ জন কর্মীর চাহিদাপত্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে নয় জনকে প্রথম ফ্লাইটে পাঠানো হলো। মহাপরিচালক বলেন, করোনার নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেও নতুন শ্রমবাজারে কর্মী যাওয়া বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে নতুন সম্ভাবনা। শুধু সার্বিয়া নয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও সচিবের নেতৃত্বে আরো নতুন নতুন দেশে শ্রমবাজার চালু হবে বলেও আশা করেন তিনি।

বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি লিংক-আপ ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই কর্মীরা দেশটিতে যাচ্ছে। এজেন্সির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বশির জানান, একটি কোম্পানীতে ৩২ জন কর্মীর চাহিদাপত্র এসেছে। সেখান থেকে নয় জনকে প্রথমে পাঠানো হলো। এই কর্মীদের থাকা, খাওয়সহ সকল খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা কোম্পানী। তাদের সর্বনিম্ন বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা। এছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হাজারেরও বেশি চাহিদা রয়েছে।

তিনি বলেন, সার্বিয়াতে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। ইতালিতে মিশন রয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদ বা সত্যায়ন পেতে জটিলতা দেখা দেয়। পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এর উদ্যোগে নিয়োগ অনুমোদ পান তিনি। এরপর ভারত থেকে এই কর্মীদের ভিসা ইস্যু করা হয়।

এই নয় কর্মীর মধ্যে আছেন, ভাড়ি যানবাহনের ড্রাইভার, বাবুর্চি, সুপারভাইজার। তারা সকলেই দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী।

বিমানবন্দরে প্রবাস বার্তাকে সির্বিয়াগামী কর্মীরা জানান, তারা এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে দেশটিতে যাচ্ছে। সকলেই প্রশিক্ষত কর্মী। তাদের মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়া কর্মীও রয়েছেন এক জন।

এর আগে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সামনে অপেক্ষামান বিদেশগামীদের খোঁজখবর নেন বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম এডিসি। প্রবাসে গিয়ে সেদেশের নিয়মনীতি মেনে চলতে কর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন বিএমইটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. সাকাওয়াৎ আলী, সহকারি পরিচালক ফখরুল আলম।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top