সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


তাবুকে থাকার বাংলাদেশিদের সেবা দিচ্ছে জেদ্দা কনস্যুলেট টিম


প্রকাশিত:
২৬ জুন ২০২১ ২০:৫৯

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৩:৪০

 

প্রভাত ফেরী: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারনে সৌদি সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৬ মাস পর জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট সৌদি আরব-জর্ডান সীমান্তের নিকটবর্তী প্রখ্যাত শহর তাবুকে থাকা বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা দিচ্ছে। প্রবাসীদের কনস্যুলার সংক্রান্ত সেবা দিতে কনস্যুলেটের ২৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে অবস্থান করছে।

সেখানে প্রবাসীরা যেসব সেবা পাচ্ছেন- পাসপোর্ট রি ইস্যু, প্রবাসী মেম্বারশীপ কার্ড ইস্যু/ডেলিভারী, স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক, তাদের বিষয় প্রক্রিয়া করা, আউটপাস ইস্যুসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের নানামুখী আইনী সহায়তা প্রদান।

এছাড়া প্রবাসীদের নানাবিধ সমস্যা যেমন কফিল কর্তৃক হুরুপ প্রদান, বেতন ভাতাদি সঠিকভাবে না পাওয়াসহ বহুবিধ সমস্যা কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর মোঃ আমিনুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব কে এম সালাহউদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলাম, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির, শাহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে যথাযথ আইনী পরামর্শসহ স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় যারা দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের আবেদনের প্রক্রিয়া করছেন।

এছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ইস্যুসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রবাসীদের দড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান করছেন। কনস্যুলার সেবাটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হক সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি নিজেই প্রবাসীদের কথা সরাসরি শুনছেন এবং তাৎক্ষনিক সমাধান করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের এমন উদ্যোগের জন্য প্রবাসীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ এই সেবাটি তারা যদি জেদ্দায় গিয়ে নিতে হতো তাহলে কোম্পানী হতে বিনা বেতনে কমপক্ষে ২ দিন ছুটি নিতে হতো। কিন্তু এখন তারা নিজ অবস্থানে বসেই ছুটির দিনেই সেবাটি পাচ্ছেন।

জানা গেছে, তাবুকে প্রায় ১ লক্ষ বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বিভিন্ন পেশায় যেমন- মহিলা গৃহকর্মী, কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, মেইনটেনেন্স ওয়ার্কার, ড্রাইভারসহ নানা পেশায় নিয়োজিত।

তাবুক সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের তাবুক রিজিওনের রাজধানী তথা প্রধান শহর। এটি সৌদি আরব-জর্ডান সীমান্তের নিকটবর্তী প্রখ্যাত শহর। তাছাড়া এটি লোহিত সাগর অতিক্রম করে মিশর অভিমুখী অঞ্চল। শহরটি কৃষিকাজের উপযুক্ত এবং বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। আর অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক তাবুকে কৃষি কাজে নিয়োজিত।

উল্লেখ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সদ্য সৌদি ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশি যারা হোটেল কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করেছেন তাদের সরকারি ভর্তুকি হিসেবে ২৫ হাজার টাকার আবেদন গ্রহন হয়েছে। কনস্যুলার ট্যুরের যাবতীয় কার্যক্রম কনসাল জেনারেল নাজমুল হক সরাসরি নিজেই তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি নিজেই প্রবাসীদের কথা সরাসরি শুনছেন এবং তাৎক্ষনিক সমাধান করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top