সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


মাল্টার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ


প্রকাশিত:
২৮ জুন ২০২১ ২৩:১৪

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৪

 

প্রভাত ফেরী: মাল্টার রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আসুদ আহমেদ। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে সেদেশের রাষ্ট্রপতি ভবন সান এন্টন প্যালেসে রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লার কাছে মাল্টায় বাংলাদেশের অনাবাসী হাইকমিশনার হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় হাইকমিশনারের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা এবং দূতাবাসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ খালেদ উপস্থিত ছিলেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর মাল্টার রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লার সঙ্গে হাইকমিশনার আসুদ আহমেদের একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হাইকমিশনার মাল্টার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

আলোচনার শুরুতে মাল্টার রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ এবং মাল্টার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জানান যে, এই সম্পর্ক আরো ফলপ্রসূ এবং মজবুত করা সম্ভব। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, অভিবাসনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লা গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এতে বিদ্যমান সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মানবতা রক্ষায় বাংলাদেশের দৃঢ়প্রতিজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে মর্মে মতপ্রকাশ করে ব্যক্তিগত হতাশা ব্যক্ত করেন।

আলোচনাকালে মাল্টার রাষ্ট্রপতি ড. ভেল্লা বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম অর্থনৈতিক ভিত্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে মাল্টার কারিগরি সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব করেন।

হাইকমিশনার আসুদ আহমেদ রাষ্ট্রপতি জর্জ ভেল্লাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এভারেস্ট বারতোলোর সাথে তার ফলপ্রসূ আলোচনার বিষয়টি অবগত করে বলেন, দুই দেশ বাংলাদেশ থেকে মাল্টায় দক্ষ ও অর্ধদক্ষ বিভিন্ন পেশাজীবীদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে এবং অচিরেই একটি খসড়া সমঝোতা স্মারক মাল্টা সরকারের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হবে বলে তিনি রাষ্ট্রপতিকে জানান। চুক্তিটি স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশ যেমন মাল্টার ক্রমবর্ধমান শ্রমিকের চাহিদা পূরণে সহায়তা করতে পারবে, তেমনি অবৈধ অভিবাসনের প্রক্রিয়াটিও বন্ধ করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top