সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


৩ বছর ধরে বন্ধ মালয়েশিয়া শ্রমবাজার


প্রকাশিত:
১৪ অক্টোবর ২০২১ ১৯:১৯

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২৪

 

প্রভাত ফেরী: আবহাওয়া, কাজের পরিবেশ, বেতন ও সুযোগ-সুবিধা অনুকূলে থাকায় কর্মক্ষেত্র হিসেবে অনেকেই বেছে নিতে চান মালয়েশিয়াকে। বাংলাদেশি কর্মীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই শ্রমবাজার বন্ধ ৩ বছরের বেশি সময়। এমনকি দেশটির সাথে এখন বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত কোন সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) নেই। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে এমওইউ’র মেয়াদ।

সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন নিজ দফতরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন দু’জনেই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মালয়েশিয়ার সাথে থাকা এমওইউ’র মেয়াদ পাঁচ (০৫) বছরের জন্য নবায়ন হয়ে গেছে। সেদিন এই খবরটি ফলাও করে প্রচার হয় অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমে। যদিও সেদিন নবায়ন না হওয়ায় ৮ মাস হলো মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত কোন সমঝোতা স্মারক নেই। ফলে এখন আর নবায়ন নয়, নতুন করে সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ করতে হবে দেশটির সাথে।

খুব শিগগিরই মালয়েশিয়া সরকার তাদের প্লানটেশন খাতে ৩২ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে এমন তথ্য জানিয়েছে দেশটি। কিন্তু সেই ৩২ হাজার কর্মীর তালিকায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশিদের যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ দেশটির সাথে নেই কোন এমওইউ।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদও। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, “মালয়েশিয়া প্লানটেশন খাতে কর্মী নিয়োগ দেবে কিন্তু সমঝোতা স্মারক না থাকায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না।”

এদিকে, বুধবার (১৩ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার সাথে সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের তেমন কিছুই জানাননি তিনি। শুধু বলেছেন, মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা সইয়ের বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। প্লানটেশন খাতে কর্মী পাঠাতে আগ্রহের কথাও জানান তিনি। তবে কবে সমঝোতা স্মারক সই হবে তা জাননি তিনি।

২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়া। এরপর গেলো তিন বছর দফায় দফায় বৈঠকও হয়। বাজার খোলার বিষয়ে বারবারই আশার কথা বলা হয়।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top