সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


কুয়েতে মানবপাচার মামলায় পাপুলের ৭ বছর কারাদণ্ড


প্রকাশিত:
৩০ নভেম্বর ২০২১ ০০:১৮

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৬:৩২



প্রভাত ফেরী: অর্থ পাচারের পর এবার মানবপাচার মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২৭ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করেছে কুয়েতের সর্বোচ্চ আদালত। এর আগে কুয়েতের বহুল আলোচিত অর্থ ও ঘুষের মামলায় তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পাপুল ছাড়াও কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহ, জনশক্তি পরিচালক হাসান আল খিদরকেও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কুয়েতের ওই সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের মামলায় নিজ নিজ পদ থেকে বহিষ্কারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুয়েতের সাবেক এমপি সালাহ খুরশিদকেও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং প্রায় সাড়ে সাত লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।
গত বছরের ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পাপলুকে গ্রেফতার করে। ওই সময় পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা তিনটি অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগগুলো হলো- মানবপাচার, অবৈধ মুদ্রাপাচার এবং স্বদেশী কর্মীদের কাছে রেসিডেন্ট পারমিট বিক্রি।
পাঁচ বাংলাদেশি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পর পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাংলাদেশিরা জানান, পাপুল তাদের কুয়েতে পাঠানোর জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে সোয়া আট লাখেরও বেশি করে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া রেসিডেন্সি ভিসা নবায়নের জন্য প্রতি বছর পাপুলকে নতুন করে অর্থ প্রদান করতে হতো তাদের।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ ও ঘুষের মামলায় কুয়েতের একটি ফৌজদারি আদালত কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন এবং তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করেন।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top