সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


সিলেটের ‘সিস্টার সিটি’ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ


প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:২৬

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০০:০৮

সিলেটের ‘সিস্টার সিটি’ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর পোর্টসমাউথ বাংলাদেশের সিলেটের ‘সিস্টার সিটি’ হতে যাচ্ছে। নভেম্বরে স্থানীয় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের বাংলাদেশ সফরে ‘সিস্টার সিটি’ ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।



সিলেটের ‘সিস্টার সিটি’ হওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে পোর্টসমাউথ সিটি কাউন্সিল, নবগঠিত পোর্টসমাউথ বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (পিবিবিএ), ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ ও বন্দর কর্তৃপক্ষসহ আরও বেশ কয়েকজন। পোর্টসমাউথে প্রায় দশ হাজার বাংলাদেশির বসবাস।



পিবিবিএ’র সহ-সভাপতি শিপা আহমেদ খান বলেন, উভয় শহরের ব্যবসায়ীরা শুধু যে বাণিজ্য ও পণ্য বিক্রি করবে তা নয়, তারা একে অপরের কাছ থেকে শিখবে কীভাবে ব্যবসার প্রসার এবং নির্দিষ্ট পণ্য উৎপাদন করতে হয়।



শিপা আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল। মধ্যবিত্ত তরুণদের হাতে অর্থ রয়েছে এবং তারা তা ব্যয় করতে চায়।



ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের একজন প্রতিনিধি ইতোমধ্যেই সিলেটে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রত্যাশা আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পোর্টসমাউথে আসবে। একাডেমিক অংশীদারিত্ব শুরু করতেও আগ্রহী তারা।



বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালক ববি মেহতা বলেন, আমরা আশা করছি সিটি কাউন্সিল ও স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে কাজের মাধ্যমে আমাদের গবেষণা কাজে বাংলাদেশে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা যাবে। যেমন, এই মুহূর্তে আমরা প্লাস্টিক ও অন্যান্য কিছু বিষয় অনেক গবেষণা করছি যা শুধু পোর্টসমাউথ নয়, পুরো বিশ্বের কাজে লাগবে। তাদের হয়ত সেই উপাত্ত ও জ্ঞান রয়েছে যা আমাদের নেই। একইভাবে তাদের জন্যও এই উদ্যোগ কাজে লাগবে।



এবছরের মার্চে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় কাউন্সিলের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সিলেটের সঙ্গে ‘সিস্টার সিটি’ সম্পর্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। উভয় শহরের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য এ পরিকল্পনা করা হয়।



পোর্টসমাউথ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহরের বাংলাদেশি কমিউনিটির অধিকাংশই সিলেট থেকে আসা। কমিউনিটি সদস্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক উন্নয়নের সুযোগ স্পষ্ট। আমরা এটাও জানি যে, পোর্টসমাউথের বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকেরই বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে সিলেটের অনেক রাজনীতিকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই উদ্যোগের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৃদ্ধি এবং উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে শেখার সুযোগ বিনিময় করা।



পোর্টসমাউথের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল এবছরের ১৬-২২ নভেম্বর সিলেট সফর করবে। এই সফরে সিস্টার সিটি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।



পোর্টসমাউথ কাউন্সিলের উপ-নেতা ও কাউন্সিলর স্টিভ পিট বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ নিজেদেরই নির্ধারণ করতে হবে। যা চলছে সেভাবেই চলতে দিতে পারি অথবা সম্ভাবনার পথে সক্রিয় হতে পারি। আমরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিটি পেয়েছি এবং মানুষেরাও দারুণ। আমরা এটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাই।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top