সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


মনের জগত ভালো রাখুন দশ উপায়ে


প্রকাশিত:
৮ মার্চ ২০২০ ২১:১৭

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৫

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: আমরা শরীর ভালো রাখায় মনোযোগী হলেও মনের জগত ভালো রাখার ব্যাপারে সচেতন থাকিনা। নিজের মন ও শরীর ভালো রাখলে ভালো থাকবেন আপনি, ভালো থাকবে আপনার চারপাশ। মনের জগত ভালো রাখুন দশ উপা্যে-

  • কাজ করুন সহজ উপায়ে। অনেক সময় আমরা কাজ কঠিনভাবে করি যা আমরা সহজভাবেও করতে পারি। সহজ উপায়ে কাজ করার অভ্যাস আমাদের মানসিক জটিলতা থেকেও মুক্ত রাখে।
  • আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র দায়িত্ব পালনের কথা না ভেবে, পারষ্পারিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। আন্তরিক সম্ভাষণ আপনার সমস্যাকে মিটিয়ে দেবে এবং দুইপক্ষই ভালো অনুভব করবেন। সম্মানের ভয়, খ্যাতির বিরম্বনা, লাভের তীব্রতা এবং রাগ ও হতাশার ক্ষেত্র, এই অনুভূতিগুলো ক্ষতিকর। এগুলো নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।
  • নিজের প্রতি সচেতন থাকুন কিন্তু সতর্ক নয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় হলো নিজের প্রতি খেয়াল রাখা। এটা সিদ্ধান্ত নিতে এবং নিজের অনুভূতিকে উপলব্ধি করার জন্য সহায়ক। আবার যারা মাত্রাতিরিক্ত আত্মসচেতন তারা সিদ্ধান্ত নিতে এবং কাজে পদক্ষেপ নিতে দুশ্চিন্তায় ভোগে। সেক্ষেত্রে আত্মসতর্কতা কাজ করার ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তাহীন মানসিকতার পরিচয় দেয়।
  • নিজেকে প্রশ্ন করুন? দেখুন আপনার মনোবল এবং শক্তি আপনাকে কী উত্তর দিচ্ছে এবং সেটি সঠিক কিনা?
  • নিজেকে সময় দিন। উদ্দেশ্যহীনভাবে কাজ এবং চিন্তা করবেন না। অগোছালোভাবে জীবনযাপন না করে নিজেকে গুছিয়ে চলার চেষ্টা করুন। এটি অত্যন্ত জরুরি যে আমাদের লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে এবং সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে, কর্মশক্তিকে যোগ্য কাজে লাগাতে হবে।। একটু বেশি সময় নিন এবং ধীরে ধীরে বুঝে নিন আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না।
  • ভুল হলে সাময়িক মন খারাপ করুন কিন্তু অপরাধবোধ ও লজ্জাবোধে ভুগবেন না। যখন আপনি মন খারাপ বোধ করবেন তখন ভুল শুদ্ধির চেষ্টা করুন। এটা নিজেকে নিয়ন্ত্রণের একটা ভালো পদ্ধতি। লজ্জা ও সামগ্রিক অপরাধবোধ আপনার আত্মোপলব্ধিকে নষ্ট করবে।
  • মানসিক যুক্তিগুলো অভ্যাস করুন। অধিকাংশ সময় আমরা সরাসরি না বলে কিছু কথা ঘুরিয়ে বলে থাকি। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটি অভ্যাস করা প্রয়োজন।
  • ভালো লাগার বিষয় গুলোর কথা ভাবুন। এটি আপনাকে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। আমাদের প্রত্যেকের শখের বিষয় রয়েছে। আমাদের সাথে যা ঘটে তার ওপর বেশিরভাগ সময় আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। শখ এবং অনুভবের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের নিজেদের প্রতি নিয়ন্ত্রণের একটা নির্দিষ্ট ও আশানুরূপ মাত্রা রয়েছে। তাই শখের প্রতি বা পছন্দের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিন।
  • অন্যের চিন্তা ভাবনা, মন মানসিকতার কথা চিন্তা করুন। আত্মসতর্কতা, আত্মসম্মানবোধ, আত্মদায়িত্ববোধ এবং আত্মজ্ঞান অন্যকে ভালোবাসার মতো। যখন আপনি নিজের জন্য কাজ করবেন তখন আপনি অন্যের জন্য, পৃথিবীর জন্য ও অবদান রাখতে পারেন। আপনার যদি কিছু না থাকে আপনি অন্যকে কিছুই দিতে পারবেন না।
  • ভুল স্বীকার করার মতো সাহসী হোন। মানুষ মাত্রই আমরা সবাই কমবেশি ভুল করে থাকি এবং সমালোচনার ভয়ে তা অস্বীকার করি। যদি ভুলকে স্বীকার করে তা সংশোধন করার জন্য সময় ব্যয় করি তবে আমরা সফল হবো এবং আমাদের মধ্যে মানবিকতা গড়ে উঠবে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top