সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


আজ ৬ মার্চ, পালিত হচ্ছে জাতীয় পাট দিবস


প্রকাশিত:
৬ মার্চ ২০২১ ১৮:১২

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০১

 

প্রভাত ফেরী: ২০১৬ সালে প্রতি বছর ৬ মার্চ জাতীয়ভাবে পাট দিবস আয়োজনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাটের সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বিবেচনায় আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় পাট দিবস।

২০১৬ সালের পরের বছর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও দিবসটি পালনে কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে করোনার কারণে গত কয়েক বছরের মতো জমকালো কোনো অনুষ্ঠান নেই। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে সীমিত পরিসরে হবে পাটমেলা।

প্রসঙ্গত, পাটশিল্প এখন দুঃসময়ে পড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকলই এখন বন্ধ।

ব্যক্তি খাতের পাটকলগুলোও ভালো চলছে না। কমবেশি একশ পাটকল চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তবে লোকসানে থাকলেও সুদিনের আশায় এগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। পাটশিল্পে এই দুর্দিনের মূল কারণ কাঁচাপাটের সংকট।

পাটশিল্পের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, মৌসুমের শুরুতে কাঁচাপাট পাওয়া যাচ্ছে না। কারখানায় চাহিদা বেশি। কিন্তু জোগান নেই। ফলে কাঁচাপাটের দাম বেড়েছে সর্বকালের সর্বোচ্চ।

এজন্য পাটপণ্য তৈরির কারখানাগুলো অচল হতে বসেছে। গত বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি দামে ছয় হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ কাঁচাপাট। এই দামে পাট কিনে পণ্য তৈরি করে লাভ করা সম্ভব না। ক্রেতারা তাই বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছেন।

শ্রমিক বেকার হচ্ছেন। ঋণখেলাপি হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। চাপ তৈরি হচ্ছে অর্থনীতিতে।

অথচ স্বাধীন দেশে গোড়ার দিকে মোট রপ্তানি আয়ে পাটের অবদান ছিল ৯৭ ভাগ। বাকি ৩ ভাগ আসত অন্য সব পণ্য রপ্তানি থেকে। পরিস্থিতি এখন পুরোটাই উল্টো।

রপ্তানিতে এখন পাটের অবদান মাত্র ৩ শতাংশ। স্বাধীনের আগেও পূর্ববাংলায় প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট।

বিদেশি মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস। সে সূত্রে পাটকে বলা হতো সোনালি আঁশ। সেই পাটশিল্পের অবস্থা এখন করুণ।

 


বিষয়: পাট দিবস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top