সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


‘করোনার চিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতাল স্থাপনের চেষ্টা চলছে’


প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২১ ২০:৪৮

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:২৩

 

প্রভাত ফেরী: জেলা পর্যায়ে করোনায় মৃত্যুহার কমানো রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রোববার (১১ জুলাই) ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে সংক্রমণ বেশি থাকা এলাকায় করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতাল স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল ও পরশু বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে খুলনায় দেখা গেছে, প্রান্তিক প্রর্যায়ে, একেবারে ইউনিয়ন পর্যায়ে সংক্রমণটা বেড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়নে যারা বসবাস করেন বিশেষ করে বয়স্করা বেশি মৃত্যুবরণ করছেন। কারণগুলো দেখলাম, যারা ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে বসবাস করেন, তারা অতটা সচেতন নয়। তারা আক্রান্ত হলে মনে করেন সর্দি-কাশি হচ্ছে। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে, আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। নরমাল সর্দিকাশি মনে করে দেরি করে। দেরি করার পর যখন শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তখন হাসপাতালে আসে, দেখা যায় তাদের ফুসফুসের ৭০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। অক্সিজেন লেভেলও ৭০/৮০ তে মেনে গেছে। ওই রকম পর্যায়ে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো সম্ভব হয় না।’

‘এই ধরণের পরিস্থিতির কারণে ওখানে মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। ভারতের বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টও অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অ্যাগ্রেসিভ। ভারতের আবহাওয়া ও খাদ্যাভাস একই রকম এজন্য তারাও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে বেশি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করতে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন করেছি। কমিটি ছিল ওটাকে আরও জোরদার করা। চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িত রায়েছেন কমিটিতে তাদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যুক্ত করা হয়েছে। এই কমিটি সার্বক্ষণিক মনিটর করবে। যে অসুস্থ হলো, অসুস্থ ব্যক্তির জ্বরটা দেখে নেবে, অক্সিজেন লেভেলে দেখবে। যদি দেখে এটা নেমে যাচ্ছে তাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই বিষয়টাকে আমরা সামনে রেখে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা ওই এরিয়াতে নতুন করোনা হাসপাতালে স্থাপনের চেষ্টা করছি। সেটা আমরা অলরেডি নির্দেশনা দিয়েছি, সেটার কাজ চলছে। ওখানে যতুটুকু বেড বাড়ানো সম্ভব, বাড়ানোর চেষ্টা করছে। যেহেতু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, আমরা জনবলও বৃদ্ধি করেছি। ওষুধ ও অক্সিজেনও বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

‘এই ব্যবস্থাটুকু আমরা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে করেছি। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও উপজেলা কমিটিতে আবারও নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সেটা ক্যাবিনেট, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও দেয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ আমরা বর্তমানে গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে আমরা মনে করি সংক্রমণ কিছুটা কমবে।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করা উচিত জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোরবানি পশু কেনার সময় যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, এদিকেও আমরা খেয়াল রাখতে বলেছি।’

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top