সিডনী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


১১ দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিকদের আমরণ অনশন চলছে


প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:০২

আপডেট:
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:০০

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: মজুরি কমিশনসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের ডাকে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচি।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কনকনে শীত উপেক্ষা করে শ্রমিকরা মিলগেটের সামনে অবস্থান করছেন। জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে এবং কোথাও কোথাও দিনের অন্যান্য সময় শুরু হয় এ কর্মসূচি।

গতকালকের মতো চট্টগ্রামে আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আমিন জুটমিলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে। শ্রমিকরা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মিল গেটে অবস্থান করছেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে নরসিংদীর ইউনাইটেড-মেঘনা-চাঁদপুর (ইউএম সি) জুট মিলের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা। অনশনে পুরুষদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও অংশ নিয়েছেন। মিলটিতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক রয়েছেন।

অনশনে ইউএমসি জুট মিলের সিবিএ’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহাম্মেদ,সুমন খন্দকার, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, নন সিবিএ পরিষদের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, মোশারফ হোসেন, কাউয়ুম প্রধান, শামসুল আরেফিন, ইসা হাবিব রিপন সরকারসহ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, ইস্টার্ন, খালিশপুর, দৌলতপুর, আলিম, যশোরের জেজেআই, কার্পেটিং মিলের হাজার হাজার শ্রমিক এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। কর্মসূচি এখনো চলমান।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, 'পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শ্রমিকরা নিজ নিজ মিলগেটে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। শ্রমিকদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা দেশের পাটশিল্প বাঁচাতে সরকারের কার্যকরী উদ্যোগ চাই।'

মিল শ্রমিকরা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ধ্বংস করার জন্য একটি মহল কাজ করছে। সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও তারা সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে না। সময়মতো কাঁচা পাট না কেনায় উৎপাদিত পণ্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। পুরনো যন্ত্রপাতিতে মিল বেহালে যাচ্ছে। শ্রমিকরা মিল বন্ধ করতে চান না, কিন্তু তাঁদের বেঁচে থাকার জন্য আন্দোলনে যেতে হচ্ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top