সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


সীমান্ত রক্ষায় আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবেন: বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৪১

আপডেট:
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০৩

বিজিবি দিবসে পিলখানায় প্রধানমন্ত্রী

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন এলাকার সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদক, চোরাচালান বন্ধ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডকে (বিজিবি) আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পিলখানার সদর দফতরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ‘বিজিবি দিবস-২০১৯’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্যরা শুধু সীমান্ত রক্ষা নয়, তারা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং দেশের প্রয়োজনে যেকোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এ সময় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। চোরাচালান, মাদক, সন্ত্রাস, অবৈধ অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে বন্ধ করবেন। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজিবিকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকায় যাওয়ার জন্য বিজিবিকে দুটি স্পেশাল হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সরবরাহ করা হয়েছে। ডগ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য চুয়াডাঙ্গায় আরেকটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছেন। তৎকালীন ইপিআর সমাবেশ তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং আপনাদের প্রতি যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা যুগ যুগ ধরে চলবে। এ নির্দেশগুলো মেনে বাহিনীর দক্ষতার পরিচয় দেবেন এবং বিজিবির সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবেন।

এ সময় সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগকালীন উদ্ধার কার্যক্রম ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বিজিবির প্রত্যক্ষ ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তা পারেননি। সে দায়িত্ব এখন আমার-আপনাদের সকলের ওপর। স্বাধীনতার পরে একটি বিধস্ত দেশকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। তার দেখানো পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। খাবারের জন্য কারো কাছে হাত পাততে হয় না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। মনে রাখবেন দেশ উন্নত হলে তার সুফল সকলেই পাবেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় পিলখানা সদর দপ্তরে আসেন। বিজিবি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা উপস্থিত হন।
এ ছাড়া দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বীর-উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top