সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


“করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে চীন থেকে আর কাউকে আনা হবে না”


প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:২৪

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০৯

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চীন হতে আর কাউকে বাংলাদেশে আনা না বলে জানিয়েছে সরকার। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এ কথা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্বে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে অনানুষ্ঠানিক যতটুকু কথা হয়েছে তাতে আপাতত চীনে আমাদের যারা আছেন, তাদের আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে যে, তারা যে যুক্তিগুলো দিয়েছেন যেমন খাবারের অভাব, সাপোর্ট পাচ্ছেন না, আসলে তাদের খাবার-দাবারের কোনো অভাব নেই। বরং তাদের সব সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে তাদের আনার কোনো জাস্টিফিকেশন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বৈঠকে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আইন-২০২০-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনের সফল প্রয়োগে পর্যটনশিল্প বিকাশ, বেকারত্ব দূর, আয় বৃদ্ধি হবে। আইনে বলা হয়েছে, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান হবেন একজন সচিব পদের কর্মকর্তা।

মাদকের মামলার বিচারে বিশেষ আদালত : মাদক মামলার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সব জেলা ও মহানগরে বিশেষ আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৫৫টি ধারার মধ্যে ২২টি ধারার সংশোধনে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আইনে বলা হয়েছে, সরকার সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করবে এবং প্রত্যেক ট্রাইব্যুনালে অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বিচারক নিয়োগ করা হবে। তবে কোনো জেলায় অতিরিক্ত জেলা জজ না থাকলে ওই জেলায় দায়রা জজ নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনালের মামলা নিষ্পত্তির বিধান রাখা হয়েছে।

প্রশাসনিক কারণে অদ্যাবধি মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন বা জেলা বা দায়রা জজকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব। তিনি বলেন, ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অসংখ্য মাদক অপরাধ সংক্রান্ত মামলা হলেও তা বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। প্রকৃত আসামিকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না।

আইনের ৫৫টি ধারার মধ্যে ২২টি ধারায় সংশোধন আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংশোধন করা হলে এই আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধগুলো অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন হবে। সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ তাদের এখতিয়ার সম্পন্ন এলাকার জন্য কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচারের জন্য এক বা একাধিক আদালত নির্দিষ্ট করতে পারবেন। ফলে মাদক অপরাধের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। এখন বিশেষ আদালত গঠিত হবে। এতে বিচারপ্রাপ্তি আরও সহজ করতে। দু’বছরের সাজা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচার করবেন। যেখানে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট আছে, সেখানে দায়রা জজ বিচার করবেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top