সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


ঘাসফুল : আবু সেলিম রেজা


প্রকাশিত:
১৯ জুন ২০২১ ২০:০৪

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৪:৪২

 

-দুরু শালা! কুত্তার ছাওয়ের মত পায়ের সাতে বাঝে! শালার বছর বিয়ানি মাগী কয়ডা যে বিয়াইচে আল্লাই জানে! ভোররাতে পেটে মোচড় দিয়ে পায়খানা চাপায় দ্রুত ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সামচু শেখ কথাগুলো বলে।

ঘর বলতে দশখানা টিনের একটা ছাপড়া। চাটাইয়ের বেড়া। নীল পলিথিনে বেড়ার ফাঁক-ফোকর বন্ধ করা।

সামচু শেখের বৌয়ের পনের দিন হলো বাচ্চা হয়েছে। সে নতুন বাচ্চা নিয়ে চৌকির একপাশে শোয়। বাকি পাঁচটা মেয়ে নিয়ে সামচু মেঝেতে শোয়। প্রকৃতির ডাকে তাড়াহুড়ো করে উঠতে গিয়ে সে সেঝ মেয়ে সহিতনের পা মাড়িয়ে দেয়। তীব্র ব্যথায় সহিতন চীৎকার দিয়ে ওঠে।তবে বাজানের পা জানতে পেরে তার কান্নার দৈর্ঘ্য স্বল্প হয়। ঠিক যেন দুগ্ধপোষ্য শিশুর মায়ের স্তনের বোঁটা মুখে লাগার সময়ের অসমাপ্ত কান্নার মত।

সামচুর ঘর শহরতলির ওয়াপদা বাঁধের বস্তিতে। সরকারি খাস জায়গা। নদীভাঙ্গনে বসতবাড়ি হারিয়ে দশ বছর আগে সে এ শহরে আসে। বৌ আর দুই মেয়ে নিয়ে সে ফুটপাতে থাকতো। বস্তির সর্দার রজব মাস্তানের সাথে কেমনে কেমনে তার বৌ জরিনার পরিচয় হয়। তারপরে সে জরিনাকে ধর্ম বোন বানায়। সেই ধর্মভাই-ই এ খুপড়িতে বসবাসকারিনী ফুরকুনি বুড়ি মারা যাওয়ার পর এই জায়গাটা দখল করে দিয়েছে। বস্তির লোকেরা অবশ্য ভাইবোনের সম্পর্ক নিয়ে নানানরকম ফিসফাস করে- করুক! সামচু শেখের এক কথা-অসাইক্ষাতে মানুষ 'আজা'(রাজা)ক গাইল পাড়ে!

সামচু'র বড় শখ একটা ছেলের। ছেলের হাতে সংসারের দায়িত্ব দিয়ে বুড়োকালে আল্লাহ্-বিল্লাহ করবে। কিন্তু তার এই সংসারের মহান দায়িত্ব নেয়ার জন্য আল্লাহপাক কেন যে একটা পুত্রসন্তান দান করছেননা- সে বুঝতে পারেনা! আবার এটাকে সে পরীক্ষা মনে করে ইয়াক্কীন দিলে সে বার বার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই একজনের পিঠে বুক ঠেকিয়ে একে একে তার মেয়েরা দুনিয়ার আলো দেখছে।

সামচু'র বড় মেয়ে সেতারার বয়স পনের,মেঝ দু'জন যমজ জীবনতারা ও নয়নতারা তের,সেঝ ইসমতআরা এগার,নোয়া ছেফাতআরা নয়, এর পরে একটা নষ্ট আর একটা জন্মের সময় মারা যাবার পর সর্বশেষটা হয়েছে পনের দিন আগে। দশটিনের ছাপড়া ঘরে মা লক্ষীরা যেন লাইন ধরে আসতে শুরু করেছে।

বড় মেয়ে সেতারা ব্র্যাক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তারপর মায়ের বার্ষিক সন্তান জন্মদানের সময় বোনদের খানা-খাদ্য দেখাশোনার প্রয়োজনে স্কুল কামাই অবধারিত হওয়ায় তার পড়াশোনা আর হয়নাই।

তবে বছর যত গড়ায় শরীর তত বাড়ে। আর বাড়ে পেছনের ঢেউয়ের মত ছোট বোনগুলো। এখন মায়ের বাচ্চা রাখার জন্য তার মত আরো জনাতিনেক আছে। পালক ছাড়ানো মুরগির রানের মত সরু ঠ্যাঙের চাপে সামচু মিয়ার রিক্সা যেমন চলেনা-

সংসারের চাকাও তেমনি ঠেকে ঠেকে চলে।

মেয়েগুলো খেতে না পেলেও কচুগাছের মত বিনা সার-পনিতেই লকলকিয়ে বেড়ে ওঠে।

বাঁশের চাটাইয়ের বেড়ার পলিথিনের ঘেরা বিনা বাতাসেই মাঝে মাঝে উধাও হয়। সামচু মিয়ার সারাদিনের কর্মক্লান্ত শরীর রাতের নির্লজ্জ আদিম বিনোদনের পর মরণ ঘুমে নেতিয়ে পড়ে।

যত চিন্তা নিত্য পোয়াতি জরিনা বানুর। ধর্মের ভাই রজব মাস্তান আজকাল কারনে অকারনে খুপড়িতে আসে।

সেতারার বাড়ন্ত শরীরের দিকে কেমন করে তাকায়। দশ/বিশ টাকা হাতে দিয়ে পান আনতে পাঠায়। ভাংতি টাকা ফেরত নেয়না। কখনওবা বলে-সেতা মাথাডা ইট্টু টিপ্যা দে নারে মা! মেঝ দুইটার এখন আর হাফপ্যান্ট চলেনা। ওরা পাশের বাড়ির টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল দেখতে যায়। বাড়িওয়ালার কয়েকটা ছেলেই বখাটে।

সন্ধ্যায় সামচু যখন রিক্সার হারিকেন নেয়ার জন্য আসে তখন জরিনা কথাগুলো তার কানে দেয়। সামচু শেখ বরাবরের মতই মুখ খারাপ করে বলে-বিয়াস ক্যান মাগি পত্তিবছর!

পরদিন সকালে বস্তির পাশের রাস্তার ওপাড়ের মহল্লার জজ সাহেবের মা লোক পাঠান জরিনাকে দেখা করার জন্য। জজ সাহেব আসলে জজের চাকুরি করেন না কি নামই জজ তা জরিনা জানেনা। তবে প্রতি ঈদে শবেবরাতে বা বন্যা দুর্যোগের সময় জরিনাকে ডেকে তিনি কাপড়টা,চালটা,চিনি-সেমাইটা বা নগদ টাকাও সহায়তা করেন। ছোট মেয়েটাকে ত্যানা দিয়ে মুড়ে নিয়ে জরিনা জজসাহেবের মায়ের সাথে দেখা করে।

-আম্মা ডাইকছেন আমাক?
- হ্যাঁ! আরে আবার খালাস হইচিস জরিনা?
- হয় আম্মা! আল্লাহ্ দিচে।
-ছাওয়াল না মিয়া?
-বিটি ছাওয়াল আম্মা।
-তা আল্লায় যখন দিছে। বাঁচায়া রাখুক।
-আম্মা আমাক ডাকিছেন ক্যান?
-শোন জরিনা, তোর তো অনেকগুলি মিয়া! ভাত-কাপড় দিবার পারিসনা ঠিকমত। একটা মিয়া আমাক দে আমি পাইল্য পুইষ্যা বিয়া দেব।
-আম্মা যে কি ক'ন!  মইষের শিঙা কি মইষের কাছে ভারি হয়?
-তা হয়না। তবে আমার মেঝ মেয়ে গুলনেহারের পয়লা পয়লা বাচ্চা হইবো। অর কাছে পাঠাবো।

জামাই বড় ডাক্তার। ঢাকা শহরে সাততলার উপরে ফেলাট। খাওয়া দাওয়া,জামাকাপুড়,টিভি দেখা,নিজেগরে গাড়িত কইরা ঘোরা। তোর মাইয়া খুব সুখেই থাকবি।পরে বিয়া-সাদী দেওয়ার সময় খরচাপাতি দিয়া দেওয়া যাবি।

জরিনা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বলে- আচ্ছা কইলেন যহন,অর বাপেরে কমুনে।

-হ্যাঁ!  চিন্তা কইরা রাজি হইয়া যা,তোগরেও মাসে মাসে কিছু ট্যাকা পয়সা নিয়া দেওয়া যাবিনি।সামচুরে আমার কাছে পাঠায়া দিস।
-আচ্ছা।
-আর হোন্!  এই ব্যাগে পাঁচস্যার চাইল আচে নিয়া যা!

সন্ধ্যার সময় সামচু বাড়ী এসে কথাটা শুনে লাফাতে লাফাতে জজসাহেবের বাড়ির দিকে ছোটে। নগদ পাঁচশত টাকার কচকচে দু'টো নোট। চা-সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য আরো পঞ্চাশ টাকা। হাতে পেয়ে সামচু মনে মনে লাফায়।

একজন মেয়ে কমে যাওয়া মানে তো ২০ কেজি চালের খরচ কমা,ঘরের দুই হাত জায়গা খালি হওয়া,মাসে মাসে নগদ কিছু পাওয়া-

রিক্সা ঠেলে দিনের কামাই দিয়ে দুইবেলা ভাতই জোটেনা!

বাড়তি নগদ কিছু পেলে বিড়িটা,তাড়িটা ছাড়াও রেল ইস্টিশনের বস্তির সুরমার কাছে মাসে দু'একবার যাওয়া যাবে।

-জ্বে চাচীআম্মা! গুলনেহার আফার কাছে থাকা মানে তো মায়ের কোলেই থাকা!
পাঠামুনে আমার জীবনতারা,নয়নতারার একজনরে পাঠামুনে।

একছড়ি সবরী কলা আর এক কেজি গুড়ের জিলাপী নিয়ে সামচু ঘরে ফেরে। কলা আর জিলাপী দেখে মেয়েরা খাদ্যের গন্ধ পাওয়া পুকুরের মাছের দলের মত বাপকে ঘিরে ধরে। সামচুর কণ্ঠে যেন মমতা উথলিয়ে ওঠে।

-ঢাহা যাইব কেডো রে!
-আমি,আমি,আমি,আমি! কোলেরটা আর তার বড়টা বাদে সবাই চেঁচিয়ে ওঠে।
-আমার নয়ন,আমার জীবন মা' রা কোনে রে!
দুই মেয়ে বাপের দু'পাশে দাঁড়ায়।

হাতের তর্জণী দু'বার দু'জনের দিকে নিক্ষেপ করে ঢাকা দিল্লী ঢাকা দিল্লী বলতে থাকে। শেষে নয়নতারার দিকে আঙুল থাকতে দম শেষ হয়ে যায়।

-আমার নয়ন,তুই-ঢাকা যাবি।
নয়ন বিজয়ের হাসি হাসে। 
-কবে যামু বাজান,সকালে?
- না রে মা! রিদের পর গুলনেহার আফার মা ঢাহা যাবি। তার সাথে যাবি।
নয়নের মনে তুমুল উত্তেজনা! এই হতদরিদ্র সংসারে দু'বেলা না খেয়ে থাকার কষ্টের অবসান হবে।

টিভিতে দেখা বড়লোকের বাড়ির খাবার টেবিলের ছবি তার চোখে ভাসতে থাকে। যেখানে ভাত মাছ মাংসের সাথে হরেকরকম ফল মিষ্টান্ন থরে থরে সাজানো। হাভাতে নিঃস্ব রিক্সাচালকের ছয়কন্যার একজন হলেও নয়নতারার নিজস্ব কিছু সম্পদ আছে। যেমন পৌর ডাষ্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আধাভাঙা কথাবলা দামী পুতুল,গত ঈদে এমপি সাহেবের খয়রাত দেয়া একসেট রঙিন সালোয়ার কামিজ, কয়েকটা মাটির পুতুল আর 

একটা পোষা বেজি। সবচাইতে প্রিয় সম্পত্তি সেভেন-আপের বোতলের মধ্যে মাটি ভরে লাগানো লতানো ঘাসফুল- যা বেড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। ঢাকা যাওয়ার সময় সে ওটাও নিয়ে যাবে। তাই ধুয়ে-মুছে সুন্দর করে পরিষ্কার করে রাখে। দিন যতই যায় নয়নতারার গভীর আগ্রহ ততই ফিকে হতে থাকে।

দেখতে দেখতে ঈদ শেষ হয়ে যায়। ঈদের দিন সে বাজানের সাথে জজসাহেবের বাড়িতে যায়। মানে তাকে যেতে বলা হয়। গুলনেহার আপাকে সেদিনই সে প্রথম দেখে।

কি সুন্দর ফর্সা, হিন্দি সিরিয়ালের ভাবিদের মত!
মিষ্টি কণ্ঠে ডাকে-নয়ন আমার সাথে যাবি?
এত্ত বড়লোক আপা এত নরম কণ্ঠে কাছে ডাকায় নয়নতারার খুব ভাল লাগে।
মাথা নিচু করে বলে- হ' যামু!
-বেশ! এই বলে মাথায় হাত বুলিয়ে কাছে টেনে ঢাকা থেকে আনা নতুন কামিজ ওড়না ওকে পরিয়ে দেয়।
নতুন জামায় নয়নতারাকে অপূর্ব লাগছিলো।
আসলে মানুষের সৌন্দর্যের অর্ধেক হলো পোষাকে।

শনিবার সকালবেলা গুলনেহার নয়নতারাকে নিয়ে যাবে। জরিনার বুক ভেঙ্গে যায়, চোখ ভেসে যায়।
সামচু শেখের ভয়ে মন খুলে কাঁদতে পারেনা। নয়নতারা তার পোষা বেজিটা বড়বোন সেতারা আর মাটির পুতুলগুলো জীবনতারাকে দিয়ে দিলো। শুধু বোতলে লাগানো ঘাসফুলটির বোতল কাপড়ের পোটলার মধ্যে বসিয়ে রাখলো।
সকাল সাতটায় ওয়াপদা বস্তির সামচু শেখের খুপড়ির সামনে চকচকে কফি কালারের প্রিমিও কার এসে থামলো। পেছনে আরও একটি কার। গুলনেহার মুখে রুমাল চেপে গাড়ি থেকে নামলো। সামচু শেখের বাড়িতে মরাকান্না। নয়নতারা যমজ বোন জীবনতারাকে আঁকড়ে ধরে বুকফাটা চীৎকার করে কাঁদে।

-মা আমি যামুনা!
-জরিনা শব্দ করে কাঁদে।
কান্না সংক্রামক। তাই বাকিরা কেউ বুঝে,কেউ না বুঝে কাঁদে।
সামচু শেখ কড়া করে ধমক দেয়।
-চুপ!  সব চুপ!
নয়ন তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠ!
নয়ন দৌড়ে এসে বাপের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদে-বাজান না খায়া থাকমু, তা-ও আপনেগরে ছাইড়া যামুনা।
সামচু শেখের মনটা হু হু করে ওঠে। তবে আগের একহাজার টাকা আর আগামীর হাজার হাজার টাকার চিন্তায় সে কৌশলী হয়। বলে
-মা রে!  আমিও তোর সাথে যাবো চল।
কৌশলটা মন্ত্রের মত কাজ করে।
গুলনেহার বলে- ঠিক আছে। তোমরা বাপ-বেটি পেছনের গাড়িতে ওঠো।

নীলাভ সাদা ধোঁয়া ছেড়ে গাড়ি দু'টো চলে যায়। তার আড়ালে কয়েকজোড়া চোখের পানি ঢাকা পড়ে।

তবে বস্তির কোনো কোনো হাভাতে বালক-বালিকারা অকটেন পোড়া আপাতঃ মিষ্টি গন্ধ দু'হাতে তাড়িয়ে তাড়িয়ে নাকে ঢোকায়। মিরপুরের অভিজাত এলাকায় গুলনেহারের নিজস্ব পাঁচতলা বাসা। সারভেন্ট কোয়ার্টারে রাতে থেকে পরের দিন ফিরলো। আসার সময় সামচু শেখও বাচ্চা ছেলের মত কাঁদলো। তবে আশ্চর্যের বিষয় নয়নতারার চোখ ভিজলেও মেয়েসুলভ ধৈর্যের পরিচয় পাওয়া গেল।

নয়নতারার থাকার ব্যবস্থা হলো পাঁচতলায়। গুলনেহারের শাশুড়ির রুমের মেঝেতে। রাতে কাজকর্ম সেরে নয়নতারা তার পোটলা খুলে ঘাসফুলের বোতলটা বের করে দেখে লতাগুলো কেমন নেতিয়ে পড়েছে। সে পানির ছিটা দেয়। সকালে ছাদে গিয়ে বিশাল ওভারহেড পানির ট্যাংকের একটা হুকের সাথে বোতলটা ঝুলিয়ে দেয়। রাতের পানির ছিটা পেয়ে লতাগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে। এখন রোদের ছোঁয়ায় ঝলমল করছে।

নয়নতারা কাজ করে। সারাবাড়ি,সারাক্ষণ-সবার ডাকে সাড়া দেয়। ঝাড়-ঝাঁটা,ধোয়া-মোছা,কাটা-বাঁটা,বিছানা-সোফা,খানার টেবিল সাজানো,শাশুড়ির মাথায় তেল,পা-টেপা সবকিছু। খাবার টেবিলে হরেকরকম খাবার বেঁচে যায় পচে যায়-সেটা ফেলেও দেয়া হয়। নয়নতারা সেগুলো ছুঁতে পারেনা।

নয়নতারা গোপনে কাঁদে। কারণ এখানে তার চোখের জলের কোন মূল্য নেই-সে জানে। মন ভালো করার জন্য সে ওয়াপদা বস্তির একমাত্র চিহ্ন তার প্রিয় ঘাসফুলের বোতলের কাছে যায়। হায় খোদা! ক'দিন ব্যস্ত থাকায় ছাদে আসতে না পারায় পানির অভাবে লতাগুলো যে নেতিয়ে পড়েছে। দ্রুত বোতলে পানি দেয়।

 

অপ্রাপ্ত বয়স্ক অশিক্ষিত বস্তির মেয়েটি হঠাৎ বুঝে ফেলে যে বিশাল পানির ট্যাংকির গায়ের বোতলের লতা আর বিপুল জীবনোপকরণের ঘরের পরিচারিকা উভয়কেই শিকড় গুটিয়ে বাঁচতে হয় । তারা বেঁচে থাকে ঠিকই। তবে সে বাঁচা বাঁচা নয়।

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top