সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


ভিলিয়ার্সের ঝড়ে ও চাহালের ঘূর্ণিতে জয়ে শুরু ব্যাঙ্গালুরুর


প্রকাশিত:
২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:০৩

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:৫১

 

প্রভাত ফেরী: উড়ন্ত সূচনার পরও একটা সময় রানের গতি আটকে গিয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলাররা যে দারুণভাবে চেপে ধরেছিলেন। মনে হচ্ছিল, উইকেট হাতে রেখেও দেড়শ পার করা কঠিন হয়ে পড়বে বিরাট কোহলির দলের।

তবে শেষদিকে এসে এবি ডি ভিলিয়ার্স বরাবরের মতো ঝড় তুললেন। ২৯ বলেই ফিফটি তুলে নেয়া প্রোটিয়া এই ব্যাটিং মায়েস্ত্রোর কল্যাণে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ৫ উইকেটে তারা জমা করেছে ১৬৩ রান।

ম্যাচটি পুরোপুরিই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হাতে ছিল। ১২১/২, লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের পাঁচ বল বাকি, ২৯ বল থেকে চাই ৪৩ রান। এমন জায়গা থেকেই চাহাল ম্যাচটি ঘুরিয়ে জেতালেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে, ১০ রানে। চাহালই তাই ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

৪২ বলে ৬১ করে অপরাজিত জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট যেভাবে ঝড় তুলেছিল থামানো যাচ্ছিল না। থেমে গেল ওই চাহালের বলেই। বেয়ারস্টো বোল্ড। প্রথম বলেই বোল্ড পরবর্তী ব্যাটসম্যান বিজয় শঙ্কর। হ্যাটট্রিক হতে হতেও হয়নি। অদ্ভুত ধসে ২৬ বলে ৩২ রান তুলতে ৮ উইকেট নেই হায়দরাবাদের। শেষ ৩ ওভারে তাদের তুলতে হতো ২৯ রান, শেষ দুই ওভারে ২২ রান আর শেষ ওভারে ১৮ রান। বেঙ্গালুরুর ১৬৩ রানের জবাবে ২ বল বাকি থাকতেই ১৫৩ রানে অলআউট ডেভিড ওয়ার্নারের দল।

মূলত বোলিং-ফিল্ডিংয়ের দাপটেই জিতেছে কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সদের আরসিবি। বোলিংয়ে চাহাল নায়ক হলে পার্শ্বনায়ক নবদীপ সাইনি।  এই পেসারও ১৮তম ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের পতনের কারণ।

তবে এ ম্যাচে ক্রিকেট রোমাঞ্চ ছড়ায়নি। ঘটেছে ঘটনা। বোলিং করতে গিয়ে হায়দরাবাদের অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডর মিচেল মার্শ অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়েছেন। পরে রান তাড়ায় রান নিতে গিয়ে তাদেরই দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে হয়েছে সংঘর্ষ।

পেসার শুভম দুবের করা ১৭তম ওভারে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে সঙ্গী অভিষেক শর্মার সঙ্গে সংঘর্ষে হেলমেটে আঘাত পেয়ে পড়ে যান রশিদ খান। ওদিকে রান আউট হয়ে যান অভিষেক। মনে হচ্ছিল ‘কনকাশান’ হয়েছে আফগান লেগস্পিনারের। মাঠেই খানিক সেবা শুশ্রুষার পর যদিও ব্যাট করেছেন। কিন্তু পরের ওভারে বোঝা যায় একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ভুবনেশ্বর কুমার ও রশিদকে বোল্ড করেন সাইনি।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বেঙ্গালুরুর স্কোর ১৬৩ কেন, হওয়া উচিত ছিল আরও বড়। কারণ অভিষিক্ত ওপেনার দেবদূত পাড়িক্কালকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৯০ রান তুলে ফেলেছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। বিজয় শঙ্করের মিডিয়াম পেসে বোল্ড হওয়ার আগে পাড়িক্কাল ৪২ বলে করে গেছেন ৫৬, দলীয় সর্বোচ্চ। পরের ওভারের প্রথম বলেই ফিঞ্চ (২৯) এলবিডব্লিউ বাঁহাতি স্পিনার অভিষেক শর্মার বলে। এরপর দায়িত্ব পড়ে আধুনিক ক্রিকেটের দুই সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের কাঁধে। এরা দুজন খুচরো রান তুলেই মাঠ মাতাচ্ছিলেন। হাত খুলে খেলতে গিয়েই আউট হয়েছেন কোহলি, করেছেন ১৩ বলে ১৪। অধিনায়কের রেখে যাওয়া দায়িত্ব পালন করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান ৩০ বলে ৫১ করে হয়েছেন রান আউট।

রান তাড়ায় নেমে হায়দরাবাদকে জয়ের পথেই রাখেন বেয়ারস্টো, সঙ্গী ছিলেন মনীশ পান্ডে। ৪২ রানের মাথায় ফিঞ্চের হাতে ‘জীবন’ পেয়েও বেয়ারস্টো শেষ পর্যন্ত পারেননি ম্যাচ জেতাতে। তার আউটের মাধ্যমে ধস নেমে ১৯.৪ ওভারে অলআউট হায়দরাবাদ। ধসটা নামিয়েছেন ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেওয়া ওই চাহাল।

কোহলি জয়ের পর চাহালের প্রশংসা করেছেন, প্রশংসা করেছেন অভিষেকেই ফিফটি করা পাড়িক্কালের। তবে অবাকও হয়েছেন বেঙ্গালুরু ও ভারতের অধিনায়ক, ‘সত্যিই অবাক লাগছে যে আগের রাতেও এই ফলটার উল্টোদিকে ছিলাম আমরা, ০-৬। এখন ১-০ করতে পেরে ভালো লাগছে।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top