সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


২২৩ রান করেও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হার


প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:০৩

আপডেট:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:১৬

 

প্রভাত ফেরী: ২২৩ রানও এখন টি-টোয়েন্টিতে নিরাপদ নয়। যেন ইটের বদলে পাটকেলটিই কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দিকে ছুঁড়ে দিলো স্টিভেন স্মিথের রাজস্থান রয়্যালস।

২২৩ রান করেও জিততে পারলো না কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। উল্টো তিন বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের ব্যবধানে জিতে গেলো রাজস্থান রয়্যালস। সেই সাঞ্জু স্যামসন আবারও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন। আগের ম্যাচে ৯টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। করেছিলেন ৭৪ রান। এবার মারলেন ৭টি ছক্কা। ৪২ বল খেলে ৮৫ রান করে রাজস্থানকে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জিতিয়ে দিলেন তিনি।

মূলত সঞ্জু স্যামসন এবং শেষ তিন ওভারে রাহুল তেওয়াতিয়ার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে এই রান চেজ সম্ভব হয়েছে। স্টিভেন স্মিথের ৫০ রানের ইনিংসটিও ছিল মূল্যবান। স্যামসন এদিনও ব্যাটে ঝড় তুলে ৪২ বলে করেছেন ৮৫ রান, যাতে  ছিল চারটি চার ও সাত ছক্কা। কিন্তু ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই তিনি যখন মোহাম্মদ শামির বলে ক্যাচ দিয়ে যান উইকেটকিপারকে, ২৩ বলে রান ৬৩। এটা খুবই কঠিন মনে করাচ্ছিলেন অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যান তেওয়াতিয়া। ২১ বলে তখন তার রান মাত্র ১৪! মারকুটে বলে পরিচিত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রানই নিতে পারছিলেন না, একটি চার পর্যন্ত মারতে পারেননি। সেই তেওয়াতিয়াই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাঁহাতি পেসার শেলডন কটরেলের পরের ওভারে মেরেছেন পাঁচ ছক্কা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারের ছয় বলেই ছক্কা মারার রেকর্ড গড়া যুবরাজ সিংও তখন হয়তো ছয় ছক্কার অপেক্ষায় ছিলেন!

কটরেলকে প্রথম চার বলেই আছড়ে ফেলেন সীমানার বাইরে। ওয়াইড লং অফ দিয়ে পাশের রাস্তায় ফেলে মেরেছেন তৃতীয় ছক্কা। পঞ্চম বলটা ডট।  ষষ্ঠ বলে আবার ছয়। ওভারে পাঁচ ছক্কায় ৩০ রান নিয়ে দলকে ১২ বলে ২১ রানের সহজ সমীকরণে এনে ফেলেন। শেষ বিচারে ম্যান অব দ্য ম্যাচ স্যামসন নন, হিরো তখন তেওয়াতিয়া। ১৯তম ওভারে জফরা আর্চার শামির দুই বলে ছক্কা মেরে জয়টিকে একেবারে নাগালে নিয়ে আসেন। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক পেয়ে তেওয়াতিয়ার আরেক ছক্কা। ষষ্ঠ বলে আর ছক্কা মারতে পারেননি, ক্যাচ হয়ে যান ডিপ মিড উইকেট সীমানায়। ৩১ বলে সাত ছক্কায় করেন ৫৩ রান। শেষ ওভারে মাত্র ২ রানের দরকার, কিন্তু নতুন ব্যাটসম্যান রিয়ান পরাগ হড়বড় করছিলেন। লেগস্পিনার মুরুগান অশ্বিনের প্রথম বল ডট, দ্বিতীয় বলটি গুগলি, সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। তখন আবার রাজস্থানের দুশ্চিন্তা, ম্যাচ সুপার ওভারে যাবে না তো! এ অবস্থায় ৪ বলে ২ রান তোলা অনেক সময়ই সহজ হয় না। টম কারেন তৃতীয় বলে চার মেরে দূর করেছেন সব দুশ্চিন্তা। অসাধারণ এক রান তাড়ায় জয় । দুটি ম্যাচই জিতে স্টিভেন স্মিথের দল উঠে গেল পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করা পাঞ্জাব ২২৩ রারে পাহাড় গড়ে মূলত মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক কেএল রাহুলের ৬৯ রানের কল্যাণে। আর্চার, কারেন, শ্রেয়াস গোপাল ও তেওয়াতিয়াদের বেধড়ক পিটিয়ে ৫০ বলে ১০৬ করেছেন আগরওয়াল। ১০ চার ও সাত ছক্কায় সাজানো ইনিংসে আগরওয়ালের ৫০ হয়েছে ২৬ বলে, সেঞ্চুরি আসে ৪৫ বলে। আর ৩৫ বলে ফিফটি করা রাহুল ৬৯ করেছেন ৫৪ বলে। তখন কী পাঞ্জাব ভাবতে পেরেছে ২২৩ রানও তাড়া করে ফেলবে রাজস্থান! কেউই আসলে ভাবতে পারেনি শারজার মাঠ গড়ে ফেলবে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার ইতিহাস!

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাঞ্জাব: ২০ ওভারে ২২৩/২(আগরওয়াল ১০৬, রাহুল ৬৯, পূরান ২৫*, রাজপুত ১/৩৯, কারেন ১/৪৪)। রাজস্থান:১৯.৩ ওভারে ২২৪/৬ (স্যামসন ৮৫, তেওয়াতিয়া ৫৩, স্মিথ ৫০, শামি ৩/৫৩, অশ্বিন ১/১৬)।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top