সিডনিতে প্রথম দিনই ভারত অলআউট
প্রকাশিত:
৪ জানুয়ারী ২০২৫ ০৯:৪৩
আপডেট:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২৯

ধারাবাহিকভাবে বাজে পারফর্মেন্সের কারণে সিডনি টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ান নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যদিওবা দেশটির কিছু গণমাধ্যমের দাবি, রোহিতকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনা যাই ঘটুক, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের পারফর্মেন্সে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সিডনি টেস্টের প্রথম দিনেই যে অলআউট হয়ে গেছে তারা। শুক্রবার প্রথম টেস্টে ৭২.২ ওভারে মাত্র ১৮৫ রানেই থেমে গেছে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম ইনিংস।
শুক্রবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অসি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ভয়ংকর হয়ে ওঠেন স্কট বোল্যান্ড, মিচেল স্টার্করা। শেষদিকে প্যাট কামিন্সও আগুন ঝরিয়েছেন বোলিংয়ে। এদিন দলীয় ১১ রানে বোল্যান্ডের বলে লোকেশ রাহুলকে (৪) দিয়ে ভারতের বিপর্যয়ের শুরু। আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালও ৪ রানের বেশি করতে পারেননি এদিন। দলপতি রোহিত শর্মার জায়গায় সুযোগ পাওয়া শুভমান গিল করেন ২০ রান।
নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ক্যাচ দিয়েও জীবন পাওয়া বিরাট কোহলি ১৭ রানে সেই বোল্যান্ডের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। হতে পারে এটাই তার শেষ টেস্ট। সমালোচকদের নিশানায় থাকা ঋষভ পন্থ স্বভাববিরুদ্ধ ধীরলয়ের ব্যাটিংয়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। এ ছাড়া আর কোনে ব্যাটার ত্রিশের ঘরেও যেতে পারেননি! দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০ ওভারে ৮ মেডেনসহ মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্কট বোল্যান্ড। মিচেল স্টার্ক নিয়েছেন ৪৯ রানে ৩ উইকেট। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের শিকার ৩৭ রানে ২ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিনশেষে ৩ ওভার খেলে মাত্র ৯ রান সংগ্রহ করতেই ১ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ২ রানে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান উসমান খাজা। অপরপ্রান্তে ৮ বলে ১ চারে ৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন স্যাম কনস্টান্স।
তবে সিডনি টেস্টের প্রথম দিনের শেষ ১৫ মিনিটের খেলায়ও ছিল দারুণ উত্তেজনা। বিশেষ করে জাসপ্রিত বুমরাহ যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিলেন স্যাম কনস্টাসের প্রতি! অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ২.৫ ওভারে বুমরাহর মেজাজটা খারাপ হয়েছিল স্ট্রাইকে থাকা উসমান খাজার ওপর। বোলিং মার্ক থেকে দৌড় শুরু করেছিলেন। তাকিয়ে দেখেন খাজা প্রস্তুতই হননি। ওদিকে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। শেষ বিকেলে একটা উইকেট নিয়ে নিতে পারলে মন্দ হয় না! বুমরার মনে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া ইচ্ছা করেই সময় নষ্ট করছে।
দুই হাত উঁচিয়ে বিরক্তি প্রকাশের ভঙ্গি করেন খাজার প্রতি। কিন্তু নন স্ট্রাইকে থাকা কনস্টাস কিনা ঘাড় ঘুরিয়ে তাঁকে কিছু একটা বলে বসলেন! কী বলেছেন, তা জানা না গেলেও কল্পনায় সুরটা ধরা যায়, তুমি বাপু এখানে নাক গলানোর কে? কনস্টাসও এগিয়ে গিয়েছিলেন দুই পা। ঠিক তখনই শান্তির বার্তা নিয়ে দুজনের মাঝে বাংলাদেশী আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে তাঁদের নিজ নিজ জায়গায় পাঠিয়ে দেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: