সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়াতে স্কুল বনাম টিউশনঃ সন্তানের পড়াশোনা এবং ভালো ফলাফলের চেষ্টা


প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০১৯ ০৬:০৭

আপডেট:
১ এপ্রিল ২০২০ ০৩:১৫

অস্ট্রেলিয়াতে স্কুল বনাম টিউশনঃ সন্তানের পড়াশোনা এবং ভালো ফলাফলের চেষ্টা

মেহমুদ খানঃ যে কোন পিতামাতাই আশা করেন যে তার সন্তান পড়ালেখায় ভালো করবে। এক্ষেত্রে মাইগ্রেন্ট পিতামাতাদের আশা থাকে কিছুটা বেশি এবং ভিন্ন প্রকৃতির। নতুন একটি দেশে এসে তারা বসত গেড়েছেন। ভাষা, পরিবেশ, সংস্কৃতি এসবের ভিন্নতার কারণে যে কোন দেশে ও সমাজেই প্রথম প্রজন্মের মাইগ্রেন্টদেরকে নানা ধরণের প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রত্যাশার তুলনায় তারা অনেকটুকু ছাড় দিয়ে প্রাথমিক স্তরের অথবা ভিন্ন ক্ষেত্রের কাজকে পেশা হিসেবে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এর ফলে আবার প্রায়শ তারা মানসিক ও সামাজিক নানা চাপের ভেতরেই জীবনযাপন করেন। তারপরও যে আশার প্রদীপটুকু এসময় তাদেরকে সামনে এগুনোর শক্তি যোগায় তার মাঝে থাকে সন্তানের ভালো পড়ালেখার সম্ভাবনা।



প্রত্যেক মাইগ্রেন্ট তার নিজ জীবনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারেন, তাদের সন্তানেরা যখন বড় হয়ে উঠবে তখন দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী হিসেবে এই সমাজে সম্মানজনক এবং ভালো জীবনযাত্রার উপায় হলো কোন একটি ভালো বিষয়ে পড়ালেখা করে ভালো ফলাফল এবং দক্ষতা অর্জন করা। তাই তারা সন্তানের পড়ালেখা বিষয়ে সাধারণত একটু বেশিই উদগ্রীব থাকেন।



এদেশের একটু থিতু হওয়ার পর বাচ্চারা যখন স্কুলে যেতে আরম্ভ করে তখন এই অভিভাবকরা বুঝতে পারেন, তাদের নিজ দেশের স্কুল পদ্ধতি ও কার্যক্রমের সাথে এদেশের পদ্ধতিগুলোর কিছুটা ফারাক রয়েছে। প্রতিটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাই ভিন্ন ভিন্ন হয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা কার্যক্রমের ছক প্রনয়ণ করা হয়।



বাংলাদেশী পিতামাতারা দেখতে পান প্রাইমারী ও সেকেন্ডারি পর্যায়ে তারা নিজেরা অনেকগুলো বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন, অথচ অস্ট্রেলিয়ার স্কুলগুলোতে শ্রেণীকক্ষে পঠিতব্য বিষয় সংখ্যা সে তুলনায় অনেক কম। এ সময় অনেকেই তারা সন্তানের শিক্ষার সম্ভাব্য ঘাটতি আশংকায় আতংকে ভুগেন।



বাংলাদেশে সেকেন্ডারি স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের মাঝখানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীকে কলেজ শিক্ষা হিসেবে অভিহিত করা হয় কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ঐ দুই বছরকে সেকেন্ডারি স্কুল পর্যায়ের অন্তর্ভূক্ত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও এদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা (নাপলান টেস্ট), ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় সিলেকটিভ স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আটার (অস্ট্রেলিয়ান টারশিয়ারি এডমিশন র‌্যাংক) পদ্ধতি এসব বিষয় নিয়ে অভিভাবকরা ঠেকে ঠেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এসব কারণে তারা অনেক ক্ষেত্রেই সন্তানের শিক্ষার জন্য নিজ ভূমিকাকে যথেষ্ট মনে করতে পারেন না, তখন তারা বিভিন্ন টিউশন সেন্টারের শরণাপন্ন হন।



বর্তমানে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার সেকেন্ডারি পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বড় একটি অংশই তাদের নিয়মিত স্কুলের পাশাপাশি কোন না কোন টিউশন সেন্টারে পড়ালেখা করছে। বিশেষ করে দ্বাদশ শ্রেণী বা ইয়ার টুয়েলভের এইচএসসি পরীক্ষার আগে প্রস্তুতির জন্য প্রায় সবাই টিউশন সেন্টারে যাওয়া শুরু করে।



কয়েক দশক পুর্বেও অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা কার্যক্রমে টিউশন পদ্ধতির এমন ছড়াছড়ি ছিলো না। মূলত এশিয়ান বংশোদ্ভুত অভিবাসীদের মাধ্যমে শুরু হয়ে বর্তমানে এই পদ্ধতি সব জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন স্কুল পর্যায়ে উচ্চমানের পড়ালেখার জন্য সুপরিচিত, এসব দেশে শিক্ষার্থীদের বাড়তি পরিচর্যার জন্য আগে থেকেই কোন না কোন ধরণের টিউশন পদ্ধতি প্রচলিত। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সাউথ কোরিয়ার ইয়ার টুয়েলভ পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ৮৫% শিক্ষার্থী তাদের পড়ালেখার সহায়ক হিসেবে টিউশন গ্রহণ করে থাকে।



এ কারণে অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসীদের মধ্যে এশিয়ান বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পরিবারগুলোতে সন্তানদের জন্য টিউশন গ্রহণের একটি স্বাভাবিক মানসিকতা ও প্রবণতা থাকে। ফলতঃ এ পরিবারগুলোতে এখনো টিউশন পদ্ধতির শরণাপন্ন হওয়ার হার অন্যদের তুলনায় বেশি। পরবর্তীতে বাড়তি পরিচর্যা এবং চাপের কারণে যখন এসব শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ কিছুটা ভালো ফলাফল করে তখন অন্যদের মাঝেও এ চাহিদার তৈরি হয়।



এই টিউশন পদ্ধতির শিক্ষাকে অস্ট্রেলিয়াতে শ্যাডো এডুকেশন বা ছায়া শিক্ষা-পদ্ধতি হিসেবেও অনেকে অভিহিত করেন। স্কুলের সিলেবাস ও কারিকুলাম পরিবর্তন হলে টিউশন সেন্টারগুলোর কারিকুলামও ছায়ার মতো পরিবর্তন হয়। স্কুলের শিক্ষাপদ্ধতি ও আকার যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সাথে তাল রেখে টিউশন সেন্টারগুলোর কার্যক্রমও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।



সচেতন পর্যবেক্ষকরা দেখতে পেয়েছেন, বিগত দুই দশকে অস্ট্রেলিয়ায় এ টিউশন পদ্ধতি বিপুলহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কি বর্তমানে অনেক পরিবারেই তা সন্তানের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত একটি স্বাভাবিক এবং অনস্বীকার্য চাহিদার বিষয় হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়ে গিয়েছে।



এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের টিউশন দেখা যায়। কখনো তা একজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষকের মাধ্যমে দেয়া হয়, আবার কখনো কয়েকজন শিক্ষার্থীর ছোট একটি গ্রুপ কিংবা কদাচিত বড় গ্রুপের সামনে লেকচার হিসেবেও টিউশন দেয়া হচ্ছে। যারা স্কুল ছাত্রছাত্রীদেরকে টিউশন প্রদান করছেন তাদের মাঝেও রয়েছে বিভিন্ন মাত্রার ও মানের শিক্ষক। টিউশন শিক্ষকদের মাঝে অনেকেই যারা বিভিন্ন স্কুলের পূর্ণকালীন শিক্ষক এবং টিউশন শিক্ষক হিসেবে খন্ডকালীন কাজ করেন। আবার অনেকে আছেন যারা পূর্ণকালীন টিউশন শিক্ষক, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বা অন্য কিছু করেন।



স্কুল ছাত্রছাত্রীদের টিউশন শিক্ষার প্রসঙ্গটি বিশ্লেষণ করতে গেলে যে কয়টি বিষয় গুরুত্বের কারণে আলোচনার দাবীদার তার প্রথমদিকেই আসবে অর্থনৈতিক বিষয় এবং প্রকৃত উপযোগিতার বিষয়। একই সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার টিউশন পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো এবং তার পাশাপাশি উপকারিতা ও ঘাটতির বিষয়গুলোও আমরা তুলে ধরবো।



সর্বোপরি আমাদের কমিউনিটির প্রকৃত উপকারের জন্য অস্ট্রেলিয়ার, বিশেষ করে এনএসডব্লিউর, শিক্ষা পদ্ধতির অধীনে ভালো ফলাফল করতে গেলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদেরকে কি কি কাজ করতে হবে এবং কি কি বিষয়ে বিশেষ মনযোগ দিতে হবে, তার আলোচনা করবো।



পরিবারের সন্তানের জন্য টিউশনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই পিতামাতার উপর বেশ বড় ধরণের একটি আর্থিক চাপের সৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি স্কুল সময়ের বাইরে দিনের বড় একটি অংশ শিক্ষার্থীকে এ খাতে দিতে হয়। সাথে যুক্ত হয় শারীরিক ও মানসিক শক্তি খরচের বিষয়গুলোও।



সন্তানের পড়ালেখায় উপকার হবে চিন্তা করে বাড়তি খরচের বিষয়টি অভিভাবকরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। সরাসরি পরিশোধ করতে হয় বিধায় আর্থিক বিষয়টি তার অনুভব করেন, কিন্তু এর বাইরেও শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক দিক সহ নানা বিষয়ে এ পদ্ধতির প্রভাব প্রায়শই তারা বুঝতে পারেন না। এর বড় একটি কারণ হলো তারা যেহেতু নিজ নিজ দেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়ালেখা করেছেন তাই তারা বুঝতে পারেন না অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা কি পদ্ধতিতে প্রণীত হয়েছে এবং এ ব্যবস্থায় ভালো ফলাফল করতে গেলে প্রকৃতপক্ষে কি কি বিষয়ে জোর দেয়া প্রয়োজন। আবার অন্যদিকে এ না জানার কারণেই তারা ভরসা করেন টিউশন সেন্টার বা পদ্ধতির উপর।



যদি আপনার সন্তানের জন্য ভালো একটি টিউশন সেন্টার খুঁজে বের করতে চান তাহলে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার তা হলো:




    • যারা ছাত্রছাত্রীর ভালো ফলাফল, অন্ততপক্ষে ৮০% মার্কস অর্জনের বিষয়ে সহায়তা করতে পারবে।

 

    • যাদের শিক্ষকরা সিনিয়র সেকেন্ডারি পর্যায় অথবা ব্রিটিশ বা সিঙ্গাপুরী শিক্ষা পদ্ধতিতে অভিজ্ঞ হবে।

 

    • বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের প্রতিটি পর্যায়ের কারিকুলাম, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং করণীয় সম্পর্কে যাদের সম্যক জ্ঞান থাকবে।

 

    • যারা বিভিন্ন উচ্চমানের বই অথবা প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা এবং সহায়ক শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় অবদান রাখবে।

 

    • পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রশ্নপত্রের ধরণ, ভালো ফলাফল করার জন্য সহায়ক বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়, সময় ব্যবস্থাপনা, অনিচ্ছাকৃত সাধারণক ভুলগুলো এড়ানোর উপায়, অতীতের প্রশ্নপত্রের বারংবার চর্চা এবং মডেল প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রস্তুতি গ্রহণ ইত্যাদি দরকারী বিষয়ে প্রয়োজনীয় মনযোগ প্রদান।




তবে একটি বিষয় এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে ভালো ফলাফল করতে গেলে টিউশন একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়, এমন ধারণা করাটি ভুল হবে। আমাদের চারপাশেই এমন অনেক মাইগ্রেন্ট পরিবারের দেখা পাওয়া যায় যেখানে সন্তানেরা বাইরের কোন টিউশন সহায়তা ছাড়াই অত্যন্ত ভালো ফলাফল করছে এবং শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন ধাপে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। আবার অনেক টিউশন সেন্টার আছে যেখানে ভালো শিক্ষক, উপযুক্ত শিক্ষাসহায়ক উপকরণ বা বই, আগের প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে চর্চার অভাব সহ নানা সমস্যা ও ঘাটতির ফলে উল্টো শিক্ষার্থীর সময় নষ্ট হয়, তেমন কোন উপকার তারা পায় না এবং ফলশ্রুতিতে হতাশারও সৃষ্টি হয়।



সুতরাং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষাপদ্ধতির নানা বৈশিষ্ট্য এবং এতে ভালো ফলাফল করতে গেলে কি প্রয়োজন তা সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করা। এ শিক্ষা পদ্ধতি এমনভাবে প্রনয়ণ করা হয়েছে যে একজন মনযোগী এবং পরিশ্রমী শিক্ষার্থী টিউশন ছাড়াই এতে ভালো ফলাফল করতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ান, বিশেষত এনএসডব্লিউর স্কুলগুলোতে যদি কেউ ভালো ফলাফল করতে চায় তাহলে নিচের বিষয়গুলো অর্জন করা আবশ্যক।




    • পড়ালেখায় ভালো করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা, পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাস।

 

    • প্রতিটি টার্মে একটি টাইমটেবল তৈরী করা এবং তা মেনে চলা।

 

    • শ্রেণীকক্ষের সব কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া এবং খেয়াল করা, বুঝার চেষ্টা করা।

 

    • খুব বেশি সময় না দিয়ে বা অপচয় না করে যথাসম্ভব স্কুলের কো-কারিকুলার একটিভিটিজগুলোতে অংশ নেয়া।

 

    • কম সময় দিয়েই কোন দলগত খেলায় নিয়মিত অংশ নেয়া যেন তা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সহায়ক হয়।

 

    • সমমনা এবং ভালো মানের তিন থেকে ছয় জন সহশিক্ষার্থীর সাথে স্টাডি গ্রুপের মাধ্যমে পড়ালেখা করা।

 

    • প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি পাঠের জন্য মানসম্পন্ন নোট তৈরি করা।

 

    • এনএসডব্লিউর সেরা স্কুলগুলো থেকে বিগত বছরগুলোর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করা এবং তা নিজে নিজে চর্চা করা।

 

    • প্রতিটি অনুশীলন মনযোগ দিয়ে বারংবার চর্চা করতে হবে যেন অনিচ্ছাকৃত ভুলের পরিমাণ এক শতাংশের নিচে নেমে আসে।

 

    • স্কুলে যে বিষয়টি পড়ানো হবে তার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে নিজে নিজে বিষয়টি অধ্যয়ন করা এবং প্রস্তুতি নেয়।

 

    • স্কুলের উচ্চতর পর্যায়ে বিষয় বাছাই করার সময় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এবং বুঝে শুনে বিষয় বাছাই করা যেন তার সর্বোচ্চ আটার নাম্বার পেতে সহায়ক হয়।

 

    • যারা এইচএসসিতে ৯৯.৯৫% বা এর কাছাকাছি আটার নাম্বার অর্জন করেছে তাদের অভিজ্ঞতা ইউটিউব, ব্লগ সহ নানা মাধ্যম থেকে শোনা, বুঝা এবং নিজে প্রয়োগ করার চেষ্টা করা।




 



সবশেষে সংক্ষেপে বলা যায়, একজন শিক্ষার্থী যদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং পরিশ্রমী হয়, পদ্ধতিগতভাবে পড়ালেখা করার মাধ্যমে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ফলাফল অর্জন করা এদেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে সম্ভব। আমরা সবসময়েই আশা করি অভিবাসী পরিবারের সন্তানরা এদেশে ভালো ফলাফল করার মাধ্যমে এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের উদাহরন তৈরি করবে যা একই সাথে অন্যদের জন্যও উৎসাহ যোগাবে।



 




    • এ লেখায় প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। তিনি অস্টেলিয়ান শিক্ষা পদ্ধতিতে নিজে পড়ালেখা করেছেন এবং সন্তানদের পড়ালেখার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন। আগামীতে তিনি এনএসডব্লিউর সেরা স্কুলগুলোর বৈশিষ্ট্য, যথাযথ বিষয় বাছাই করার মাধ্যমে এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করার সুযোগ ইত্যাদি নানা শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত নিবন্ধ লিখবেন। যদি নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবক তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে তিনি [email protected] ঠিকানায় ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।




 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top