সিডনী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


পর্যটন শহর কক্সবাজারকে ‘ব্যয়বহুল’ শহর ঘোষণা


প্রকাশিত:
২৯ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৪৭

আপডেট:
২৯ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৫২

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: পর্যটন শহর কক্সবাজারকে ‘ব্যয়বহুল’ শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে ওই এলাকার সরকারি চাকরিজীবীদের সরকারি বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। ঢাকাসহ দেশের ব্যয়বহুল এলাকাগুলোয় সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বাড়িভাড়া পেয়ে থাকেন। এখন কক্সবাজারের চাকরিজীবীরাও তা পাবেন। বর্তমানে এই হার ৪৫ শতাংশ। এ ছাড়া টিএ-ডিএসহ অন্যান্য সুবিধাও বাড়বে।

কক্সবাজার পৌর এলাকাকে ব্যয়বহুল হিসেবে ঘোষণা করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, কক্সবাজার শহর বা পৌর এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিসহ বাড়িভাড়া, যানবাহনের ভাড়া, খাদ্য, পোশাকসামগ্রীসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম বিবেচনায় কক্সবাজার পৌর এলাকাকে ব্যয়বহুল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতেই মূলত এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই সম্মেলনে কক্সবাজারের ডিসি বলেছিলেন, বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে আসার পর সেখানে দেশি-বিদেশি অসংখ্য বেসরকারি সংস্থা কাজ শুরু করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা সেখানে কাজ করছে। এর ফলে কক্সবাজারে থাকা-খাওয়ার খরচ বেড়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর আর্থিক চাপ পড়ছে। এ বিবেচনায় কক্সবাজার শহরকে ব্যয়বহুল শহর ঘোষণার প্রস্তাব করেন তিনি। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন। পরে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে এখন প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এখন অর্থ বিভাগ আর্থিক বিষয়গুলো নির্ধারণ করবে।

বর্তমানে দেশের সাতটি বিভাগীয় শহর ছাড়াও কয়েকটি এলাকা সরকারি হিসাবে ব্যয়বহুল। সাত বিভাগ হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর। ময়মনসিংহ বিভাগ হলেও এখনও ব্যয়বহুল শহর হিসেবে ঘোষণা হয়নি। এ ছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলা, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা এবং সাভার পৌর এলাকাকে সরকারি হিসাবে ব্যয়বহুল এলাকা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top