সিডনী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


গত ১০ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ৫২ হাজার কোটি টাকা: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:০৮

আপডেট:
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:২০

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: সরকার বিদ্যুৎ খাতে গত ১০ বছরে ৫২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় ফার্নেস অয়েলভিত্তিক গড়ে ১৩-১৪, ডিজেলভিত্তিক ২৫-৩০, গ্যাসভিত্তিক ২.৫-৩.০ টাকা। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বাল্ক পর্যায়ে সরবরাহ ব্যয় প্রতি ইউনিট ৫ দশমিক ৮২ এবং বাল্ক পর্যায়ে গড় বিক্রয় মূল্য ৪ দশমিক ৮০ টাকা।

হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে মোট ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে, যা ২০৩০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার অবৈধ বিতরণ পাইপলাইন এবং ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০টি গ্যাস বার্নারের অবৈধ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন থানায় ১০৪টি মামলা ও ১৪৮টি জিডি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০০ টাকা।

মন্ত্রীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে ৭৮টি স্পটে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ মিটার, মুন্সীগঞ্জে ৯টি স্পটে ৩১ হাজার মিটার, গাজীপুরে ৯টি স্পটে ১৪৫০ মিটার, ঢাকা জেলায় ২৪টি স্পটে ১৮ হাজার ৫০০ মিটার ও ঢাকা মহানগরে একটি স্পটে ১ হাজার ৪৬০ মিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দৈনিক ২৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়, এর সঙ্গে ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানিকৃত গ্যাস (এলএনজি) মিলিয়ে বর্তমানে দৈনিক ৩১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাস কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

গ্যাস নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রহণ করা পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপেক্স ২০১৯-২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া দৈনিক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ল্যান্ড বেইসড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি ও টার্মিনাল ডেভেলপমেন্ট সিলেকশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এসএস ০৪, এসএস ০৯, এসএস ১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস ১২-এ নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অগভীর সমুদ্রের ব্লগ ০৪-এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আবিষ্কৃত গ্যাসফিল্ড ভোলা নর্থে গ্যাস উত্তোলনের জন্য একটি উন্নয়ন কূপ খনন, প্রসেস প্লান্ট স্থাপন ও পাইপলাইন নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার অন্যান্য সিলিন্ডারের তুলনায় নিম্নচাপসম্পন্ন। অভ্যন্তরে বিদ্যমান চাপের কারণে এলপিজি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ক্ষীণ এবং আজ পর্যন্ত এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার নজির নেই। এলপিজি সিলিন্ডার যথাযথভাবে তৈরি করা হচ্ছে কি না, তা বিস্ফোরক পরিদফতর নিয়মিতভাবে পরিদর্শন করে তা নিশ্চিত করছে।

নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে এলএনজি হিসেবে গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে দৈনিক কম-বেশি ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুটের সমপরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top