সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


করোনাভাইরাস: ইরান থেকে নাগরিক ফিরিয়ে নিচ্ছে কুয়েত, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৬৬


প্রকাশিত:
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৪৯

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৫২

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার এ ভাইরাসে প্রদেশটিতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৯৬ জনের। সবমিলিয়ে হুবেই প্রদেশে করোনায় ২ হাজার ৩৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে শনিবার আরও ৬৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হুবেই কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে প্রদেশটিতে ৬৪ হাজার ৮৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ৪০ হাজার ১২৭ জন রোগীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৪৫ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক। আর ১৫ হাজার ২৯৯ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সিএনএন জানিয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৪২ জন। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ২০ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৬৬। এর মধ্যে ইরানে ৮ জন, জাপানে ৩ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ এবং হংকং, ইতালি ও দুজন করে মৃত্যু হয়েছে। তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সে একজন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৮৮৮ জনে।

এদিকে চীনে থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইরানে আটজনের মৃত্যু এবং ২৮ জন এতে আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে থাকা ৭শর বেশি নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে চার্টার ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে কুয়েত। শনিবার কুয়েত এয়ারওয়েজ ও কুয়েত বার্তা সংস্থা (কুনা) এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার প্রথম পাঁচটি ফ্লাইটে ১৩০ জন যাত্রী কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

চীনের পর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।

ইতালিতে করোনার প্রভাব: ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ জন। অপরদিকে দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, এই ভাইরাস যেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার জরুরি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী গিউসেপে কন্তে। দুই নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই জরুরি পদক্ষেপ জারি করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলীয় লম্বার্ডি এবং ভেনেতোর ডজনখানেক শহরকে কার্যকরীভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু শহরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। লোকজনকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫ জনের মৃত্যু: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে এই ভাইরাসে মোট পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে। অপরদিকে, আরও ১২৩ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৬ জনে।

সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় চিওংডো শহরের একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের। সে কারণে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয় হাজারেরও বেশি সদস্যকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই সম্প্রদায়ে ৬১ বছর বয়সী এক নারী প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়। এরপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই নারী জ্বরে আক্রান্ত হন। দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু এবং চোংডো শহর থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ছে।

সূত্র: বিবিস, ডেইলি মেইল, এএফপি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top