সিডনী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


সিডনিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘পেন্সিল’ এর আলোকচিত্র প্রদর্শনী


প্রকাশিত:
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:০৯

আপডেট:
৭ মে ২০২৪ ০০:৩৫


আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়া’র উদ্যোগে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, রবিবার সিডনির অ্যাশফিল্ড পার্ক ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ’-এ প্রতিবারের মতো আয়োজন করা হয় বইমেলা।



সকাল ৯টায় প্রভাতফেরী ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধে’ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের কর্মসূচি। দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল সিডনির বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বইমেলা, চিত্র প্রদর্শনী ও ‘পেন্সিল অস্ট্রেলিয়া’ আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ্য যে জীবন যাপনের শুদ্ধচর্চা, সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ এবং নান্দনিক কিছু সৃষ্টির প্ল্যাটফর্ম তৈরীর স্বপ্ন নিয়ে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৃষ্টি হয়েছিল ফেসবুকভিত্তিক সাহিত্যচর্চার গ্রুপ ‘পেন্সিল’। ২০২২ সাল থেকে পেন্সিল অস্ট্রেলিয়ার ফটোগ্রাফারদের সক্রিয় উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে উন্মুক্ত চিন্তাধারা থেকে আয়োজন করা হয়ে আসছে দিনব্যাপি আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

সিডনি বইমেলার প্রতিষ্ঠাতা নেহাল নেয়ামুল বারী এবং একুশে একাডেমি, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি আব্দুল মতিন আলোকচিত্র প্রদর্শনীর এই আয়োজনকে সফল করে তুলতে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

গতবার প্রথমবারের মতো এক্সিবিশনে পেন্সিল অস্ট্রেলিয়ার প্রদর্শনীর যাত্রা শুরু হয় ৭ জন আলোক চিত্রশিল্পীকে নিয়ে। এবারের প্রদর্শনীতে আলোকচিত্র শিল্পী সংখ্যা ছিল ২৮ জন। সর্বমোট ৯২টি ছবি আমরা হাতে পেয়েছিলাম, এর ভেতর থেকে প্রদর্শনীর জন্য ৩৯টি ছবি নোরবাচ হয়। এর মাঝে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররা তো ছিলেনই, পাশাপাশি ছিল সর্বকনিষ্ঠ জুনিয়র পেন্সিলর, ৬ বছরের ছোট্ট শিশু-ফটোগ্রাফার।

প্রদর্শনীতে মিজানুর রহমান মুকুল, এডওয়ার্ড অশোক অধিকারী, সরকার কবিরউদ্দিন, বিপুল রায়, তুমন আহসান, শহীদুল আলম বাদল, ফারহানা বাসুনীয়া, নিয়াজ মাহমুদ, রাসেল মাহমুদ, রায়হান শুভ, আশফানুর আরেফিন, আকাশ দে, শামীমা আক্তার, গোলাম মোস্তফা, মৌমিতা চৌধুরী, পার্থ সারথি বোস, শহীদ মুহাম্মদ তৌহীদ, সুবীর গুহ, রুমানা হক, ন্যান্সী লিনা ব্যারেল, আফরোজ হেমা, এস এম আমিনুল রুবেল, নওশীন ঠাকুর, জয় কবির, দিয়ান জাকারিয়া, আরিব মাহমুদ, মাহি, আইশা আহসান এর স্থিরচিত্রগুলো স্থান পায়।



সেই সময় থেকে আলো ছড়ানো, পারস্পরিক সহমর্মিতা, পরিচ্ছন্ন মত-বিনিময়ের জন্যে লেখিয়ে এবং পাঠকদের নিয়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে চলেছে পেন্সিল। নানা বয়সের, মতাদর্শের, ভিন্নমাত্রা ও রঙের মানুষের সমাবেশ ঘটেছে এখানে। জমাট আড্ডা, গঠনমূলক আলোচনা, সাহিত্যের তর্ক আর হাসি-ঠাট্টায় প্রতিনিয়ত ভরে উঠছে পেন্সিলের দেয়াল। পেন্সিলের লক্ষ্য খুব সাধারণ আর একই সাথে অসাধারণ, লক্ষ্য হলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা ছড়িয়ে দেওয়া। সময়গুলো সৃজনশীল ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলা।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top