সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


অস্ট্রেলিয়ায় আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন


প্রকাশিত:
২৯ জুন ২০১৮ ১২:১৬

আপডেট:
৯ মে ২০২৪ ১৫:৫২

অস্ট্রেলিয়ায় আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত ২৪জুন সন্ধ্যা ৭.০টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-অস্ট্রেলিয়া এক আলোচনা সভার আয়োজন করে সিডনির পালকি ফাংশান সেন্টারে।



সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি সিরাজুল হক এবং সঞ্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক পি.এস.চুন্নু। সভার শুরুতেই উপস্থিত সকলে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী,সাধারন সম্পাদক শামসুল হক,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতাদের এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।



একই সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতির পিতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করে তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা তাবিত ফয়সল রিজভী শাওন।



এছাড়াও অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন লাল্টু,আওয়ামী যুবলীগ-অস্ট্রেলিয়ার সাংগাঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান,বঙ্গবন্ধু সোসাইটি অব অস্ট্রেলিয়ার সাধারন সম্পাদক রফিক উদ্দিন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারী গিয়াস উদ্দিন মোল্লা,সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা ড. অরবিন্দু সাহা ও বঙ্গবন্ধু সোসাইটি অব অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড.রতন লাল কুন্ডু।



এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারেক খান, ইমদাদুল হক বকুল,ড.মলয় বিশ্বাস, মিসেস সুলতানা পারভীন,জয়ন্তী সাহা,নিলুফা ইয়াসমিন হক,মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার মঞ্জু,খন্দকার তারিক হাসান লিপু,মো.ফুয়াদ শিহাব আলী,হাজী দেলোয়ার সরকার,জাহাঙ্গীর আলম,আবু ফকির,মুশফিকুর রহমান,ইয়াছির আরাফাত,মো.মতিয়ার রহমান মজনু,আ.সালাম ও মাকসুদ আলম প্রমুখ। বক্তারা সকলেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস,সংগ্রাম ও সাফল্য তুলে ধরে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাকিস্তানী সামরিক শাসন,জুলুম,অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষনের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে এ দলটি।



৫২সালের ভাষা আন্দোলন,৫৪সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,আইউবের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন,৬৪এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা,৬৬সালের ছয়দফা আন্দোলন,৬৯এর গণ অভ্যূত্থানের পথ বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভিশনারী এবং দূরদর্শী। তিনি লক্ষ্য নির্ধারন করে রাজনীতি করতেন। তিনি তার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতেন। জাতির জনকের দুইটি স্বপ্ন ছিলো। প্রথমটি ছিলো-স্বাধীনতা অর্জন আর দ্বিতীয়টি ছিলো-ক্ষুধা,দারিদ্রমুক্ত,সুখী-সমৃদ্ধশালী,অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার। প্রথমটি তিনি করে গেছেন। দ্বিতীয়টি তিনি করে যেতে পারেননি।





বঙ্গবন্ধুর সেই অসম্পূর্ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সততা ও দক্ষতার সাথে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে নয় বছরে বাংলাদেশকে তিনি কোথায় নিয়ে গেছেন? সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি উন্নয়নের রোল মডেল। সব সুচকেই বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাস্ট্রে পরিনত হয়েছে।



সভাপতির বক্তব্যে সিরাজুল হক বলেন,বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-আওয়ামী লীগ এক সুত্রে গাথা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে আজকের এ অবস্থানে এসেছে। শেখ হাসিনার দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মত মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে,মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো সম্ভব হয়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তিনি সকলকে একতাবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে এবং যার যার অবস্থানে থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন| সভা শেষে সকলকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়|- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top