সিডনী সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


রাজশাহীতে অধ্যক্ষকের ঘটনায় পুলিশের সাড়াশি অভিযান: গ্রেফতার ২৫


প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০১৯ ২১:২৬

আপডেট:
১৩ মে ২০২৪ ১২:৩৬

রাজশাহীতে অধ্যক্ষকের ঘটনায় পুলিশের সাড়াশি অভিযান: গ্রেফতার ২৫

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে পুকুরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ। শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টায় তিনি নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘৫০ আসামির মধ্যে আটজনের নাম উল্লেখ করেছেন অধ্যক্ষ।’



এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এই ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। পলিটেকনিট ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।



এর আগে শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ইন্সটিটিউটে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীরা অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়।



অধ্যক্ষ জানান, ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুই ছাত্রের ফরম পূরণে অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সকালে ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই দুই ছাত্রের ফরম পূরণ করানোর জন্য তার অফিসে যায়। তিনি এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বললে অশালীন মন্তব্য করে বের হয়ে যান ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে নামাজ শেষে অফিসে আসার সময় কম্পিউটার বিভাগের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন সৌরভ সহ সংঘবদ্ধরা পথ আটকে তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।



পরে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে অধ্যক্ষকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেন। এ সময় পুকুরের পানিতে ভিজে তার মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।



অযোগ্য শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ না দেয়ায় অধ্যক্ষের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা কামাল হোসেন সৌরভ। তিনি রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান গ্রুপের নেতা।



রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের দাবি, অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ঘটনার সময় তাদের কয়েকজনের মুখ রোমালে বাঁধা ছিল। রাতের মধ্যেই অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে রবিবার (৩ নভেম্বর) থেকে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।



এদিকে, অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের থেকে চাঁদা নেয়। এই ধরনের অনেক অভিযোগ আসে আমার কাছে। শিক্ষার্থীরা টাকা না দিলে তাদের মারধরের হুমকি দেয়। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনও নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা করে না। ক্লাস করে না, পরীক্ষা দেয় না। ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদের ধরে বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে নিয়ে যায়।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top