সিডনী শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি


প্রকাশিত:
৭ জানুয়ারী ২০২০ ২৩:০১

আপডেট:
১০ মে ২০২৪ ১৪:৩৫

দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামীকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ঢাকার চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বাহার (৪৫) হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সোমবার বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো-নবীনগরের কণিকাড়া গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে মো. নুরু মিয়া, বাঙ্গুরা গ্রামের সবদের খানের ছেলে লোকমান খান, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মকলিশপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. জিয়াউল হক ও একই উপজেলার কামারচর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে মো. কাদির হোসেন। এদের মধ্যে জিয়াউল হক রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল হান্নান বাহার ঢাকার চকবাজারে কসমেটিক ও ইমিটেশনের ব্যবসা করতেন। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ৩টার দিকে বাহার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গুরা এলাকায় পাইকার লোকমান খানের কাছে বকেয়া আদায় করতে যান। বাহারকে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন বলে বাঙ্গুরা বাজারে ডেকে নেন লোকমান।

এরপর লোকমান তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়ানোর নাম করে বাহারকে ইঞ্জিন নৌকায় তুলে নিয়ে যান। নৌকায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বাহারের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করে। আসামিরা ৪ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাহারের হাত-পা বেঁধে তাকে নির্যাতন করে। কিছু টাকা আদায়ের পর আরও টাকার জন্য বাহারকে হত্যার হুমকি দেয় আসামিরা।

৬ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় আসামিরা বাহারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর লঞ্চ ঘাটের বিপরীত দিকে তিতাস নদীতে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে নদী থেকে বাহারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বাহার হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৯ আগস্ট বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ছোটভাই বেলাল হোসেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top