সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


থর মরুভূমিতে বিলাসবহুল তাঁবু


প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০১৮ ১৪:২৩

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৫:৪১

থর মরুভূমিতে বিলাসবহুল তাঁবু

ভারতের থর মরুভূমিতে প্রতিবছর দুই লক্ষের মত পর্যটক আসে ঘুরে দেখতে। কিন্তু সম্প্রতি ধু ধু এই মরুভূমিতে অনেকেই বিলাসবহুল ক্যাম্পিং বা প্রকৃতির সঙ্গে আরামদায়ক ভ্রমণের স্বাদ নিচ্ছেন।



ট্রেন্ডটা ভারতে নতুন। কিন্তু ইতিমধ্যে অনেক ব্যবসায়ীর জন্য একটা সফল ব্যবসার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।





 

ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিম অংশে একটা বিরাট শুষ্ক অঞ্চল নিয়ে এই থর মরুভূমি। এখানকার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে।



ধু ধু মরুভূমির প্রচণ্ড গরম, অনেকেই হয়তবা ড্রিম হলিডে স্পট বা বহু কাঙ্ক্ষিত ছুটি কাটাতে যাওয়ার কথা হয়তবা চিন্তা করবেন না।



কিন্তু বিলাসবহুল কিছু সাফারি তাঁবু পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বিরান মরুভূমির মধ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সব কিছু রয়েছে সেখানে।



এমন ২৬টি বিলাসবহুল তাঁবু রয়েছে। যেগুলো অন্য আর দশটা ক্যাম্পিং তাঁবু এর মত না। সেখানে রয়েছে ২৪ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ। এয়ারকন্ডিশন্ড রুম।



পাঁচ তারকা হোটেলে একটা রুমের বিছানা যে শৈল্পিক উপায়ে সাজানো থাকে এখানেও তার কম কিছু নয়।



আর ভাবুন তো মরুভূমির মাঝখানে বরফ শীতল পানি খেতে কেমন লাগবে?



ঠিক তাই, প্রতিটি টেন্টে রয়েছে রেফ্রিজারেটর, যেখান থেকে আপনি ঠাণ্ডা পানি পান করতে পারেন।



এসব টেন্টের একজন মালিক মায়াঙ্ক ভাটিয়া বলছিলেন ‘আমি ভেবেছিলাম এটাকে রিসোর্টের মত করে গড়ে তুলবো। এটা মনে করেছিলাম পর্যটক বা অতিথি যারা আসবেন তাদের এই মধ্য মরুভূমিতে একদম ভারতের ঐতিহ্যবাহী যেসব বিষয় রয়েছে সেসবের মত করে একটা অভিজ্ঞতা দেওয়া দরকার’।



মরুভূমিতে উটে চড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং গাড়ীতে ঘোরা প্রধান আকর্ষণ। অর্থ লাগে অনেক বেশি। তবে উচ্চ বিত্ত ভারতীয় পরিবারগুলোর কাছে এই অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য অর্থ কোনও ব্যাপার না।



তেমনি একজন পর্যটক নাঙ্গ পামেলা। যিনি তার সন্তানদের নিয়ে এসেছেন এই মরুভূমিতে। তিনি বলছিলেন ‘আমার বাচ্চাদের জন্য আমি চেয়েছিলাম রাজস্থানের সংস্কৃতি তাদেরকে দেখাতে। তাদের যে প্রাসাদ এবং দুর্গ আছে সেটা কেবল তারা বইতেই পড়েছে। বিশেষ করে উটে চড়ে ঘুরে বেড়ানো এটা একটা বিশেষ অভিজ্ঞতা। আমি চেয়েছিলাম আমাদের বাচ্চাদেরকে এই অভিজ্ঞতাটা দিতে’।



কিন্তু মরুভূমির মধ্যে এই ধরণের একটা ক্যাম্প তৈরি করা আসলেই অনেক ব্যয়বহুল। যে তাঁবুগুলো তৈরি করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য শুধু পানি আর বিদ্যুতের সাপ্লাই আনার জন্য দুই বছর সময় লেগেছে।



উচ্চবিত্ত যেসব পর্যটক রয়েছে তারা আসেন তবু্ও সেটা ঠাণ্ডার সময়। যেটা শুধুমাত্র পাঁচ-মাস স্থায়ী থাকে। প্রতিরাতে এই ধরণের তাঁবু এ থাকার জন্য তিনশ ডলার গুনতে হবে।



যেটা একেবারেই সস্তা না। তবে যারা এ ধরণের অভিজ্ঞতা নিতে চান তাদের কাছে অর্থ তেমন বড় বিষয় না।



সূত্র: বিবিসি


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top