সিডনী রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১


নিজ বাসায় মদের বার খুলেছেন আজিজ মোহাম্মদ!


প্রকাশিত:
২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪৫

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৬

নিজ বাসায় মদের বার খুলেছেন আজিজ মোহাম্মদ!

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: পাশাপাশি দুটি ছয়তলা ভবন। ভবন আলাদা হলেও একটি থেকে আরেকটিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। দুটি ভবনেই বসবাস করেন আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের আত্মীয়-স্বজন। ওই একটি ভবনের ছাদে ক্যাসিনো সামগ্রী সিসা বার এবং অপর ভবনের চারতলার একটি কক্ষে বিপুল পরিমাণ মদ পেয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।



রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে গুলশান--এর ৫৭ নম্বর রোডের ১১/ নম্বর বাসায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সময় বাসার কেয়ারটেকারসহ নবীন পারভেজ নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।



মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো (উত্তর) অঞ্চলের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. খোরশিদ আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।



অভিযান শুরু করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। অভিযানে ওই বাসা থেকে ৩৮২ বোতল মদ, প্যাকেট সিসা(কেজি), ২শ গ্রাম গাজা ২৪ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়। এছাড়া আজিজের ভাই রাজা মোহাম্মদের বাসা থেকেও বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয় বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এ কর্মকর্তা।



তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল গুলশান--এর ৫৭ নম্বর রোডে আজিজ মোহাম্মদের বাসায় মদের মিনি বারে অবৈধ মাদক বিক্রি সেবন করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে এসে বাড়ির ছাদে একটি মিনি বারের সন্ধান পাই। সেখানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, গাঁজা এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।এছাড়াও এই ভবনে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো পরিচালনার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি, যেমনকয়েন, কার্ড, ঘুঁটি উদ্ধার করা হয়েছে।



ভবনের তিনতলায় থাকেন আজিজের সহোদর প্রয়াত রাজা মোহাম্মদ ভাইয়ের ছেলে ওমর মোহাম্মদ ভাই। ওমরের ফ্ল্যাটেও কয়েকটি মদের বোতল পাওয়া গেছে বলে জানান খুরশিদ। অভিযানে মো. পারভেজ নবীন মণ্ডলকে নামে গুলশানের ওই বাসার দুই কেয়ারটেকারকে (তত্ত্বাবধায়ক) আটক করা হয়েছে।



অভিযানকালে আটক নবীন মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, গত - বছর ধরে তিনি ওই বাসায় কাজ করে আসলেও কখনও আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেখেননি। অপর আটক পারভেজ জানান, তিনি এক মাস আগে এই ভবনের কাজ নিয়ে যোগ দেন।



মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসার ছাদে যে ক্যাসিনোটি পাওয়া যায়, এতে ডলারের মাধ্যমে খেলা হতো। সম্প্রতি রাজধানীতে যতগুলো ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, সব জায়গায় দেখা গেছে- খেলা হতো টাকা দিয়ে। কিন্তু এখানে খেলা হতো এক সেন্ট থেকে শুরু করে ১০০ ডলারের কয়েন দিয়ে। এতেই বোঝা যায়, এখানে খুব হাইপ্রোফাইল মানুষরা খেলতে আসতেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top