সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


বাংলাদেশকে ৬০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত মিয়ানমারের


প্রকাশিত:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৫৭

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৫০

বাংলাদেশকে ৬০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত মিয়ানমারের

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশ সরকারকে মিয়ানমারের ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৫০ হাজার ৩৬ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষকদল। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ‘রোহিঙ্গা সমস্যা—বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় গবেষকদলের পক্ষে সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যান্ড ল ফ্যাকাল্টির অধ্যাপক ক্রিস্টিন জব ও আন্তর্জাতিক বিজনেস প্রগ্রামের পরিচালক ড. মহসীন হাবিব গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন। ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) তার নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।



গবেষকদলটি ১৬ হাজার ব্যক্তির সাক্ষাৎকার ও তিন হাজার ৩০০ ঘরের তথ্য সংগ্রহ করেছে। তারা বলছে, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক—এই দুই ক্যাটাগরিতে মিয়ানমারের ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। দলটি জানায়, প্রত্যেক রোহিঙ্গার গড়ে দুই একর জমি ও তিনটি পুকুর ছিল। অভিবাসন ব্যয়ের জন্য ৭৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির জন্য ৯ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য সম্পদের জন্য ২২ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া নিপীড়নের কারণে যে মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ২১০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা হওয়া উচিত।



অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়ে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেন। ঢাকায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মিশন প্রধান জর্জ গিগৌরি বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। এই সংকটে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থানের ব্যাঘাত ঘটছে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যে পরিমাণ সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল তা পাওয়া যায়নি। এই সংকট এ দেশের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করছে।



আইডিইবি সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি হাইকা, সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক নিপতুন নাসরিন প্রমুখ বক্তব্য দেন। দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আলোচকরা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতার স্বার্থে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে কঠোর চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top